(१२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১৩ কল্প, ১ ভাগ কাল হইতে রহিয়াছে তাহা হইলে się wrg s watfu (first cause) gầni পড়ে। উহা কোন সময়ে জাত হয় নাই চিরকালই বর্তমান রহিয়াছে ইহা বলিতে হয়। যদ্যপি জড় অনাদি হয়, তাহা হইলে উহা স্বাধীন, নিরপেক্ষ, দেশে ও কালে অনন্ত ও অখণ্ড এক মহাশক্তি হওয়া আবশ্যক । কারণ যে বস্তু অন্য কোন বস্তুর উপর নির্ভর না করিয়া আপন শক্তিতেই বর্তমান থাকিতে পারে, তাহ। সকল স্থানে ও সকল সময়ে থাকিবেক, ইহা আমরা বিশ্বাস করি । কোন বিশেষ স্থানে অথবা সময়ে তাহার সত্তার বিকাশ হয়, অন্য স্থানে ও সময়ে তাহার অভাব হয়, এরূপ হইতে পারে না। কারণ সময় ও স্থানের স্বকীয় কোন শক্তি না থাকায় স্বয়স্তু অনাদি মহাশক্তির সভা কোন প্রকারেই প্রতিরুদ্ধ হইতে পারে না তাহার সভাস্ৰোত তাপ্রতিহত থাকিলেক । সময় ও স্থান পাইলেই ইহার বিকাশ না হইয়া থাকিতে পারে না । অনাদি শক্তি দেশে ও কালে অনন্ত ইহা অামাদিগের আত্মপ্রত্যয়সিদ্ধ সহজ জ্ঞান । আমরা zȚoț= E_{zi 9 og f(=IH (Time and space) বিষয় চিন্তা করি আমরা উহাদিগকে অনন্ত বলিয়া জ্ঞান করি । উহাদিগের অন্ত আছে । ইহা আমরা বিশ্বাস করিতে পারি না । এক্ষণে জড় অনাদি হইলে কিরূপে দেশে ও কালে তানন্ত হইবে আমরা বিশ্বাস করি তাহ। দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝিতে চেষ্টা করা যাউক । অনাদি বস্তুর দৃষ্টান্তই হইতে পারে না, তথাপি বোধসৌকর্য্যার্থে দুই একটা দৃষ্টান্ত গঠন করা যাউক । যদ্যপি দশ বারটা দ্বীপের অধিবাসীগণ তাহাদিগের দ্বীপ সকলে এরূপ একটী ঘটনা দেখে এবং তাহাদিগের পূর্বপুরুষগণের নিকট হইতে ও শুনিতে পায় যে সৰ্ব্বদাই তাহাদিগের দ্বীপ সমূহে বৃষ্টি পতিত হয় এবং বৃষ্টি পতনের কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া কোন কারণ দেখিতে না পায়, তবে তাহারা বিনা কারণে বৃষ্টি পতিত হয় দেখিয়া সহজেই বিশ্বাস করে যে পৃথিবীর অন্যান্য স্থানেও বিনাকারণে বৃষ্টি পতিত হয় । সেইরূপ যদি অন্য দশ বারট দ্বীপের অধিবাসীগণ তাহাদিগের দ্বীপ সমূহে এরূপ দেখে ও তাহাদিগের পূর্বপুরুষগণের নিকট হইতেও শুনিতে পায় যে বিনা কারণে সৰ্ব্ব সময়ে তাহাদিগের দ্বীপ সকলে আলোক থাকে, তাহা হইলে তাহারাও বিশ্বাস করে পৃথিবীর অন্যান্য স্থানেও বিনা কারণে আলোক থাকে। কারণ বিশ্বরাজ্যে আমরা শক্তির বিকাশ প্রণালী সৰ্ব্বত্র একই প্রকার দেখিতেছি। দশ বারটী স্থানে কিছুকাল ধরিয়া বিনা কারণে অর্থাৎ আপনা আপনি বৃষ্টিপতন অথবা আলোক প্রকাশ দেখিলে অন্যান্য স্থানে ও বিনা কারণে অর্থাৎ তাপনা আপনি বৃষ্টি পতন অথবা আলোক প্রকাশ হয়, আমরা ইহা বিশ্বাস করিতে বাধ্য । আবার আমরা কোন শক্তিকেই পরিমিত বলিয়া বিশ্বাস করিতে পারি না । অগ্নির দাহিকা বরফের শীতলতা প্রভৃতি যে সকল শক্তির কাৰ্য্য আমরা সতত পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছি তাহারা অন্য কোন শক্তির যোগে পরিবৰ্ত্তিত না হইলে সকল স্থানে ও কালে বর্তমান থাকিতে ও কার্য্য করিতে পারে ইহা আমরা বিশ্বাস করি । কোন এক শক্তি দ্বারা আমরা যদি একটা মাত্র পরমাণু স্বষ্টি করিতে পারি তাহা হইলে সেই শক্তি দ্বারা আমরা অনন্ত পরমাণু স্বষ্টি করিতে পারি, ইহা অামাদিগের বিশ্বাস । এক্ষণে দেখা যাউক জড় অনন্ত কি
