পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় ১৮১৩ বৈদান্তিক মত 66. য়র ভেদ এবং “অয়মাত্মা ব্ৰহ্ম’ ‘এই আত্মাই ব্ৰহ্ম’ এই শ্রুতিতে অভেদ নির্দেশ আছে। এই সন্দেছ দূর করিবার জন্য শ্রেণীত প্রমাণ প্রদর্শন পূর্বক শ্রী ত্যর্থকে স্পষ্ট করিতেছেন । যিনি জগৎকারণ রূপে উপলক্ষিত ঈশ্বর এবং পরমাত্মা সত্য জ্ঞান অনন্ত ও আনন্দস্বরূপ তিনি যদি আত্মা হইতে ভিন্ন অর্থাৎ বাহ্য বস্তুবং বিষয়ভূত বা পরোক্ষ হন তাহা হইলে মুমুক্ষু ‘আমি ঈশ্বর এইরূপ জ্ঞান করিতে পারিতেন না, অর্থাৎ আত্মাকে যথার্থত উপলব্ধি করিতে পারিতেন না । না পারিলে ‘তৎ ত্বমসি’ ‘তুমি সেই ব্ৰহ্ম’ ইত্যাদি শ্রুতি-বিরোধ হয় । ‘আত্মেতি রূপং গচ্ছন্তি গ্রাহয়ন্তি’ ‘রূপকে পাও- ; য়ায় এই জনা আত্মা’ এই নায়েরও অর্থ থাকে না । ঈশ্বরই আত্মা এবং তাহাই আমি, অন্য কিছুই নহে, মুমুক্ষু যদি এইরূপ জানেন তাহা হইলে শ্রীতি ও ন্যায় রক্ষা পায । তাহাই বিদ্যা যাহা ভেদাকার ঘুচাইয়। জীব ব্রহ্মের ঐক্য স্থাপন করে এবং যাহ। অন্য অবিদ্যার নিবৰ্ত্তক অ fাং সমূল সংসারের উন্মুলক হয় । ‘ব্রহ্মবিৎ ব্রহ্মৈব ভবতি’ ‘ব্রহ্মবিং ব্রহ্মই হন ‘ব্রহ্মৈব সন ব্রহ্মাপ্যেতি’ ‘ব্রহ্ম হইয়াই ব্রহ্মকে পায়” ইত্যাদি শ্রীতিতে ব্রহ্মজ্ঞানের ব্রহ্মত্বলাভরপ ফল দৃষ্ট হয় এই হেতু এবং ভেদপক্ষে যে বস্তু একটী স্বতন্ত্র পদার্থ রূপে স্থিত সে অন্য একটী বস্তু হইতে পারে না অথবা সে স্বয়ং নষ্ট হইয়া অপর একটা বস্তু হইতে পারে না এই হেতু ঐক্যজ্ঞানই ফলবৎ । ফলত ঐক্যেই শাস্ত্রের তাৎপর্য্য, ভেদে নহে। অতএব যখন ভেদজ্ঞানের ফলত্ব নাই দেখা যায় এই হেতু এবং ‘অন্যোহসাবনোহহমৰ্ম্মীতি ন স বেদ’ ‘সন্য ইনি অন্য আমি এইরূপে AA AMS MM SLLLS AAAAAA SSSSSLSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS যিনি দেখেন তিনি ব্রহ্মকে জানেন না" শ্রীতিতে এইরূপ ভেদ-দর্শনের নিন্দাবাদ আছে এই হেতু ভেদ-জ্ঞাপক শ্রুতি সমূহ অনাদি-অবিদ্যা-কল্পিত ভেদের জ্ঞাপকমাত্র, বাস্তব ভেদে উহাদের তাৎপর্য্য নাই এইরূপই বুঝিতে হইবে । আত্মনোহন্যস্য চেৎ ধৰ্ম্ম অস্থলত্বাদয়ে৷ মতা: | অজ্ঞেয়ত্বেং কিং sৈ: স্যাদাত্মত্বে হানাধী তিঃ । আত্মা হইতে ভিন্ন ঈশ্বরের যদি অস্তুলত্বাদি ধৰ্ম্ম ইষ্ট হয় তাত হইলে এই ঈশ্বর অনাত্মভূত বলিয়। অজ্ঞেয় হইলে মুমুক্ষুর অস্থলত্বাদি শ্রোত ধৰ্ম্মে আর কি প্রয়োজন । আর ঈশ্বরের আত্মত্ব স্বীকার করিলে স্থল ত্বকৃশত্বাদি বুদ্ধি নষ্ট হয়। ইহা দ্বারাও শ্রুতির অভেদে তাৎপর্য্য প্রদর্শিত হইতেছে। প্রত্যগাত্মা হইতে ভিন্ন ঈশ্বরের যদি অস্থূলত্বাদি ধৰ্ম্ম ইষ্ট হয় তাহা হইলে এই ঈশ্বর অনাত্ম স্বরূপত্ব হেতু অজ্ঞেয় হইলে মুমুক্ষুর অস্থলত্বাদি শ্রেীত ধৰ্ম্ম দ্বারা আর কোন কার্য্য হইবে ? কিছুই নয়। কারণ, আমি স্কুল আমি কুশ ইত্যাদি স্বগত ভ্রান্তির তে। আর নিবৃত্তি হয় না। কিন্তু যখন অস্থলত্বাদি ধৰ্ম্মবিশিষ্ট ঈশ্বরই আমি এই জ্ঞান হয় তখন সেই ঈশ্বরের ও আত্মত্ব হওয়াতে প্রত্যগাত্মার নিজের উপর গৃহীত মোহমূলক কৃশত্ব স্থূলত্বাদি বুদ্ধির নিবৃত্তি ব৷ বাধসিদ্ধিরূপ ফল হয় । মিথ্যাধ্যাসনিষেধাৰ্থং ততোইস্থলাদি গৃহ তাম । পর ল চেৎ নিষেধার্থ শূন্যতবর্ণনং হি তং ॥ অতএব মিথ্যা অধ্যাস নিষেধের নিমিত্ত অস্থলাদি বাক্যকে গ্রহণ কর। প্রত্যগাত্ম। হইতে ভিন্ন স্থলে নিষেধার্থ যদি ইহাকে স্বীকার করিয়া লও তাহা হইলে নিশ্চয় তাহা শূন্য তা বর্ণন হইয়া দাড়ায় । ‘কস্মিন আকাশ, ওতশ্চ প্রোতশ্চ’