পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 লিতে পার ব্রহ্ম নিত্যসিদ্ধ তথাপি তাহাকে ফল বলা হইল কেন ? ফল বলিলে পূৰ্ব্বে যাহা অসিদ্ধ ছিল তাহারই সিদ্ধি বুঝাইয় দেয় । ইহার মীমাংসা এইরূপ ;—বিষয়াকার বৃত্তিতে ব্রহ্মের অভিব্যক্তিকে ফল বলা যায় । সুতরাং ব্রহ্মসম্বন্ধে এই ফলত্ব উপচারিক, তদ্বারা র্তাহার নিত্যসিদ্ধতার বিরোধ হয় না । ইদং বনমতিক্রম্য শোকমোগদি দূষিতম্। বনাৎ গান্ধালকে ষদ্বৎ স্বাত্মানং প্রতিপদাতে ॥ কোন গান্ধীরদেশবাসী যেমন বন হইতে স্বগৃহ প্রাপ্ত হয় সেইরূপ এই শোকমোহাদি-দূষিত বনকে অতিক্রম করিয়া স্বীয় আত্মাকে প্রাপ্ত হইয়া থাকে । বেদান্তবাক্য দ্বারা ব্রহ্মাত্ম-জ্ঞানের অনুৎপত্তি শঙ্কা নাশ এবং উৎপন্ন জ্ঞানের প্রাবল্য প্রতিপাদন পূর্বক পূৰ্ব্ব-প্রবৃত্ত প্রত্যক্ষাদি দ্বারা বাপের শঙ্কা দূর করিয়া, এক্ষণে দেই জ্ঞান কিরূপে উৎপন্ন হইতে । পরে এই আকাঙ্ক্ষায় পদার্থ-পরিশোধন । দ্বারা তৎসিদ্ধি হয় এইটা শ্রোত দৃষ্টান্ত । দ্বারা প্রতিপাদন করিতেছেন । এই শরীরই বনস্থানীয় । রাগ দ্বেষ শোক মোহাদি দ্বারা নিরন্তর আক্রান্ত । রেক আলোচনা-যোগে পদার্থ-শুদ্ধি সম্পাদন দ্বারা ক্ষু অনাত্বত হেতু দেহাদিকে পরিত্যাগ করিয়া, সর্বানুয়্যত অবাধিত স্বীয় আত্মাকে প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ তামি রহ্ম ইত্যাকার জ্ঞানে ব্রহ্মকে অবগত হয় ।

  • ভ্রান্তি জ্ঞানে যে আত্মা দেছাদিতে অন্বিত আছেন তত্ত্ব-জ্ঞানে তাঙ্গকে সেই দেহাদি হইতে ব্যতিরেক -- পৃথক করাকে পদার্থ-শুদ্ধি বলে। অর্থাৎ আত্ম-পদার্থ যেন কতকগুলি আবর্জনার মধ্যে ছিল কাহাৰে ঝাড়িয়া বাছিয়া লওয়াই পদার্থ শুদ্ধি ।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ইহা ব্যাঘ্র তস্করণদিবৎ ' এই শরীর-বনকে অতিক্রম : করিয়া অর্থাৎ আচাৰ্য্য হইতে দিক্ৰমাত্ৰ— । কেবল দিক্‌ট অবগত হইয়া, অন্বয়-ব্যতি- | পারেন না । ०७ कछ, २ छ)ण മ്മ মনে কর, কোন গান্ধারদেশবাসী পুরুষ বদ্ধচক্ষু হইয়াই তস্কর কর্তৃক নীত ও মহাবনে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে । পরে সে বন্ধনমুক্তির প্রয়াসে সেই বন-মধ্যে ঘোর আৰ্ত্তনাদ করিতেছে । এই অবসরে কোন দয়াশীল আসিয়া তাহার বন্ধন মোচন পূর্বক তাহাকে স্বদেশের পথ দেখাইয়া দিল । তখন সেই পণ্ডিত ও মেধাবী গ্রাম হইতে গ্রামান্তর অবগত হইয়া যেমন বন হইতে স্বদেশ প্রাপ্ত হয় ; সেইরূপ এই সংসারীকেও অবিদ্যা রাগাদিরূপ তস্করেরা মিথ্যাজ্ঞানরূপ পট দ্বারা তদীয় বিবেকদৃষ্টি আচ্ছাদন পূর্বক স্বদেশ হইতে দেহারণ্যে তাহাকে আনিয়াছে । পরে ঐ ব্যক্তি বন্ধনমুক্তির প্রয়াসে পৰ্য্যটন করিতে করিতে একদা কোন করুণাপরবশ ব্রহ্মবিং আচার্য্যকে প্রাপ্ত হয় এবং তৎকৰ্ত্তক তাহার মিথ্যাদৃষ্টি-পট উন্মোচিত এবং স্বদেশ ব্রহ্মপথের সম্বন্ধে প্রতিবোধিত হইলে সে অম্বয়-ব্যতিরেক সাহায্যে স্বয়ং যাইতে যাইতে স্বীয় আত্মাকে প্রাপ্ত হইয়৷ থাকে । ঈশ্বরশ্চেদনাত্মা স্যtল্লাসাবস্মীতি ধাবয়েং । আত্মা চেং ঈশ্বরোহম্মীতি বিদ্যা সাইনানিবৰ্ত্তিক । ঈশ্বর যদি অনাত্মা হন তাহা হইলে মুমুক্ষু আমি ব্রহ্ম এরূপ ধারণা করিতে আর যদি আত্মা হন তাহা হইলে আমি ঈশ্বর এরূপ ধারণা করিতে পারেন। সেই বিদ্যা যাহা অবিদ্যা নিবৃত্তি করে ॥ এই যে ব্রহ্মবিদ্যা প্রতিপাদিত হইল ইহাতে প্রকাশমান ব্রহ্মকে প্রত্যক্ আত্মা হইতে ভেদে না অভেদে প্রতীতি কৱিতে হইবে ? দ্বি স্বপর্ণা’ ‘দুই পক্ষী এক বৃক্ষ আশ্রয় করিয়া আছেন? এই শ্রীতিতে উভ