পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ L_s - ALLAL দিন অতীত হইল উন্নত লোকে গমন করিয়া দেবতাগণের সহিত সেই “প্রথম নাম ওঁকারের” মহিমাগান করিতেছেন । অামাদিগের গান শুনিবার জন্য আর তিনি এখানে নাই। কিন্তু তবু তার উদ্দেশে আমরা আজও শোক প্রকাশ করিতেছি । পরলোকগত হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং পণ্ডিত শম্ভুনাথ উভয়েই এই ব্রাহ্মসমাজ সংস্থাপন বিষয়ে সহায় ছিলেন । প্রথম যখন হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ব্রাহ্মসমাজের কৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন, তখন তাহার বিশেষরূপ উৎসাহ ছিল । তিনি মধ্যে মধ্যে এখানে সুন্দর উপদেশ দিতেন ; তাহার বক্ততায় ব্রাহ্মসমাজ অনেক উপকার লাভ করিয়াছেন, কিন্তু দুঃখের সহিত জানাইতে হয় যে র্তাহার জীবনের শেষ পর্য্যন্ত তিনি ধৰ্ম্মের জন্য সে উৎসাহ রাখিতে পারেন নাই। পণ্ডিত শস্তুনাথের আচল সত্যনিষ্ঠা, প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য ব্রাহ্মসমাজের বিশেষ সহায় ছিল । ব্রাহ্মসমাজ ঋণী আছেন—তিনি হয়তো অন্নদাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি এখন পরমেশ্বরের কৃপায় দীর্ঘজীবি হইয়া তাহার রোপিত বৃক্ষের সুশীতল ছায়া ও ফললাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতেছেন – আপনার শ্রমকে সার্থক মনে করিতেছেন । বলিতে কি, ধৰ্ম্মদান করিয়া যে সুখ তদপেক্ষা আর কিসে অধিক হুখী হওয়া যাইতে পারে ? “ভূমিদানাং পরং নাস্তি বিদ্যাদানং ততোহধিকং।" ভূমি দানের পর আর দান নাই কিন্তু বিদ্যাদান আরও পুণ্যজনক । কিন্তু যে ধৰ্ম্মের জন্য জগতের লোক সকল উন্মত্তপ্রায় হইয়া উঠে, যে ধৰ্ম্মের আধার ঈশ্ব তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s७ कछ, २ छा ग রকে পাইবার পিপাসা প্রতি জনের হৃদয়ে অন্ততঃ একবার না একবার তীব্রভাবে ঝঙ্কার দিয়াছে ; যাহার জন্য কত লোকে জগতের তুচ্ছ সুখ দুঃখকে, তুচ্ছ ধনজন মান অপমানকে পদাঘাত করিয়াছে—তথাপি ধৰ্ম্মের অন্বেমণ না পাইয়া শান্তি লাভ করিতে পারে নাই, সেই ধৰ্ম্ম প্রচারের যিনি সহায়তা করেন, তিনি যে পবিত্র সুখ উপলব্ধি করেন, সে হুগের কাছে আর কি সুখ আছে ? এখানে উপস্থিত অনেক ব্যক্তিরই স্মরণ হইতে পারে যে, কতিপয় উন্নতচেতা ব্যক্তি আদি ব্রহ্ম সমাজের সম্পর্কে তত্ত্ববোধিনী সভার ন্যায় এই ব্রাহ্মসমাজের সম্পর্কে পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম দিগদিগন্তে বিস্তার করিলার জন্য সত্য-জ্ঞান-প্রচারিণী সভা সংস্থাপন করেন । তাহারা কেবল এই স্থানে সভা স্থাপনা করিয়াই ক্ষান্ত হয়েন নাই। তাহাদিগের উৎসাহ তখন আরও ! একজন ধৰ্ম্মপরায়ণ ব্যক্তির নিকট এই ; এমনি প্রদীপ্ত ছিল যে র্তাহারা, যাহাতে পল্লীগ্রামের কুটীরবাসী পর্য্যন্ত পবিত্র অ ধ্যাত্মধৰ্ম্মের উপদেশ প্রাপ্ত হয়েন, তাহার এখানে উপস্থিত—তিনি শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত । জন্য বেহালায় সেই সভার শাখারূপে নিত্যজ্ঞানসঞ্চারিণী সভা নামে একটী সভা স্থাপন করেন । এই উৎসাহী উদ্যমী ব্যক্তিদিগের মধ্যে আমার দুই জনের নাম স্মরণ হইতেছে—শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবকুমার বস্থ । ধন্য র্তাহাদের উৎসাহ ! তাহাদিগের পরিশ্রমে না জানি ব্রাহ্মসমাজের কত উপকার সাধন হইয়াছে । আজ যদি ব্রাহ্মদিগের অন্তঃকরণে সে উৎসাহ, সে ঈশ্বরপরায়ণতা, সে ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্যসাধনের ভাব জাগরূক থাকিত, তাহা হইলে কি আজ ব্রাহ্মসমাজের এরূপ দুরবস্থা দেখিতে হইত ? যদি প্রত্যেক \