পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- _ ২৩৪ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা BTMت « . په وچ چا د - - - - - - - - --- .صحيد = গেলেই পূর্ব হইতে ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মপ্রীতি হৃদয়ে প্রবেশ করা আবশ্যক । আমাদিগের এই বর্তমান সময়ে জ্ঞানযুগ ও প্রীতিযুগ যেন কেন্দ্রীভূত হইয়া কৰ্ম্মযুগে পরিণত হইয়াছে । এখন প্রশ্ন এই যে,ব্রাহ্মসমাজের কৰ্ত্তব্য কি আর অবশিষ্ট আছে। দু-একটি দৃষ্টান্তের দ্বারাই বুঝান যাইতে পারে যে এখনও বহুল কর্তব্য অবশিষ্ট আছে । অামি অনেক দিবস পর্য্যন্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকিয় যেটুকু অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি, তাহাতে এই মনে হয় যে সাধারণতঃ বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মের প্রতি একপ্রকার গরলপূর্ণ তাচছীল্যভাব প্রবেশ লাভ করিয়াছে । আমাদের কি প্রাণপণ কৰ্ত্তব্য নহে যে র্তাহাদিগের হৃদয় হইতে সেই প্রকার ভাব সকল উন্মলিত করিয়া তৎপরিবর্তে ধৰ্ম্মের পবিত্রতা মদ্রিত কবিয়া । দিই ? এখানে যাহারা উপস্থিত আছেন, র্তাহারা ও বেশ জানেন যে বিদ্যালয়ে ঢ়াত্রগণ ধৰ্ম্মের ভাব অপেক্ষা অধৰ্ম্মের ভালষ্ট অধিকতর লাভ করেন । যখন চারিদিকে এইরূপ দৃষ্ট সমীরণ বহিতেছে, তখন কোন পিতা আপনার সন্তানগণকে প্রকৃত ধৰ্ম্মের শিক্ষা না দিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারেন ? এইখানেই ব্রাহ্মসমাজের একটা প্রধান কর্তব্য কৰ্ম্ম পড়িয়া রহিয়াছে—ভবিস্বাৎ বংশকে অধৰ্ম্ম হইতে রক্ষা করিতে হইবে ; ব্রাহ্মসমাজ প্রকৃত ধৰ্ম্মশিক্ষা দিবার একটা সুপ্রশস্ত স্থান । ধৰ্ম্ম যাহাতে বংশ- । নুক্রমে চির প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাহার উপায় করা আমাদিগের একটা অপরিহার্য্য কৰ্ম্ম, কারণ ধৰ্ম্ম না থাকিলে সমাজ থাকিতে পারে না এবং অন্য কোন প্রকার শুভকৰ্ম্মই সম্পাদিত হইতে পারে না; “ধৰ্ম্মে৷ রক্ষতি রক্ষিতঃ” ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিলে ধন ও আমাদিগকে রক্ষা করিবেন। ভবিষ্যৎ বংশকে অধৰ্ম্ম হইতে রক্ষা করিতে ইচ্ছা করিলে কেবল উপদেশের দ্বারা সেরূপ সুফল প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারিবে না, এবিষয়ে দৃষ্টান্ত চাই। প্রত্যেক ব্যক্তিকে যথার্থ ব্রহ্মপরায়ণ হইতে হইবে ; প্রীতি ভক্তির সহিত সকল কার্য্যে সেই অখিল মাতা বিশ্বপিতা পরমেশ্বরকে স্মরণ করিতে হইবে । যে পরিবারের প্রতিজনের হৃদয়ে এরূপ ধৰ্ম্মভাব প্রবেশ লাভ করে, সে পরিবার কি সুখের পরিবার । এবং সে পরিবারের মধ্যে যদি কোন সুকুমারমতি বালক থাকে, তবে সে কি অন্তরে নীরব থাকিতে পারে ? তাহার হৃদয় কি ধৰ্ম্মের পবিত্র ভাবে, ধৰ্ম্মের জীবন্ত ভাবে মগ্ন হইতে শিক্ষা না পাইয়া থাকিতে পারে ? ছাত্রদিগের মধ্যে এইরূপ ধৰ্ম্মের প্রতি অশ্রদ্ধার সঙ্গে সঙ্গে অার একটা ভয়ানক ভাব প্রবেশ লাভ করিতেছে—তাহা জড়বাদ । প্রসঙ্গত, একটা তর্ক সহজ বুদ্ধিতে উপস্থিত হইতেছে—আমি আহার করিবামাত্রই, আমার ইচ্ছা হউক বা না হউক, পরিপাক হইতে আরম্ভ হইবে, ইহার বেলায় তামার ইচ্ছা কোনরূপে কাৰ্য্যকরী হয় না ; আর কোন সৎকৰ্ম্ম বা অসৎকৰ্ম্ম করিবার কালেই আমার ইচ্ছ। সম্পূর্ণ স্বাধীন ! এইরূপ উপযুক্ত সময়ে ইচ্ছার স্বাধীনতা, উপযুক্ত সময়ে ইচ্ছার পরাধীনতা—ইহা কি কখনও জড় অণুসমূহের সংহতি মাত্রের কার্য্য হইতে পারে ? যিনি স্বয়ং চেতনাবান এবং যিনি “চেতনং চেতনানা” চেতনাবিশিষ্ট জীবগণের চেতয়িত, ইহা কি তাহার কার্য্য না হইয়া যাইতে পারে ? অতি পুরাকালে, যখন সমস্ত জগৎ অজ্ঞানান্ধকারে আবৃত ছিল,