পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক وw, ۵ stچه ها د দ্বিতীয় ফল কর্তব্য সাধনে উৎসাহ এবং সামর্থ্য ; আর, কৰ্ত্তব্য সাধন করিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ । তৃতীয় ফল পরম করুণাময় পরমেশ্বরের প্রদত্ত বৈধ সুখ এবং পরিশোধক দুঃখ উপভোগ করিয়া সন্তোসলাভ । চতুর্থ ফল ভ্রাতায় ভ্রাতায় মিলিয়া আধ্যাত্মিক প্রেমের আনন্দ উপভোগ ; এই চতুর্থ ফলটি ঈশ্বরের একটি জাজ্বল্যমান করুণার চিহ্ন ; সময় উপস্থিত হইলে—এক এক ভক্তিরসার্দ্র এবং প্রেমাগ্নিময় উন্নত আত্মা পার্শ্ববর্তী অনেকানেক আত্মাতে ভক্তিরসামৃত সঞ্চার করেন এবং প্রেমাগ্নি ধরাইয়া দেন ; আর, তাহার গুণে ক্রমে যখন একই পরমাত্মার জ্যোতিতে অনেক আত্মা জ্যোতিষ্মান হইয়া উঠে এবং একই পরমাত্মার প্রসাদামৃত-সিঞ্চনে অনেক আত্মা প্রাণ পাইয়া উঠে, তখন বহু সংখ্যক অtত্বার পরস্পর ভ্রাতৃবন্ধন দৃঢ় হইয়া পৃথিবাকে স্বর্গ করিয়া তুলে। এইরূপ আমরা দেখিতেছি যে, ঈশ্বরকে আমরা হৃদয়ে পাইলে আমাদের কোনো আনন্দেরই অনটন থাকে না; আমাদের অন্তরে বাহিরে সৰ্ব্বত্রই আনন্দের দ্বার উদঘাটিত হইয়া যায়। হে পরমাত্মন! তুমি আমাদের অন্তশচক্ষে সত্যের আদর্শ হইয়া বিরাজ করিতেছ—প্রেমের জ্বলন্ত উৎস হইয়া অামাদের হৃদয়ে আসিয়া বসতি কর ; সেখানে তোমার অধিষ্ঠান হইলে চিরজীবন তোমাকে আমরা পূজা করিয়া জীবন সাথিক করিব, তোমার আশ্রয়ে নির্ভর করিয়া ভয়াবহ সংসার-সাগর অকুতোভয়ে তরিয়া যাইব—তোমার প্রেমে পরিপূর্ণ হইয়া তোমার অমৃতধামে যাত্ৰা করিব— তুমি প্রসন্ন হইয়া আমাদের এই অন্তরতম বাসনা পূর্ণ কর । ওঁ একেমেবাদ্বিতীয়ং । –ਨ਼ mm= স্ত্রীস্বাধীনতা ও মনু। ব্যবহার গ্রন্থের মধ্যে মনুসংহিতাই প্রাচীন। ইদানীং খৃষ্টজন্মের পূর্বাপর ধরিয়া এতদেশীয় যে সমস্ত গ্রন্থের জন্মকোষ্ঠি প্রস্তুত করা হইতেছে তৎপ্রমাণে বলিতেছি না কিন্তু এই সংহিতার ললাটপটে যে সমস্ত উজ্জ্বল রেখাপাত রহিয়াছে তদৃষ্টেই অনুমান হয় ইহা বহু প্রাচীন। যাহারা একটু নিবিষ্ট চিত্তে এই গ্রন্থ আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়াছেন তাহারা দেখিতে পাইবেন যে, যখনএই ভারতে পূৰ্ব্ব কল্পের কুৎসিত রীতি পদ্ধতি সকল জনসমাজে এক প্রকার নির্বিবাদে চলিতেছে এবং ধৰ্ম্মানুমোদিত সদাচার ও সদ্ব্যবহার সকল অল্পে অল্পে প্রসর লাভ করিবার উপক্রম করিতেছে সেই সন্ধিক্ষণেই মনুর জন্ম । ফলত এই গ্রন্থে এমন অনেক কুপ্রথার উল্লেখ আছে যাহা শুনিবামাত্র মনে ঘৃণার উদ্রেক হইয়া থাকে। যদিও মনু ব্যবহার কাণ্ডে তাহার কোনটী গ্রহণ ও কোনটী এককালে বর্জন করিয়াছেন কিন্তু যে সকল জঘন্য প্রথার আশু পরিবৰ্ত্তন অসম্ভব, কালে উন্মলিত হইবার জন্য তিনি অতি তীব্র ভাষায় সেই গুলির উপর ঘৃণার বীজ নিক্ষেপ করিয়াছেন। ফলত সমাজস্থষ্টি মনুর বহুপূৰ্ব্বে হইলেও তিনি যে ইহার আভ্যন্তরিক আবর্জন সকল দূর করিয়া ইহাতে নূতন আকার ও নূতন প্রাণ সঞ্চার করেন তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । ইহা দ্বারাই প্রমাণ হয় মনু কত প্রাচীন । পুরাতত্ত্ববিদেরা বলেন যখন পৃথিবীর অন্যান্য জাতি প্রকৃতির শৈশব দোলায় প্রস্তুপ্ত তখন ভারত ধৰ্ম্ম সদাচার ও সভ্যতায় সম্পূর্ণ জাগ্রত হইয়াছেন। ফলত এই জাগরণের মূল মনুর তুমুল ভেরী