পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•৭২৩ তত্ত্ববােধিনী সমস্ত লইয়াই সৰ্ব্বদা ইহার কালক্ষেপ করে। অতএব পুরুষ ইহাদিগের বিধাতৃবিহিত এইরূপ স্বভাব জানিয়া ইহাদের রক্ষায় একান্ত যত্নবান হইবে । মহাজ্ঞানী মনু এই যে স্ত্রীচরিত্র চিত্রিত করিয়াছেন ইদানীন্তনেরা ইহা শুনিবা মাত্র নিঃসন্দেহ শিহরিয়া উঠিবেন । কিন্তু মনুর কথা! একটু ধীরতার সহিত আলোচনা করা আবশ্যক। তিনি স্ত্রীচরিত্র এইরূপ উল্লেখ করিয়া ইহার নিদান কি স্থির করিয়াছেন অগ্রে তাহা দেখ। তৎপরে বুঝি ও তাহার বাক্যের কোন ও অর্থ আছে কি না । তিনি কহিতেছেন, স্ত্রীলোকের কোন সংস্কার নাই,ধৰ্ম্মপ্রমাণ শ্রুতিস্মৃতিতে অধিকার নাই, পাপাপনোদক মন্ত্র জপ নাই, ফলত ইহারা নিতান্তই মিথ্যা পদার্থ। মনু যে কলুষিত স্ত্রীচরিত্রের এই নিদান স্থির করিয়াছেন এস্থলে তাঙ্গর একটু বিশ্লেষণ আবশ্বক। স”স্কারের কার্য্য এই যে নিষিদ্ধপর্জন ও বিহিতসেবনে দেহমনের একটা অবস্থান্তর অনিয়ন । ভাব, আমার ধৰ্ম্মদীক্ষা হইল । লাম নিষিদ্ধ পানাহারে তার আপনার অধোগতি সাধন করিব না এবং আত্মোন্নতির নিমিত্ত দিনরাত্রিবিভাগে এই কএকবীর ভগবানের আরাধনা করিব । নিয়মে চলিয়া কিছু দিনের মধ্যে আমার নিশ্চয়ই সৰ্ব্বাঙ্গীণ একটা পরিবর্তন হইবে। সে পরিবর্তনে দুষ্প্রবৃত্তি বা পাপম্পূহ থাকে না । স্ত্রীলোকের এই ভাবান্তরসম্পাদক সংস্কারেরই অভাব । সংস্কারের অভাবে অন্তঃকরণ নিৰ্ম্মল ও পবিত্র হয় ন। কাজেই তাছাদের পাপপ্রবৃত্তি স্বভাবতই বলবতী হইয়া থাকে। দ্বিতীয়ত, স্ত্রী লোকের ধৰ্ম্মপ্রমাণ শ্রুতিস্মৃতিতে অাদেী অধিকার নাই । ধৰ্ম্মশাস্ত্র পাঠ ও উপদেশ এই ৷ | ויזש י שe oג পত্রিকা

  • oطة

বলেই লোকের স্বাভাবিক ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি উদীপ্ত হইয় উঠে। সে সেই আলোকে কি কর্তব্য কি অকৰ্ত্তব্য বুঝিয়া লইতে পারে এবং আত্মসংযমে যত্নবান হয় কিন্তু স্ত্রীজাতির সে সুবিধা নাই । * তৃতীয়ত, পাপাচরণ পূর্বক তীব্র বিষজ্বালায় প্রাণ কাতর হইলে যে সমস্ত মন্ত্রে ঈশ্বরের প্রসন্নতা প্রার্থনা করা যায় স্ত্রীলোকের সেই পাপাপনোদক মন্ত্রই নাই। এরূপ বিপা কের অবস্থায় তা হাদের মন যে কাম ক্রোধ ঈর্ষা দ্বেষের বিলাসক্ষেত্র হইয়া থাকিবে তাহা সম্পূর্ণই সম্ভব। পাঠক ! এখন বুঝিলে মনুর বর্ণিত স্ত্রীচরিত্রের নিদান কি ? - __ഷ്, ജമ്മു- ജ mismssamma

  • যে শিক্ষায় ধৰ্ম্মজ্ঞান ও চরিত্রগঠন হয় পূৰ্ব্বে স্ত্রীলোকের সে শিক্ষা ছিল । ঋকমন্ত্রে বিশ্ববার অপালা প্রভৃতি এমন কতকগুলি স্ত্রীলোকের নাম দৃষ্ট হয় যাহার। ব্রহ্মচারিণী হইয়া ধৰ্ম্মশিক্ষা ও জ্ঞানশিক্ষায় উন্নত ও লোকসমাজে পূজিত হইয়া ছিলেন। মনুই স্বীকার করিয়া গিয়াছেন পুরাকল্পে স্ত্রীলোকের উপনয়ন হইত। ফলত অতি পুৰ্ব্বকালে স্ত্রীলোক উপনীত হইয়া যে জ্ঞান ধৰ্ম্ম শিক্ষা করিত বেদাদি প্রাচীন শাস্ত্রে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু উত্তর কালে তাহ।

রহিত হই 画 து" 證 এই দীক্ষার দিন হইতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই- | রহিত হই য়াছিল। কেন যে রহিত হয় তাহার ও বিশিষ্ট কারণ অাছে। দেখিতে পাওয়া যায় স্ত্রীলোক মাত্রেই প্রায় বিলাসপ্রিয়। এইটা যেন ইহাদিগের বিধাতুবিহিত স্বভাব । এখনকার শিক্ষা যেমন কণ্ঠস্থ ন হয় বুদ্ধিস্থ করিলেই আপদ চুকিয়া যায় তখন কিন্তু ঠিক্‌ ইহার বিপরীত ছিল। শিক্ষাকে সবরতোভাবে চরিত্রস্থ করিতে হইত। বেদtধ্যয়নের সঙ্গে ব্রত অবলম্বন করিবার অর্থ আর কিছুই নহে কেবল শিক্ষাকে চরিত্রস্থ করা। অবং ইহা কিছু কঠিন ব্যাপার। ইহাতে পদে পদে মনকে সংযত করা চাই । বোধ হয় স্ত্রীজাতির মধ্যে দুই একটি ব্যতীত কেহই তাহ পারিয়া উঠিত না। বিষয়ক্ষেত্রে প্রবৃত্তির উদাম গতিকে কেহই নিরোধ করিতে পারিত না । শিক্ষাশ্রোত বন্ধ হইবার যেমন এই একটি কারণ তেমনি আরও কএকটি আছে। তখনকার শিক্ষা অপেক্ষাকৃত ব্যাপক কাল ধরিয়া চলিত । নচেৎ শিক্ষা ও ব্রত সম্পূর্ণ হইত না । শ্ৰীলোক এই ব্যাপক কাল যদি শিক্ষাই করে তবে সে শ্রীরূপে গার্হাস্থ্যে কবে বিরাজ করিবে । কারণ এদিকে তাহার দ্বাদশেই যৌবনের প্রারম্ভ এবং অধিক বয়সে সন্তান প্রসবও অতি কষ্টকর। বোধ হয় পূৰ্ব্বে এই সমস্ত হেতুতে স্ত্রীলোকের উচ্চ শিক্ষা সম্পূর্ণ রুদ্ধ হইয়াयों★ | 啞 ཆག །