পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والاعاد ta4ع স্ত্রীস্বাধীনতা ও মন্থ ዓፄ m= কিন্তু স্ত্রীচরিত্র এইরূপ তীব্র ভাষায় সমালোচনা করিয়া নিশ্চয়ই মনুর মনে আশঙ্কা হইয়াছিল, বুঝি আমার এ কথা জনসমাজে তত আদৃত হইবে না। তাই তিনি ভয়ে ভয়ে আপনাকে সমর্থন করিবার জন্য সৰ্ব্বাদৃত বেদের আশ্রয় লইয়া কহিতেছেন, স্ত্রীর ঈদৃক স্বভাবের পরিচায়ক অনেকানেক শ্রুতি পঠিত হইয়া থাকে, তন্মধ্যে একটা উদ্ধৃত করিতেছি, শুন । কোনও পুত্র মাতার মানস ব্যভিচার অব গত হইয়া কহিতেছে আমার মাতা । পাতিব্ৰত্য পরিত্যাগ পূর্বক পরগৃহ প্রবেশ করিয়া যে পর পুরুষের প্রতি স্পৃহাবর্তী হইয়াছিলেন পিতা এই সঙ্কল্প-দোষদুষ্ট মাতৃরজ শোধন করুন। এই বেদমন্ত্রই স্ত্রীলোকের দুঃশীলতার নিদর্শন । যে স্ত্রী মনে মনেও ভর্তার অপ্রিয় চিন্তা করে পুত্রের পক্ষে মাতার সেই মানস ব্যভিচারের ইহাই শোধন মন্ত্রঞ্চ । যাকৃ,মনু তো শ্রীতিপ্রমাণে নিষ্কৃতি পাইলেন কিন্তু সমস্তাটি কিছু গুরুতর হইয়া উঠিল। বাস্তবিকই কি মনুর মতে স্ত্রীচরিত্র ঐরূপ জঘন্য। যিনি কহিয়াছেন স্ত্রীতে ও শ্রীতে কিছুই বিশেষ নাই, যথায় স্ত্রী পূজিত হন - _ வடி_. - ബ=

  • পাপ ত্রিবিধ, কায়িক বাচিক ও মানসিক । কিন্তু এদেশীয়ের মানস পাপকে যেমন ভয় করিতেন এমন আর কুত্ৰাপি দেখা যায় না। ফলত সঙ্কল্পেই পাপের জন্ম। পরে কায়মনে অভিব্যক্তি । এই সংকল্প স্থানকে পবিত্র রাখিতে পারলে পাপদোষ আসিতে পারে না। এই জন্য পূৰ্ব্বে মানস পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইত। এস্থলে প্রসঙ্গত একটী পৌবাণিক কবির কথা মনে পডিল। তিনি কামনাশের ইচ্ছায় কামকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন,

কাম জানামি তে মূলং সঙ্কল্লাদধিজtয়সে। নাহং সঙ্কল্পয়িষ্যামি অতত্ত্বং ন ভবিষ্যসি । কাম! আমি তোমার মূল জানি, তুমি সঙ্কল্প হইতে জন্ম গ্রহণ কর, অামি আর সংকল্প করিব না কাজেই তুমিও আর জন্মিবে না। মহাকবির এই মহোক্তি কামনাশের যে প্রকৃত মহৌষধ তদ্বিযযে কোনও সন্দেহ নাই । اصی -*=o দেবতারাই তথায় পূজিত হইয়া থাকেন ; তিনিই আবার বলিতেছেন এই জাতিটা মিথ্যা পদার্থ ও নরকের কীট। এখন একটু ভাল করিয়া দেখিলেই এইরূপ বৈষম্যের অর্থ পাওয়া যাইবে । মনুর অভিপ্রায় স্ত্রীস্বাধীনতারূপ চিরাচরিত ক প্রথার বিলোপ সাধন । তিনি বেশ বুঝিয়া ছিলেন জনসমাজে সুনীতি সদাচার ও ধৰ্ম্মব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখিতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে স্ত্রীরক্ষা ও তন্নিবন্ধন প্রজাশুদ্ধি আবশ্ব্যক । কিন্তু স্ত্রীজাতি স্বাধীন থাকিলে ইহা আদৌ সন্তবিতেই পারে না। কারণ ইহাতে পদে পদেই সর্বসংহারক সাঙ্কর্য্যের আশঙ্কা আছে । এই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তিনি স্ত্রীচরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া অতিদুঃখের সহিত তাহাই দেখাইলেন । পরে সুশিক্ষা ও ধৰ্ম্মজ্ঞানের অভাবে চরিত্রগত উচ্ছ স্বলতা যে একান্তই দুর্ণিবার লোকের চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া তাহা বুঝাইবার চেষ্টা পাইয়াছেন । ইহাতেও যদি না বুঝিয়া থাক তবে বেদ প্রমাণে বুঝ, এই বলিয়া কষ্টের সহিত স্ববাক্য সমর্থন করিতে গিয়াছেন । তিনি আবশ্ব জানিতেন সকল স্ত্রীই যে এইরূপ জঘন্য প্রকৃতির তাহা নহে। যদি তাই বুঝিতেন তবে স্ত্রীতে ও শ্ৰীতে কিছুই ইতর বিশেষ নাই স্ত্রীজাতির প্রতি এইরূপ সম্মানের কথা র্তাহার লেখনীমুখে কখনই নিঃস্থত হইত না । তিনি জানিতেন এই জাতির মধ্যে যেমন দেবী আছেন তেমনি দানবী আছেন । কিন্তু সামাজিক নিয়মের অনুরোধে উচ্চ শিক্ষা ও উন্নত ধৰ্ম্মজ্ঞান না থাকায় দেবী অপেক্ষা দানবীর সংখ্যাই উহাদের মধ্যে অধিক । মনুর অভিপ্রায় ঐহিক ও পারত্রিক ঘোর অনিষ্টকর সঙ্কর্য্যের সর্বtঙ্গীন উচ্ছেদ । এই উদ্দেশে যে বিধি