পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د سb _তত্ত্ববোধিনী পত্রিক_ १७ कछ, b छ|न কিম্বা বিশ্বাসে কোন গোল বাধিলে তাহার রফ পূৰ্ব্বক মিটাইয়া ফেলে। যে কোন মনুষ্য-সমাজ বৃদ্ধি ও উন্নতির পথে ক্রমশই অগ্রসর হইতেছে, রফাপদ্ধতি তাহার পক্ষে নিতান্তই আবশ্যক । এই সকল সমাজের প্রচলিত মত হয় ত একরূপ— সামাজিক ব্যবস্থা হয়ত অদ্যরূপ—পরস্পরের সহিত মিল হয় না—অনেক সময়ে অসঙ্গত বলিয়। বোধ হয় । তাহt ত হবেই ; কেন না, এই সকল সমাজের অবস্থা ক্রমাগত পরিবর্তন হইতেছে এবং এই অবস্থা পরিবর্তনের সহিত ব্যবস্থারও কিছু কিছু পরিবর্তন ক্রমাগত চলি তেছে। পুরাতন সমাজ হইতেই নুতন সহাজ, প্রস্থত হয়, সুতরাং পুরাতন সমাজের ভাব ও প্রথা কতক কতক নুতন সমাজে থাকিয়া যায়—যত দিন ন নূতন সমাজ ভালরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় ততদিন , সে সকল ভাব ও প্রথা সম্পূর্ণ উপযোগী না হইলেও হঠাৎ সে সমাজ হইতে অস্তৰ্হিত হয় না। কাজেই লোকের মতের সঙ্গে ব্যবহারের অনৈক্য হইয় পড়ে । সমাজের কাজ কোনও প্রকারে চালান চাই । নূতন সমাজ ঠিক প্রস্তুত না হইলে পুবাতন সমাজকে ছাড়া যায় না—তাহাকে রাখিতেই হয়। তবে কিনা, ক্রমাগত জোড়াতাড়া দিতে হয়। তাই বলি, রফানিম্পত্তিই স্বাভাবিক উন্নতিনিয়মের অপরিহার্য্য চর সহচর । আজ কালের রাজনীতি-সংস্কারক, ধৰ্ম্ম-সংস্কারক, সমাজ-সংস্কারকের এই সত্যটিকে বড় আমল দখল দেন না । অন্যায অত্যাচার নিবারণে ও ভ্রম সংশোধনে তাহাদের এতদুর আগ্রহ, পুরাতন প্রথা ও পুরাতন ভাবের কুফলের প্রতিই তাহদের স্থির দৃষ্টি, তাহার চিস্তাতেই তাছাদের মন এতদূর অধিকৃত— cয পুরাতন প্রথা ও পুরাতন ভাব হইতেই যে সকল সুফল প্রস্থত হইয়াছে তাহার প্রতি তাহারা একেবারেই অগ্ধ। এক হিসাবে বলিতে গেলে, এই একদেশ-দশিত কতকট। অবশ্যক। সকল বিষয়েই শ্রম বভাগ চাই ; আক্রমণ করাই যাহাঁদের কার্য, তাহাদের এমন কবিয়া আক্রমণ করা চাই যাহাতে ফল হয় – কাজেই তাহারা যে বিষয়ের প্রতি আক্রমণ করিবেন তাহলে অনিষ্ঠকারিতা তীব্ররূপে র্তাহাদের অনুভব করা আবশ্যক । পক্ষাত্তরে যাহার। আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্ৰতী —ভাল করিয়৷ নিজপক্ষ সমর্থন করিতে হইলে যে বিষয়ের সমর্থন করিবেন তাহার ঔৎকর্ষ একটু বেশ মাত্রায় হৃদয়ঙ্গম করা তাহাদের আবশ্যক । এই এক-দেশদশিতা অবশ্যম্ভাবী—কাজেই সহিয়৷ থাকা ভিন্ন উপায় নাই । কিন্তু তাই বলিয়। ইহা যে দুঃখের বিষয় নহে তাহ বলা যায় না । ব্যক্তির সমষ্টি লইয়াই সমাজ । কোন সমাজের অন্তভূ ও ব্যক্তিবর্গের যেরূপ প্রকৃতি ও গুণ হয় তদন্থসারেই সেই সমাজের গঠন ও অনুষ্ঠান সকল নিৰ্দ্ধারিত হইয়া থাকে। সমাজান্তর্গত ব্যক্তিবর্গের প্রকৃতি সারবান না হইলে সেই সমাজের স্থায়ী ও সারবান পরিবৰ্ত্তন কখনই হইতে পারে না । (সমাজের বাহির হইতে কোন উৎপাত আসিয়া যদি পরিবর্তন করে সে আলাদা কথা) । সুতরাং ইহা সহজেই উপলব্ধি হয় যে, কোন সমাজে হঠাং বহুল পবি বৰ্ত্তন আনয়ন করিলে কোন কাজ হয় না। উন্নতির পক্ষাবলম্বীরা যদি ইহা বুঝেন, যে ব্যবস্থাগুলি সমাজে আপাতত: প্রচলিত তাই যদিও অসম্পূর্ণ তথাপি কতকটা বৰ্ত্তমান অবস্থার উপযোগী এবং উন্নতির প্রতিরোধীরাও যদি ঐ কথা বুঝেন যে লোকেব প্রকৃতিব পবিবৰ্ত্তন হইযা গেলে তৎপ্রস্থত ব্যবস্থাগুলি জোর করিয়া রক্ষা করা বাঞ্ছনীয় নহে— তাহা হইলে উন্নতি-পক্ষাবলম্বীদিগের আক্রমণের উগ্রতা কমিয়া যায় এবং প্রতিপক্ষদিগের আত্ম-সমৰ্থনের তীব্রতা হ্রাস হয়। তাড়াতাড়ি কোন উন্নতি হয় না—সকলই সময়ের অপেক্ষা করে । ইহাই প্রকৃতির নিয়ম । শিশু অল্প অল্প বাড়িতে বাড়িতে অনেক কাল পরে তবে পরিপকা বস্থা প্রাপ্ত হয়—সমাজ ও অল্প অল্প পরিবর্তনের মধ্য দিয়া নিম্নতর ধাপ হইতে ক্রমশ: উচ্চতর ধাপে ডথিত হয়। প্রকৃতির গতি ধদি চিন্তা করিয়া দেখ তাহা হইলেও দেখিতে পাইবে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্রিয়া জমিয়া জমিয় তাহ হইতে বিপুল ব্যাপার সকল ক্রমশ: উৎপন্ন হইতেছে। এক বৎসব কালের মধ্যে যে সকল শক্তির অস্তিত্বই অনুভব করা যায় না সেই সকল শক্তির প্রভাবে আমাদের এহ পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশ গঠিত হইয়াছে—হsার অসংখ্য প্রাণিপুঞ্জ কত যুগ যুগান্তর হইতে আরস্ত হইয়া ক্রমশঃ বিকশিত হইয়াছে তাহ আমরা মনেও ধারণা করিতে পারি না। সেইরূপ মনুষ্য-সমাজে কোন স্থায়ী পরিবৰ্ত্তন হইবার পূৰ্ব্বে কত অসংখ্য চিন্তা, কত অসংখ্য ভাব, কত অসংখ্য কাৰ্য্য সমাজের মধ্য দিয়া বিচরণ করিতে থাকে তাহার ঠিকানা নাই। উন্নতির এই স্বাভাবিক পদ্ধতিকে সংক্ষেপ করা অসম্ভব—যথাযোগ্য ধৈয্যসহকারে ইহার মধ্য দিয়া চলিতেই হইবে। আমাদের জানা উচিত আমরা প্রত্যেকে সমাজের উন্নতির জন্য অতি অল্প কাজই করিতে পারি কিন্তু যে টুকু করিতে পারি তাহ যেন ভাল করিয়া করি । श्रांभल्ला पनि श्राभाcमब्र नरूट कॉtख कश्रौग्न डेलाग উৎসাহের সহিত জ্ঞানীর প্রশাস্ত ভাৰ মিশ্রিত করি তবেই আমাদের সঙ্কলাঙ্গীন মঙ্গল । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।