পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՏ ויוס ג דשא פיג TS STA AMSMS - - - - -ms বৃন্দাবনধামে উপনীত হইবার পূর্বেই রূপ গোস্বামী কনিষ্ঠ ভ্রাতা অনুপমকে সঙ্গে লইয়া সনাতনের উদ্দেশে গঙ্গাপথে যাত্রা করিয়াছেন । র্তাহারা প্রয়াগে আসিয়া সনাতনের বৃন্দাবন গমন সংবাদ অবগত হইলেন। তৎপরে কাশীতে উপনীত হইয়া তপনমিশ্র ও চন্দ্রশেখর আচাৰ্য্য প্রভৃতির সহিত মিলিত হইলেন। সনাতনের প্রতি প্রভুর অনুগ্রহ ও প্রেমভক্তিতত্ত্ব শিক্ষার বিষয় অবগত হইয়া এবং কাশীবাসী দণ্ডী পরমহংসদিগের মুখে চৈতন্য প্রভুর মাহাত্ম্য শ্রবণ করিয়া রূপ অতিমাত্র আনন্দ লাভ করিলেন । কাশীতে কিছুদিন অবস্থিতি করত র্তাহারা গৌড় অভিমুখে যাত্রা করিলেন। গৌড়ে উপনীত হওয়ার পর অনুপমের পরলোক প্রাপ্তি হয়। এই সময়ে গৌরচন্দ্র নানাতীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া নীলাচলে অtসিয়া বাস করিতেছিলেন। বঙ্গদেশের ভক্তগণ এই সংবাদ পাইবামাত্র চৈতন্য চরণ দর্শনের জন্য নীলগিরি গমন করিতে লাগিলেন। অনুপমের মৃত্যুর পর রূপ কিছুদিন বঙ্গদেশে অবস্থিতি করিয়া নীলাচল গমন করেন । ইতিপূর্বে বৃন্দাবন ধামে অবস্থান কালে রূপ গোস্বামী কৃষ্ণলীলা নাটক লিখিতে আরম্ভ করেন । নাটকের কিয়দংশ অর্থাৎ মঙ্গলাচরণ ও নান্দীশ্লোক বৃন্দাবনেই লিখিত হইয়াছিল। গৌড় হইতে রূপ গোস্বামী নীলাচল আসিবার কালে সত্যভামাপুর নামক কোন গ্রামে এক রাত্রি বিশ্রাম করেন । এইখানে রূপ রাত্রে স্বপ্ন দেখেন যেন এক দিব্যরূপধারিণী রমণী আসিয়া বলিলেন, আমার নাটক পৃথকরূপে রচনা করিবে। স্বপ্নের কথা মনে মনে বিচার করিয়া রূপ এই সিদ্ধান্ত করিলেন যে, শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজ তত্ত্ববোধিনী ళ J লিখিবার সংকল্প করিয়াছি, এই জন্য সত্যভামা দুই লীলা স্বতন্ত্ররূপে লিখিবার জন্য আদেশ করিলেন । তদনস্তর রূপ পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে সমাগত হইয়া হরিদাসের আশ্রমে বাস করিতে লাগিলেন । হরিদাস নীচজাতি যবন, এইজন্য জগন্নাথপুরীতে থাকিতেন না, শ্ৰীক্ষেত্রের অনতিদূরে নির্জন স্থানে একটি সামান্য কুটীরে হরিনামরসে নিমগ্ন থাকিতেন । * * চৈতন্যদেব প্রতিদিন হরিদাসের কুটীরে আসিয়া তাহার সঙ্গে ভগবৎপ্রসঙ্গে মগ্ন হইতেন । গৌরচন্দ্র রূপকে আলিঙ্গন করিয়া কুশল প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। অনন্তর গেীর রূপ গোস্বামীর সঙ্গে নিত্যtনন্দ অদ্বৈত প্রভূতি বঙ্গদেশীয় ও উড়িষ্যাবাসী ভক্তগণের পরিচয় করিয়া দিলেন । রূপ বিনয়ে অবনত হইয়া ভক্তগণের চরণবন্দনা করিলেন । রূপের নিরভিমান গভীর জ্ঞান ও বিনয়াবনত ভক্তিভাব সন্দশন করিয়া ভক্তগণ পরম প্রীতি লাভ করিলেন । এই সময়ে রূপ নাটক রচনাতে নিযুক্ত ছিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজলীলা ও পুরলীলা পৃথক ভাবে লিখিবার কথা বোধ হয়

  • হরিদাস ও রূপ সনাতন অfপনাদিগকে নীচ জাতি জ্ঞান করিয়া জগন্নাথ মন্দিরে গমন করিতেন না, উtহার এক্ষেত্রের বহির্দেশে অবস্থান করিতেন । সনাতন ও রূপ নীলাচলে গিয়া হরিদাসের আশ্রমেই বাস করিয়াছিলেন । ইহঁাদের মধ্যে যিনি যখন নীলাচলে থাকিতেন, চৈতন্যদেব প্রতিদিন আসিয়া তাঙ্গার সহিত সাধন ভজন প্রেমালাপে কিছুক্ষণ যাপন করিতেন ।

“হরিদাস ঠাকুর শ্ৰীৰূপ সনাতন । জগন্নাথ মন্দিরে এই নাযান তিনজন ॥ মহাপ্রভু জগন্নাথের উপলভোগ দেখিয়া । নিজ গুহে যান এই তিনেরে মিলিয়া । এই তিন মধ্যে যবে থাকে যেই জন । তারে আসি আপনে মিলে প্রভূর নিয়ম।” ऐफ़उनJ छब्रिाउांशृउ नषTष७ • ग शब्रिटष्झन ।