পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ Ծի ծեֆՓ স্ত্রীচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ bハー) চৈতন্য অবগত হইয়াছিলেন ; একদিন গৌর বলিলেন, “কৃষ্ণকে বাহির নাহি করিছ ব্রজ হইতে । ব্ৰজছাড়ি কৃষ্ণ কভু নাযান কাহাতে ॥” • छूझे লীলা স্বতন্ত্রভাবে বর্ণনা করিবেন

  • বৈষ্ণবদিগের মতে কৃষ্ণ দুইজন ৷ যদুবংশ সস্তুত কৃষ্ণ আর ননানন্দন কৃষ্ণ । বৈষ্ণবেরা ಛಿ। কৃষ্ণকেই মাধুর্য্যভাবে ভজনা করিয়া থাকেন। র্তাহ দের মতে নন্দননান কৃষ্ণ ব্রজভূমি পবিত্যাগ করিয়৷ কখন অন্তত্রে গমন করেন না। প্রমাণ স্বরূপে তা হারা লঘুভাগবতামৃতস্থত এই যামল বচন উল্লেখ করেন ।

“কৃষ্ণোহন্তো বহুসন্থতো যস্ত গোগেন্দ্রনন্দনঃ। বৃন্দাবনং পরিত্যজ্য স কচিন্ত্রৈর গছত ” বৈষ্ণব টীকাকার বলেন, “ষঃ কৃষ্ণে যদুসস্তৃত; স বৃন্দাবনং পরিত্যজ্য মথুরায়াং গচ্ছতি । যে নন্দনন্দনঃ কৃষ্ণ: স বৃন্দাবনং পরিত্যজ্য পাদমেকং কচিং ন গচ্ছত্যেব।” এই কথার সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য বৈষ্ণু বাচার্য্যের বলেন যে, যৎকালে বসুদেব কংসের কারাগার হইতে কৃষ্ণকে বৃন্দাবনে নন্দালয়ে লইয়া যান, সেই সময়ে বসুদেবের ক্রোড় হইতে কৃষ্ণ যমুনাসলিলে পড়িয়া গিয়াছিলেন। বসুদেব ব্যাকুল হইয়া অন্বেষণ করিবামাত্র কৃষ্ণকে প্রাপ্ত হইলেন ; কিন্তু এবারে চতুভূজ ও চুড়াধারী কৃষ্ণ নহেন, ইনি দ্বিভূজ মুরলীধর মূৰ্ত্তি। বৈষ্ণর্বদিগের মতে এই দ্বিভূজ মুরলীধর পাতাম্বর ননানন্দন কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান, গোলোকধামে গোপ গোপীদিগের সঙ্গে তাহার যে মাধুর্য্যলীলা তাহ। অনাদি অন্তহীন ও নিত্য। অদ্যাবধি জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্রহ্মপুরে সেই নিত্যলীলা অবিশ্রাম তরঙ্গায়িত হইতেছে। প্রপঞ্চময় বৃন্দাবন-লীলা এই অপ্রকট নিত্যলীলার বাহ বিকাশ মাত্র। এই মাধুর্য্যময়ী নরলীলা প্রকটন জন্য স্বয়ং ভগবানের যে অবতরণ, তাহাই পূর্ণাবতার। তদ্ব্যতীত অস্থর সংহার ও যুগধৰ্ম্ম প্রবর্তন নিমিত্ত যুগাবতার এবং বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডের স্থষ্টি স্থিতি বিনাশ সাধনার্থ ব্ৰহ্মাবিষ্ণু রুদ্ররূপে শ্ৰীহরির গুণাবতার প্রভৃতি উক্ত পূর্ণ পুরুষের অংশ শক্তি মাত্র। সচ্চিদানন্দ স্বরূপ পূর্ণ ব্রহ্মের অসংখ্য শক্তি বিশ্বস্বষ্টিতে অবতীর্ণ হইয়। স্থষ্টিলীলা রক্ষা করিতেছে, সুতরাং অবতারও অসংখ্য । কিন্তু লোক সকলকে শুদ্ধভক্তি শিক্ষা দিয়া নিৰ্ম্মল প্রেমের অধিকারী করিবার জন্য স্বয়ং ভগবান পূর্ণ রূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । “অনুগ্রহায় ভূতানাং মানুষং দেহমাস্থিত: | ভজতে তাদৃশীঃ ক্রীড়াঃ শ্রদ্ৰা যৎ তৎপরেী ভবেৎ।।" (ভাগবত ।) ভগবান ভুত সকলকে কৃপাদানের জন্য লীলাম্বলে ইহলোকে দেহধারণ করেন, তিনি মানব দেহ ধারণ করিয়া মানৰোচিত লীলা করেন, যাহ। শ্রবণ করিয়া মনুষ্য র্তাহাকে শ্ৰেষ্ঠজ্ঞান করিয়া তাহাতে রত হয়। এই পূর্ণাবতাররূপ নরলাল প্রকটনজন্য ভগবান স্বতন্ত্র cनश् शांब्र१ न कब्रिग्रा, मूर्शांवङांद्र कां८ण उनौघ्र श्रश्न so يه l * রূপের এই ইচ্ছা ছিল, এক্ষণে শ্ৰীচৈতন্যের সম্মতি পাইয়া উৎসাহিত হইলেন, এবং পৃথক পৃথক নান্দীপ্রস্তাবনা লিখিয়া লীলাভেদে বিদগ্ধমাধব ও ললিতমাধব নামে সংস্কৃত ভাষায় দুইখানি নাটক লিখিতে লাগিলেন । রূপ গোস্বামী কেবল বিষয় বিরাগী হরিভক্ত সাধু ও সংস্কৃতশাস্ত্রে | পণ্ডিত ছিলেন তাহা নহে, তিনি একজন প্রতিভাশালী কবি । এই সকল গ্রন্থে র্তাহার ভtঘমাধুর্ঘ্য, পদলালিত্য ও স্বাভাবিক কবিত্বশক্তি অতি উজ্জ্বল রূপে প্রকাশিত হইয়াছে । একদিন হরিদাসের আশ্রমে বসিয়৷ রূপ নাটক লিখিতেছেন, এমন সময়ে চৈতন্যদেব সেইখানে অtসিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং কি পুথি লিখিতেছ ? বলিয়া লিখিত পুস্তকের একটি পাতা টানিয়া লইলেন। প্রথমতঃ রূপের হস্তাক্ষরের প্রশংসা করিয়া চৈতন্য বিদগ্ধ মাধ বের এই শ্লোকটি পড়িতে লাগিলেন । “তুণ্ডে তাওবিনী রতিং বিতযুতে তুণ্ডাবলীলৰূয়ে। কর্ণক্রোড়কড়ম্বিনী ঘটতে কর্ণার্বদে ভ্যঃ স্পৃহাং ॥ চেত: প্রাঙ্গণসঙ্গিনী বিজয়তে সৰ্ব্বেক্রিয়াণাং কৃতিং । নোজানে জনিত কিয়স্তিরমু ৈতঃ কৃষ্ণেতি বর্ণদ্বয়ী ॥ " স্বরূপ ক্ষীরোদশায়া নারায়ণ দেবকীগৰ্ত্তে শ্ৰীকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হইলে সেই দেহে আবিভূতি হইয়া ব্ৰহ্মধামে / প্রেমলীলা প্রকটত করিয়াছিলেন । অপিচ ভগবানেৰ” পূর্ণাবতার কালে অংশাবতার যুগাবতার প্রভৃতি সকলেই সেই বিগ্রহে আসিয়া মিলিত হয়। পূর্ণতম স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণের পূর্ণাবতার সময়ে অর্থাং বৈবস্ব ত মন্বন্তরের অষ্টাবিংশ চতুযুগের দ্বাপর যুগের শেষে পালনকৰ্ত্ত বিষ্ণুর ভুভারহরণ নিমিত্ত যুগাব তালেপ উপস্থিত হওয়ায় উভয়ে একত্রে অবতীর্ণ হুঙ্গ যা

  • 需 প্রকটন ও যুগধৰ্ম্ম সংস্থাপন কবিধ ছিলেন। এইজন্য বৈষ্ণব মতে যিনি যুগাবতাব, তিনি যদুবংশোদ্ভব ও ভগবানের অংশ ; আর চিত্ৰ দাবনস্থ নিত্য লীলানিহারী স্বয়ং ভগবান নন্দনন্দন কৃষ্ণ প্রাকৃত বৃন্দাবনে শান্ত দাস্য সখ্য বাৎসল্য ও মধুব ভাবের নিম্মল ভক্তি প্রবর্তিত করিয়াই অস্তঙ্গত হইয়াছিলেন, তিনি কখনও বৃন্দাবন পরিত্যাগ করেন নাই । যদুকুলোভূত অংশাবতার কৃষ্ণই বৃন্দাবন হইতে মথুরা গমন করিয়াছিলেন । ' '