পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\5tur $v*v বৈদান্তিক প্রমাণতত্ত্ব ԵԳ 4__> লেও অপরোক্ষ রূপে উৎপন্ন হইয়াছিল । এই যেমন দৃষ্টান্ত, তেমনি, অন্যত্র ও ঐরূপ হইয়া থাকে। সুখ বিদ্যমান আছে, অথচ তাহা ভ্রান্তি প্রতিবন্ধকে সাক্ষাৎহইতেছে না, এমত অবস্থায় যদি কেহ তাছা “ত্বং সুখী” বলিয়া প্রতীত করায়, তবে, সে প্রতীতি বা সে জ্ঞান অপরোক্ষ হইবেক । সংক্ষেপ নিষ্কর্ষ এই যে, বাক্য-জনিত জ্ঞানও কদাচিৎ অর্থাৎ বিষ য়ের অবস্থা অনুসারে প্রত্যক্ষতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ধূম দর্শনের অনন্তর যে পৰ্ব্বতে বহিমান—এই পৰ্ব্বত বহ্লিবিশিষ্ট, ইত্যাকার জ্ঞান হয়, সে জ্ঞানের এক অংশে পরোক্ষ এবং অপরাংশে অপরোক্ষ । বহ্লাংশে পরোক্ষ ও পৰ্ব্বতাংশে অপরোক্ষ । জ্ঞানের যে অংশ অদৃষ্টচর বহ্লিকে বিষয় করে, ক্রোড়ীকৃত করে, সে অংশ পরোক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ থাকে, অবশিষ্টাংশ অপরোক্ষ অর্থাৎ প্রত্যক্ষতা প্রাপ্ত হয় । পৰ্ব্বতাবচ্ছিন্ন চৈতন্য ও চক্ষুঃপথে বিনিঃস্থত অন্তঃকরণ বৃত্তি ও তদবচ্ছিন্ন চৈতন্য পৰ্ব্বত প্রদেশে এক বা অভিন্ন হইয়া যায় বলিয়াই পৰ্ব্বত বিষয়ে অপরোক্ষ জ্ঞান হয় । বহু বিচ্ছিন্ন ও অন্তঃকরণ-বৃত্ত্যবচ্ছিন্ন চৈতন্য তাদৃশ স্থলে এক বা অভিন্ন হয় না বলিয়া বহ্লিবিষয়ে পরোক্ষ (অপ্রত্যক্ষ) জ্ঞান হইয়া থাকে। যেখানে বহি আছে, মন বা অন্তঃকরণ সেখানে গিয়া বহ্ব্যাকার বৃত্তি ধারণ করে নাই, স্বস্থানে থাকিয়াই কল্পনার সাহায্যে বহ্ব্যাকার বৃত্তি ধারণ করিয়াছে, সেই কারণে চৈতন্যের প্রভেদ ও বন্ত্রির পরোক্ষতা ঘটিয়াছে, ইহা মনে রাখিতে হইবেক । যেখানে পৰ্ব্বত, অন্তঃকরণ চক্ষুরিক্রিয়ের সাহায্যে সেইখানে গিয়া তদাকারাকারিত হইয়াছে, সুতরাং সেই न । S T S SSMSSSMSSSLSSSSSSLSSSSSSLSSSSSSLSSSSMS TS TTCCCSSMSSSLSSSSSSLSST SAAAAS পৰ্ব্ব ত প্রদেশস্থ পৰ্ব্বতাকার। মনোবৃত্তি দ্বিগুণিত চৈতন্যে সমুজ্জ্বলিত বা প্রতিরঞ্জিত হওয়ায় স্পষ্টতাধিক্য বশতঃ পৰ্ব্বতের অপরোক্ষ তা বা প্রত্যক্ষতা উৎপাদন করিয়াছে। লোকে ও অনুভব করে, পর্বত দেখিতেছি, বহ্লি অনুমান করিতেছি । বহ্লি দেখিতেছি, এরূপ অনুভব কেহই করে তানুমিতি জ্ঞান মাত্রেই পরোক্ষ, এ প্রসিদ্ধি এতন্মতে বছুংশে সংরক্ষিত হইতে পারে কিন্তু ন্যায় মতে পৰ্ব্ব তাংশে ও পরোক্ষ জ্ঞান হওয়ার আপত্তি হয় । তাহারা পৰ্ব্বতে বহ্রিমান, এই জ্ঞানকে এক জ্ঞান বলেন, সুতরাং তাহা ঐরূপ আপক্তর কারণ হয় । নিষ্কর্ষ এই যে, অনুমিতি জ্ঞানের বিষয় (অনুমেয় বস্তু) মাত্রেই অসন্নিকৃষ্ট থাকে অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গোচরে থাকে না, সেই কারণে তাহা পরোক্ষ থাকে । চন্দন-খণ্ড দর্শনের পর যে “সুগন্ধ চন্দন” এতদ্রুপ জ্ঞান হয়, সে জ্ঞানও পরোক্ষাপরোক্ষ উভয়াত্মক । সৌগন্ধ্যাংশে পরোক্ষ এবং চন্দনাংশে অপরোক্ষ । (গন্ধ অনুমেয় ও চন্দন প্রত্যক্ষ) গন্ধ পদার্থ চক্ষুগ্রাহ্য নহে বলিয়াই তদংশে পরোক্ষ জ্ঞান হয় । দেখিতেছি, এইস্থলে নৈয়ায়িক অtপত্তি করিবেন । নৈয়ায়িক বলিবেন, একই জ্ঞানে পারোক্ষ্য ও অপারোক্ষ্য মান্য করিতে গেলে জ্ঞানের জাতিত্ব নষ্ট হয় । সাংকৰ্য্য অন্যতম জাতিবাধক ; সুতরাং ঐ দ্বৈরূপ্য রূপ সাংকৰ্য্য জ্ঞানত্ব জাতির বাধক প্রমাণ । এ বিষয়ে বৈদtন্তিকের প্রত্যাপত্তি (নৈয়ায়িকের আপত্তির খণ্ডন) এই যে, জাতিত্বের বাধ হইলে ক্ষতি কি ? জাতি না থাকাই বৈদান্তিকদিগের ইষ্ট । জাতি, উপাধি, এ সকল