পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS তত্ত্ববোধিনী পত্রিক יוס ג הוא סיג -- - - - - - = ജബ সেই স্বীকারবৃত্তির প্রকাশক আত্ম-চৈতন্য অথবা চৈতন্যপ্রতিফলিত ( উজ্জ্বলিত ) সেই স্বাকারবৃত্তি প্রমাতৃ-চৈতন্য নামে খ্যাত। যদি এই প্রমাতৃ-চৈতন্যের সহিত বিষয়ের সমসত্তাকত ঘটনা হয়, আর বিষয়ে যদি প্রত্যক্ষ হইবার যোগ্যতা (সামর্থ্যবিশেষ) থাকে, তাহা হইলে তাদৃশ বিষয়ে বা পদার্থে প্রত্যক্ষ জ্ঞান জন্মে । ( ক্রমশঃ ) গীতামাহাত্ম্য । ( হিন্দুবঞ্জিকা হইতে উদ্ধত । ) ভগবদগীতার ন্যায় ধৰ্ম্মগ্রন্থ ভূমণ্ডলে আর নাই। যে জাতির এমন ধৰ্ম্মগ্রন্থ আছে সে জাতি পৃথিবীর মধ্যে ধৰ্ম্ম বিষয়ে অত্যন্ত উচ্চ পদবী দাবি করিতে পারে তাহার সন্দেহ নাই । হিন্দুকুলগৌরব কোন মহাত্মা গ্রু বলিয়াছিলেন—“ভগবদগীত। মানে না যে তার কথা শুনিবে কে ৷” সঞ্জয় গীতাসম্বাদ সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “অদ্ভুতং লোমহর্ষণং” । বাস্তবিক যখন আমরা শান্ত সমাহিত চিত্তে গীতাপাঠ করি তখন লোমহর্ষণ না হইয়া থাকে না। অর্জন গীতাসম্বাদ শ্রবণ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণকে বলিয়াছিলেন— “নষ্টো মোহ: স্মৃতিৰ্লব্ধ ত্বৎপ্রসাদাম্ময়াচু্যত । স্থিতোস্মি গতসন্দেহ: করিয্যে বচনং তব ॥” এখনও আচু্যত ভগবান আমাদিগের হৃদয়স্থিত হইয়া অামাদিগকে গীতাবাক্যে উপদেশ দিতেছেন, সেই বাক্য শুনিয়া আমরা যখন অর্জনের ন্যায়— STSTM TT iMAAA SAAAAASA SLLL SAAAAS AAASASASS क ब्लॉछां ब्राम८भांश्न ब्रांछ । _ “নষ্টোমোহ: স্মৃতিৰ্লব্ধ ত্বং প্রসাদাম্ময়াচু্যত । স্থিতোস্মি গতসন্দেহ: করিষ্যে বচনংতব ॥” র্তাহাকে বলিতে ও বলা অনুযায়ী কাৰ্য্য করিতে সক্ষম হইব তখন আমরা মানবজন্মের সার্থকতা লাভ করিব। গীতা আtমাদিগকে ব্রহ্মভূত অর্থাৎ ব্রহ্ম-পদার্থ হইতে উপদেশ দিতেছেন । ‘মদ্ভাবমাগতাঃ” বহু জ্ঞান ও তপস্যা দ্বারা পবিত্র হইয়। যখন আমরা ঈশ্বরভাব প্রাপ্ত হই তখন মানব জীবনের উদেশ্য সম্পাদিত হয় । গীতা আমাদিগকে উপদেশ দিতেছেন যে জগতে মনুষ্যের একমাত্র কার্য্য ঈশ্বরের সহিত অব্যাহত ও চিরস্থায়ী যোগ । “যথা দীপোনিবাতস্থঃ’ যখন যোগে নিবাত প্রদেশস্থ দীপের ন্যায় মন আচঞ্চল ভাব ধারণ করিবে “নিষ্কম্পমিব প্রদীপং” তখন আমরা পরম অবস্থা প্রাপ্ত হইব । তখন আমরা জীবন্মুক্তি লাভ করিব । যোগই মানবের এক মাত্র কার্য্য ; বিষয় অলস রাখিবার স্থান মাত্র । বাউলেরা যথার্থ বলিয়াছেন, “বিষয় বালিসে অলস রেখে । চেতন থাকে যেন ঘুমাইও না ॥” চক্ৰপাণী উদ্ধৃত একটি চমৎকার শ্লোক उग्रांप्छ । “পুংখানুপুংখ বিষয়েস্বনু তৎপরোপি । ধীরে ন মুঞ্চতি মুকুন্দপদারবিন্দং ॥ সঙ্গীতনুত্যকৃতিতানবশং গতাপি মৌলিস্থকুম্ভপরিরক্ষণধীন টীব ।” পুংখানুপুংখ বিষয়ে তৎপর হইয়াও ধীর ব্যক্তি মুক্তিদাতা পরমেশ্বরের পদ বিস্মৃত হয়েন না । কিরূপ যেমন বুদ্ধিমতী নট সঙ্গীত ও নৃত্য করিবার সময় আপনার মস্তকস্থিত জলপূর্ণ কুম্ভ বিস্মৃত হয় না । সঙ্গীত ও নৃত্যের নিয়ম অতি কঠিন, সেই সকল নিয়ম পালন পূর্বক সঙ্গীত ও নৃত্য করিয়াও নটা মস্তকস্থিত্ন