পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פ צשל עוש ংবাদ δΦ o SS SSAS SSASAS SS SSMM কার্য্য করিতেছেন সেইরূপ আমরা ও সেই সংহত তেজে প্রতিষ্ঠিত হইয়া যেন নীরবে জগতের কার্য্য করি । মঙ্গলময় পরমেশ্বর চাহেন যে তাহার সন্তানেরা তাহার অনুকরণ করিয়া সংসারে বিচরণ করুক । তা হার এই ইচ্ছা । ইহা করিলেই আমাদিগের । মঙ্গল । তাহার অনুকরণেই আমাদের য সব দুঃখ দারিদ্র্য থাকিতে পায় না। কিন্তু আমরা তানেক সময়ে করি না, বিষয়-মদে । মত্ত হইয়া অহঙ্কারী হতীয় উঠি । হায়! এই অহঙ্কার আমাদের কি ভয়ানক ক্ষুদ্রতা । এই তাহঙ্কারে অমরা একেবারে তাহার অনুকরণ হইতে বহু দূরে পড়ি। কারণ তিনি স্বয়ং কিরূপ মহান নিরহঙ্কার তাহার স্পষ্ট পরিচয় পাই । এই এত বড় জগত, তাছার রাজাধিরাজ স্রষ্টা তিনি ; অথচ স্রষ্টা কর্তা বলিয়া তাহার কুত্ৰাপি কোনই অহঙ্কারের চিন্তু দেখিতে পাই না। তিনি আপনাকে বড়াই করিয়া জানান ন 1; তবে যে তাহাকে নিতান্ত জানিবার জন্য ব্যাকুল হয় আগ্রহ প্রকাশ করে, সেই সাধকের দায়ে পড়িয়া কিম্বা তাহার অন্তরে নিতান্ত আবশ্যক হইলে তিনি নিঃশব্দে প্রকাশিত হন । তিনি স্তব্ধভাবে নিজ স্বস্ট জগতের সর্বদাই মঙ্গলে রত। অহঙ্কারী মানব র্তাহার এই স্তব্ধ মহিমা বুঝিতে পারে না। নিরহঙ্কার হইয়া যখন আমরা এই সংসারে বিনীতভাবে বিচরণ করি তখনই তাহার নীরব মহিমা আমাদের নিকট উপলব্ধ হয় । পরে তাহ অনুকরণ পূর্বক যথার্থ শান্তি অনুভব করি। শোক তাপ সমুদয় চলিয়া যায়। তখন আমাদের এই ভয়ানক সংসারে প্রকৃত নির্ভর স্থান জোটে। আমাদের অবিশ্বাস ঘুচিয়া যায়, আমরা বিশ্বাসময় হইয়া প্রাণে অমৃত লাভ করি । অমৃত | থার্থ মনুষ্যত্ব জন্মায়। আমাদের এত এই | - লাভ করিয়া সেই অমৃতময়ের যথার্থ পরিচয় প্রাপ্ত হই । সংবাদ । ইহা সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিবেন পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে যখন এই দেশে জনসাধta.৭র মধ্যে ঘোরতর অজ্ঞান ও কুসংস্কার এাধিপত্য করিতেছিল সেই সময় ধৰ্ম্ম প্রাণ এ কমাত্র শ্রীমৎ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় হৃদয়ের প্রেরণায় ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিয়া মহাত্মা রামমোহন রায়ের কীর্তিরক্ষার্থ বদ্ধপরিকর হইয়া ছিলেন। র্তাহার অটল ধৰ্ম্মনিষ্ঠা অকৃত্রিম স্বদেশানুরাগ এবং জ্ঞান বিজ্ঞান প্রচারে অসাধারণ উৎসাহ ও অধ্যবসায় দেখিয়া তৎকালে এদেশের কৃতবিদ্যদিগের শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রান্ত লোকেরা তাহার এই মহৎ ও পবিত্র কার্য্যে সহায়তা করিবার জন্য তাহাকে আসিয়া বেষ্টন করিয়াছিলেন । ব্রাহ্মসমাজের এই প্রদীপ্ত সূৰ্য্যকে তৎকালে যে সমস্ত উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কমণ্ডল চারিদিকে ঘেরিয়াছিলেন দুরন্ত কাল তাহাদিগের অনেককেই একে একে গ্রাস করিয়াছে। যাহা অবশেষ ছিল এক্ষণে তাহাও আর নাই । আমরা শোকসন্তগুচিত্তে প্রকাশ করিতেছি ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র এবং পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চিরদিনের জন্য এই মর্ত্যভূমি পরিত্যাগ করিয়াছেন । যখন বঙ্গদেশে জ্ঞানধৰ্ম্ম বিস্তার করিয়া প্রকৃত উপকার সাধনের জন্য তত্ত্ববোধিনী সভা প্রতিষ্ঠিত হয় অন্যান্য সভ্যের সহিত এই দুই মহাত্মাও তাহার সভ্য ছিলেন । এই সভা প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের প্রথম কীৰ্ত্তি। এই সভার মুখপত্র এই তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা বিশেষ যত্ন ও পরিশ্রমে