পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:ృ0 মাণ নহে। আবহমান কাল এইরূপ কল্পিত মতই প্রচার হইয়া আসিয়াছে, যদি মূলের দিকে না দৃষ্ট্রি রাখা যায়, চিরকাল এই রূপই মত প্রচার হইতে থাকিবে । শুদ্ধ মত বা অনুমান দ্বারা প্রত্যক্ষ সত্যের খণ্ডন চেষ্টার প্রতি তামাদের শ্রদ্ধা নাই। মত মহাধী ব্যক্তিদিগের প্রসবিত হইলে, তাহ। আপাততঃ আমাদের সঙ্কীর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিকে চমৎকৃত করিতে পারে, কিন্তু বিশ্বসকে চরিতার্থ করিতে পারে না । বিশ্বাসের প্রসার বুদ্ধিকে অতিক্রম করিয়া বহুদূর বিস্তৃত । পূর্বে প্রদর্শিত হইয়াছে যে, শুদ্ধ যুক্তি দ্বারা প্রত্যক্ষ আধ্যাত্মিক সত্যকে খণ্ডন করিবার চেষ্টা নিস্ফল । এরূপ প্রত্যক্ষ সত্যকে পরীক্ষা করিতে ইচ্ছা কর; বাধা নাই। কিন্তু তৎপক্ষে বিলোম প্রণালী প্রশস্ত নহে। পরীক্ষা করিতে হইলে, অবিসম্বাদিত অন্য কোন সত্যের সহিত তাহার সমন্বয় করা উচিত হয় । বস্তুতঃ আমরা এই রূপ প্রণালী অবলম্বন করিয়াই সংশয়বাদিদিগের সন্তো- | যার্থ, ঈশ্বরের পূর্ণত্বের পরীক্ষা করিব। ZF : | মেদিনীপুর ব্রাহ্মসমাজ। ষটুত্রিংশ সাম্বৎসরিক উৎসব । که به همرالا এই দৃশ্যমান জগতের এক জন স্রষ্টা আছেন ইহা বিশ্বজনীন বিশ্বাস । সমস্ত জগৎ কৌশল ও সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ। সে কৌশল ও সৌন্দর্ঘ্যের মূল কি জড়শক্তি ? এক খানি সুচিত্র দেখিলে আমরা চিত্রকরের জ্ঞানবত্তা ও বুদ্ধিমত্তা স্বীকার করিয়া থাকি । আর র্যাহার হস্তের সুনিপুণ ভূলিকায় এই জগচ্চিত্র সুরঞ্জিত হইয়াছে ও সুসজ্জিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা এরূপ কল্পিত | זאש 3 :e <ftג হইয়াছে কোন মানব তাহাকে পূর্ণজ্ঞান ও পূর্ণশক্তিসম্পন্ন বলিয়া স্বীকার না করিবে ? যে মানব রজনীতে উৰ্দ্ধে জালনিবদ্ধ সঙ্খ্যাতীত দীপালোকের নায় গ্ৰহতার চন্দ্রমার প্রতি নেত্রপাত করিয়াছেন; এবং একবার স্থিরচিন্তে তাহদের স্থিতি, গতি ও শৃঙ্খলার বিষয় চিন্তা করিয়া দেখিয়াছেন, তিনিই তাঁহাতে সেই বিশ্বশিল্পীর করতুলিকার জাজ্বল্যমান চিন্তু অনুভব করিয়| মোহিত হইয়াছেন । যে ব্যক্তি একটী শিরাবিশিষ্ট গলিত অশ্বথ পত্র স্থিরনেত্রে নিরীক্ষণ করিয়াছেন, তিনি তাহাতে তাহার রচয়িতার আশ্চৰ্য্য কৌশল দর্শন করিয়া বিস্ময়ে মগ্ন হইয়াছেন । যে শবব্যবচ্ছেদক পণ্ডিত জীব-শরীর-ব্যাপ্ত শিরা ও ধমনীজলের অবস্থান ও ক্রিয়া নিবিষ্টচিন্তে পৰ্য্যালোচনা করিয়াছেন, তিনিই তাহার নিৰ্ম্মাতার জ্ঞান ও কৌশল বুঝতে পারিয়াছেন। স্থলভাবেই দর্শন কর, আর সূক্ষরূপেই পৰ্য্যালোচনা কর এই জগতের মূলে এক জ্বলন্ত জীবন্ত শক্তি দেখিতে পাইবে । এই জগতের যিনি স্রষ্ট, তিনি আমী রও নিৰ্ম্মত| যিনি বিশ্বসংসারের মঙ্গলবিধাত, তিনি আমারও সুখদাতা । আমার অনন্ত কালের সুখমোক্ষদাতা । তিনি আমাদের সকলেরি সুখশান্তিদাতা । তিনি যেমন আমাদিগের বিধাতা তেমনি তিনি আবার আমাদের অন্তরের প্রিয়সখা । সেই অন্তরতম সখার দর্শন ও আলিঙ্গনে পরম স্থখলাভ হয় । সেই সুখই মনুষ্য জীবনের প্রকৃত সুখ । তাছাই আমাদের আত্মার অনন্ত কালের উপজীব্য। ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম যেমন বলেন যে জগৎকারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন তেমনি ইহাও বলেন যে জড় শরীর হইতে স্বতন্ত্র অভৌতিক জীবাত্মা আছে। সেই আত্মা অনন্তকাল