পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্য রুদ্ধাখ্যপুরে গমন করিলেন এবং তথায় উপস্থিত হইয়া শুনিলেন যে ভট্টাচাৰ্য্য “আমি জৈন বধ করিয়া কি সৰ্ব্বনাশ করিয়াছি, যখন জৈনের নিকটে শিক্ষালাভ করিলাম, তখন জৈন আমার গুরু হইল, স্থতরাং গুরুবধ করিয়াছি” এই ভাবিয়া বিজন প্রদেশে হোমাগ্নি দ্বারা দেহ পাত করিতে সংকল্প করিয়াছেন । তথন তাহার দর্শনার্থ শীঘ্ৰ গমন পূর্বক তাহার সমীপে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন যে ভট্টা র্ঘ্যের জানুপৰ্য্যন্ত দগ্ধ হইয়াছে। শঙ্করাচাৰ্য্য ভট্টকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “হে দ্বিজ ! তুমি অজ্ঞানত এই অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছ, তুমি গৃঢ় বেদার্থ পরিজ্ঞাত নহ।” ইহ শুনিয়া ভট্ট জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি কি নূতনতর বৌদ্ধ ?” শঙ্কর উত্তর করিলেন । “আমি বৌদ্ধ নহি, অদ্বৈত-মত-প্রচারক । শঙ্করাচার্য । তখন ভট্ট বলিলেন যদি তো- ৷ মার এতই বাদকণ্ডয়ন (চুলকানি ) হইয়৷ থাকে, তবে আমার ভগিনীপতি মণ্ডনমিশ্রের নিকটে গমন কর এবং তাহার সহিত বাদামুবাদ করিয়া কওয়ন নিরক্তি কর । আমি । এই অবস্থায় পরলোকে চলিলাম, এই বলিয়। ভট্টাচাৰ্য্য নিমীলিতাক্ষ হইলেন এবং প্রাণবায়ু পরিত্যাগ করিলেন । ভট্ট এক জন কৰ্ম্মকাণ্ডাবলম্বী ছিলেন। তৎপরে শঙ্করাচার্য্য রুদ্ধাখ্য পুরস্থ সমুদায় লোকদিগকে অদ্বৈত মত গ্রহণ করাইয়া তথা হইতে মণ্ডনমিশ্রের উদ্দেশে উত্তর দিকে প্রয়াণ করিলেন। পদ্মপাদ প্রভৃতি শিষ্যগণ ঢকা, শঙ্খ, করতাল প্রভৃতি বাদ্য দ্বারা এবং আচার্য্যের জয়শব্দ দ্বারা দিকৃহস্তিদিগের কর্ণকুহর বধির করিয়া চলিলেন । , ক্রমশঃ ! ৪৩০ সংখ্যক পত্রিকার ৪• পৃষ্ঠার পর। (589) যে ঈশ্বর বুদ্ধি মনের অতীত, তাহার সহিত প্লোটাইনস ও আমি উভয়ে মধ্যে মধ্যে এক প্রকার অত্যন্ত সুখজনক যোগ অনুভব করিতাম। যে ঈশ্বরের আকার নাই ও প্রতিমা নাই, ঘিনি বুদ্ধি এবং সমস্ত বিদিত পদার্থের অতীত স্থানে সংস্থাপিত, শুঁtহার প্রতি প্লোটাইনস আপনার মন সৰ্ব্বদা এ রূপ উত্থিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন যে ঈশ্বর তাহাকে মধ্যে মধ্যে দেখা দিতেন । পর ফাইরি প্রণীত প্লেটাইনসেব জীবনচরিত ! (১৪৪) ( শে}গ বিম স্ত্রক ) ইহ। এক প্রকার সংস্পর্শ এবং সামান্য জ্ঞান অপেক্ষ: উজ্জ্বল সীক্ষাৎকার এবং জগতের কেন্দ্রের সহিত আমাদিগের নিজের কেন্দ্রের সংযোগ । ဌို (১৪৫) সকল বস্তুর রাজার চতুর্দিকে সে সকল ংস্থিত এবং তাহারই নিমিত্ত সকল বস্তু এবং তিনি সকল শ্রেষ্ঠ বস্তুর কারণ । প্লেটে । (১৪৬) 修 যাহা চিরকাল আছে এবং যাহা জন্য নহে এবং যাহা কখন স্থষ্ট হয় নাই, তাহাই ঈশ্বর । લૈ (58%) ঈশ্বর সর্বগুণী সুন্দর; তিনি সৌন্দর্য্য স্বরূপ । 蠟 હૈ ।