পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S8 স্থল বুঝিতে পার নাই তাহ বল, আমি অর্থ করিয়া দিতেছি । বৃদ্ধ বলিল “তদন্তরপ্রতিপক্তে রংহতিসম্পরিম্বক্তঃ প্রশ্ননিরূপ৭াভ্যাং” এই সূত্রের তুমি কি অর্থ করিয়াছ ? শঙ্কর একরূপ অর্থ করিলেন, বৃদ্ধ আর একরূপ অর্থ করিলেন । শঙ্করাচার্য্য জানিতেন না যে ঐ বৃদ্ধ ব্যাস । উভয়েই বাদানুবাদ করিতে করিতে উত্তপ্ত হইতে লাগিলেন । অবশেষে শঙ্করাচার্যা ব্যাসকে বলিলেন ‘তুমি ইহার তত্ত্ব কিছুই বুঝ না এবং এই বলিয় তাহার কপোলদেশে এক চপেটাঘাত করিলেন । কপোলতাড়ন করিয়াই পদ্মপাদকে বলিলেন এই বুদ্ধকে অধোমুখ করিয়া উহার পাদ গ্র উপর দিকে অলিম্বন পূর্বক দূর করিয়া দেও। বৃদ্ধ এই কথা শ্রবণ মাত্র আপনি শীঘ্ৰ দূরে চলিয়াগেল ! পদ্মপাদ তখন গুরুকে প্রণাম পূৰ্ব্বক বলিলেন @iび5|! “শঙ্ক : " : সাক্ষাং বাসোমায়ায়ণঃ স্মৃত: | তয়ে বিবাদে সম্প্রাপে কিঙ্ক হ: কিং করোম্যক্ত এ | অ}পনি সাক্ষাৎ শঙ্কর, ব্যস নারায়ণ, আপনাদিগের বিবাদ উপস্থিত হইলে, আমি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা i

f

কিঙ্কর কি করিব । তখন শঙ্করাচার্য অনেক । আরাধনা করিয়া ব্যাসকে প্রত্যাবৃত্ত্ব করিলেন এবং উহাকে সম্যক তার্টন পুর্লক তাহার অtশীর্ন দ গ্রহণ করিলেন । ব্যাস প্রসন্ন ক্ষেত্রে গমন করিলেন । হইয়া হাদ্বৈতবাদের সর্বত্র জয় হইবে এবং । তোমার শতবর্ষ পরমায়ঃ লাভ হইবে বলিয়া শঙ্করাচার্য্যকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । এস্থলে বলা আবশ্যক যে এই ব্যাস কৃষ্ণদৈপসন নহেন । কাশীতে প্রথম ব্যাসের সমমাবধি বরাবর এক জন ব্যাস আছেন । বাস উপাধিমাত্র । এক্ষণেও কাশীতে يةى ক্তন ব্যাস অবস্থিতি করিতেছেন । কিন্তু অনেকে মনে করেন যে স্বয়ং কৃষ্ণদ্বৈপায়নই শঙ্করের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন । ! ১• কল্প; ১ ভাগ শঙ্করবিজয়ে এমন কোন বাক্য দৃষ্ট হয় না যে ব্যাসকে দ্বৈপায়ন বলিয়া স্থির করা যাইতে পারে । আনন্দগিরি কিন্তু যে কি বুঝিয়াছিলেন তাহা আমরা বলিতে পারি ন। তাহার লিখিত বিজয়ে তিনি কিছুই স্পষ্ট করিয়া লিখেন নাই। র্তাহার এরূপ ংস্কার থাকিতে পারে যে ব্যাস চিরকাল বৰ্ত্তমান এবং সেই ব্রহ্মসূত্ৰকৰ্ত্ত ব্যাসই আসিয়াছিলেন । আমরা তাহ বলিতে পারি না, যে হেতু তাঁহাতে সময়গত দোষ উপ- , স্থিত হয় । ব্যাস চারি সহস্ৰ বৎসর পুৰ্ব্বে জীবিত ছিলেন আর শঙ্কর এক সহস্ৰ বৎসর পূর্বে কাশীতে উপনীত হয়েন। তরাং ইনি তাৎকালিক ব্যাস বলিয়া মীমাংসাই সমীচীন বোধ হয় । কাশী হইতে উত্তরগদিভিমুখে প্রস্থান করিয়া শঙ্কর অমরলিঙ্গ,কেদারলিঙ্গ নামে শিবমূৰ্ত্তি দর্শন পূর্বক কুরুক্ষেত্রে সমাগত হইলেন এবং কুরুক্ষেত্র সন্দর্শনানন্তর বদরিকাশ্রমে সমুপস্থিত হইয়া তত্ৰত্য বদরীনারায়ণ দর্শন করিলেন । সে স্থানে উষ্ণপ্রস্রবণের জলে স্নান করিয়| আচাৰ্য্য স্নিগ্ধ হইলেন এবং দ্বারক দি দিব্যস্থল ভ্রমণ করিয়! অযোধ্যানগরীতে আগমন করিলেন। অযোধ্য হইতে গয়া,গয়া হইতে গঙ্গা, গঙ্গা হইতে জগন্নাথসেই প্রদেশে আচাৰ্য্য একমাস বাস করিলেন । ইতিমধ্যে রুদ্ধাখ্যপুর হইতে ব্রাহ্মণের তাহার নিকটে উপস্থিত হইয়া নিবেদন করিল যে ভট্টাচার্য নামক জনৈক পণ্ডিত উত্তর দেশ হইতে আসিয়া বৌদ্ধ ও জৈনদিগকে পরাস্ত করিয়া উহাদের শিরশেছদন করিয়াছেন এবং উহাদিগের মস্তক উদূখলে চূর্ণ করিয়াছেন । অবশেষে কোন জৈনগুরুর নিকটে পরাজিত হইয়া কিছু উপদেশ লাভ করিয়া নিৰ্ব্বেদাপন্ন হইয়াছেন ।