পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 ষিক ভাবই বৃদ্ধি পাইতেছে—বিলাস-ইচ্ছাই তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রবল হইয়া উঠিতেছে। জীবনের সারতম | বিষয়ে আর লোকের তাদৃশ যত্ন চেষ্টা দেখিতে পাওয়া যায় না । কেবল বেশ ভুষ৷ গৃহ উদ্যানের শ্ৰীসেনাৰ্য সম্পাদন বিষয়েই লোক দৃঢ়ব্ৰত হইতেছে কিন্তু পৃথিবীর উজ্জ্বল অলঙ্কার এবং মনুষ্যের জ্ঞানধৰ্ম্মোন্নতির অব্যর্থ নিদর্শন স্বরূপ ধৰ্ম্মমন্দির এবং সাধন সমাধান ক্ষেত্রাদি বিনিৰ্ম্মাণ বিষয়ে আশানু, রূপ যত্ন চেষ্ট উদ্যম উদ্যোগ দেখা যায় না । একদিকে যেমন দেশব্যাপী পৌরাণিক ও তান্ত্রিক মতের প্রতি শিক্ষিত দলের ঔদাস্য ও অবিশ্বাস উপস্থিত হওয়াতে মঠ মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ বিষয়ে বিরাগ উপস্থিত হইতেছে ; অন্য দিকে আর সেই পরিমাণে নিজের বা সাধারণের জন্য ধান ধারণ বা ব্রহ্মোপাসনার নিমিত্ত ধৰ্ম্মমন্দির বা সাধনক্ষেত্র সকল বিনিৰ্ম্মিত হইতেছে না। এটা দেশের পক্ষে মঙ্গলের চিন্তু নহে । স্থানে স্থানে বিদ্যালয়াদি প্রতিষ্ঠিত হইলে যেমন জ্ঞান শিক্ষার প্রশস্ত সোপান সকল প্রমুক্ত হয়, তেমনই যথাতথা মঠ মন্দির ও সাধন-গৃহ নিৰ্ম্মিত হইলে লোকের অনায়াসে ধৰ্ম্মজ্ঞান ও ঈশ্বর প্রীতি উদ্দীপ্ত হইবার সম্যক সম্ভাবনা। অামারদের দেশীয় লোকের প্রকৃতিই এই যে র্তাহারা আপন আপন যত্ন চেষ্টায় দেবভক্তির ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠার প্রত্যক্ষ নিদর্শন স্বরূপ বহুব্যয়সাধ্য দেব মন্দিরদি বিনিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন । বর্তমান শিক্ষিত দলের মধ্যে শ্রেষ্ঠধৰ্ম্মবলম্বী ব্রহ্মোপাসকদিগের দ্বারা এই সাদ্ধ শতাব্দীকাল অভ্যন্তরে কোন এক ব্যক্তি নিজব্যয়ে একটী । মাত্রও উপাসনামন্দির প্রতিষ্ঠা করিতে পারেন নাই; অথবা বৈজাতিক প্রণালীতে সাধারণের সাহায্যে যে সকল উপাসনালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তৎসমূহ পোষণের জন্য २० कत्र, ४ छोत्र অদ্যাপিও বিত্ত সংস্থান হয় নাই • । এটী আর্য্য সন্তানদিগের পক্ষে সীমান্য কলঙ্কের বিষয় নহে । হিন্দুসমাজ মধ্যে প্রতি গৃহেই দেবালয়, প্রতি পল্লীতেই মণ্ডপ মন্দির সকল গৃহস্থ লোক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকে। র্যাহারা ধনশালী তাহার তো আপন আপন সাধন জন্য দেবালয়াদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন তদব্যতীত আবার সাধারণের ব্যবহারার্থে নদীতীরে, নিবিড় অরণ্যে নির্জন পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে গৃহী উদাসীন এবং যতি সন্ন্যাসী প্রভৃতির নিমিত্ত কতশত দেবগৃহ,মঠ মন্দির, আশ্রম গুহা প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন । অদ্যাপিও স্থানে স্থানে সেই সকল বিদ্যমান থাকায় তাহাদের ধৰ্ম্মামুরাগিতার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। গৃহভ্যাগী যতি সন্ন্যাসী প্রভূতির প্রতি র্তাহারদের আস্থা অনুরাগ ও আন্তরিক যত্নের প্রত্যক্ষ পরিচয় দিতেছে। এ দেশের সাধু সন্ন্যাসীগণ যেমন নি:স্বর্থ ও নিষ্কাম ধৰ্ম্মসাধনে তৎপর ছিলেন, গৃহী ধনশালী ব্যক্তি বর্গও তেমনই আবার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তাহারদের রুচি ও প্রবৃত্তি অনুসারে নিবিড় অরণ্যে, নদীকূলে, নির্জন পার্বত্য প্রদেশে আশ্রম গুহা প্রভূতি নিৰ্ম্মাণ এবং গ্রাস-আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করিয়া দিয়া তাহারদিগকে নিৰ্ব্বিল্পে নিরুপদ্রবে ধৰ্ম্ম সাধনে সক্ষম ও সমর্থ করিয়া দিতেন । যাহার ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যপূর্ণ প্রদেশীদিতে পরিভ্রমণ করিয়াছেন, তাহারা তাহার শত শত নিদর্শন প্রত্যক্ষ সন্দর্শন করিয়৷ থাকিবেন । d আসাম প্রদেশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপ * যে কয়েকট কৃত্রিম গুহা বিদ্যমান আছে,

  • আদি ব্রাহ্মসমাজে এরূপ বিত্ত সংস্থান আছে।