পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و به همی লাগিল । আচাৰ্য্য শঙ্কিত হইলেন এবং কি রূপে অসৎ মতের গতিরোধ করিতে পারিবেন তাহার উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। অবশেষে পরমভকালানল, লক্ষণ ও হস্তামলক, দিবাকর, ত্রিপুরকুমার, গিরিজাকুমার এবং বটুকনাথ প্রভৃতি নিজ শিষ্যদিগকে আহবান করিয়া শঙ্করাচার্য্য তাহাদিগকে অদ্বৈত মতের অবিরোধে শৈব মত,বৈষ্ণব মত, সেীর মত, শক্তি মত, গাণপত্য মত এবং কাপালিক মত সংস্থাপন ও প্রচার করিতে আদেশ দিলেন । এই সকল মত অদ্যাপি অদ্বৈত মতের সঙ্গে যুক্ত হইয৷ আসিতেছে। এক্ষণে আর শুদ্ধ কোন মত দৃষ্ট হয় না, সকলেই অদ্বৈত মত অব্যাহত রাখিয়া স্বস্বমত প্রকাশ করিতে চেষ্টা করে । নব্য স্মৃতি, পুরাণ, তন্ত্র প্রভৃতি সৰ্ব্বত্রই অদ্বৈত মতের প্রাদুর্ভাব দেখিতে পাওয়া যায়। শঙ্করাচার্য্য হিন্দুচিত্ত এরূপ অদ্বৈত-মত-প্রবণ করিয়৷ গিয়াছেন, যে অদ্যাপি হিন্দুগণ তাহা অনুভব করিতে পারিতেছেন । উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এবং দক্ষিণাত্যে শঙ্করাচার্য্যের প্রভাব বিস্তর ; তথায় তিনি দেবতা, তাহার মত অভ্রান্ত। বঙ্গদেশে বৈদান্তিক মতের প্রচার অতি অল্প, সুতরাং শঙ্করাচার্যের প্রভাব ও অাদর অতি অল্প । যে স্থানেই বেদান্তশাস্ত্রের অনুশীলন ও চর্চা আছে, সে স্থানেই শঙ্করাচার্য্যের একাধিপত্য ! কি আধুনিক সাংখ্য শাস্ত্র, কি আধুনিক মীমাংসা, কি আধুনিক পুরাণ সৰ্ব্বত্রই অদ্বৈত মতের মিশ্রণ এবং ংস্কৃষ্টি। কেবল বঙ্গদেশে ন্যায়শাস্ত্রই অদ্বৈত মতের সহিত সম্বন্ধ রাখে না । এইরূপে অদ্বৈত-মত-মিশ্রিত অন্যান্য মত্ত প্রচারিত হইলে পর শঙ্করাচার্যোর জীবনী শক্তির হ্রাস হইতে লাগিল এবং তিনি স্থল শরীর সূক্ষ শরীরে অন্তৰ্হিত করিয়া সন্ধ্ৰপ इरेट्नम । उनमढद्र नूका भद्रौब्र कांब* শঙ্করাচার্য্যের জীবন-বৃত্তান্ত ন্যরূপে অবস্থান করিতেছেন । כל8 צ শরীরে বিলীন বরিয়া চৈতন্যরূপ হইলেন। আনন্দগিরি বলেন তিনি অদ্যাপি চৈত র্তাহার অলীক ও ক্ষণিক দেহত্যাগের পর শিষ্যগণ মহাসমারোহের সহিত অত্যন্ত শুচি প্রদেশে গৰ্ত্ত খনন পূর্বক তাছার সমাধি করিল। কাঞ্চী নগরেই শঙ্করাচাৰ্য্য এই ভৌতিক জগৎ ত্যাগ করেন। কোন কোন মতে তৎকালে তাহার বয়ঃক্রম ৩২ বৎসর । আনন্দগিরি ও বোধ হয় ইঙ্গাই বিশ্বাস করেন, কারণ বিজয়ানুসারে অষ্টম বর্ষে সমস্ত বিদ্যা শিক্ষা করিয়া লি নি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হয়েন এবং ৫ ৬ বৎসর পরে বিদ্যাপীঠে দ্বাদশ বর্ষ যাপন করেন । অতঃপর স্বমতপ্রচারে ও নগর চক্রাদি নিৰ্ম্মাণে ৫৬ বৎসর অতীত হয় । ৫৩ প্রকরণে শঙ্করাচার্য্য ব্যাস ঋষিকে বলিতেছেন যে তামি আর ষোড়শ বর্ষ মাত্র বঁচিব,তাহা হইলে আপনার অনুগ্রহ বা তীত অদ্বৈত মতের প্রচারসম্ভাবনা দেখি না । তছন্তরে ব্যাস ব্রহ্মাকে শঙ্করের অযুর দ্ব্যর্থ অনুনয় করিলে, ব্রহ্মা বলিলেন যে শঙ্কর যতদিন পৃথিবীতে থাকিতে ইচ্ছা করিবেন ততদিন থাকিতে পারবেন । কিন্তু ব্যাস র্তাহাকে “জীব ত্বং শরদাং শতঃ ” বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছিলেন । যদিই শঙ্করাচার্য্য ৩২ বৎসর বয়ঃক্রমকালে ইঙ্গলোক ত্যাগ করিয়া থাকেন, তবু তাহার কার্য্যকলাপ অসম্ভব হইতে পারে না, তিনি অতিশয় বুদ্ধিমান ছিলেন, সুতরাং অল্প কাল মধ্যে অনেক কার্য্য করিয়া গিয়াছেন । তিনি অসাধারণ লোক ছিলেন । র্তাহীর প্রভাব ७ कार्षीमभूह यद्दलौकिक । শঙ্করাচার্য্যের জীবনবৃত্তান্ত সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হইল । পূর্বোক্ত अशवली, रुहेल्ड আমরা যতদূর পারিয়াছি সংকলন করিয়াছি, কিন্তু শঙ্কর বিজয়ই প্রধান অবলম্বন । শঙ্কর