পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ© S দিগ্বিজয়ের সহিত ইহার অনেক স্থলে সংলগ্ন হইবে না, কারণ মাধবাচার্য্য কবি এবং শঙ্করের বহুকাল পরবর্তী । মাধব অবতারবৃত্তান্ত যেরূপ রঞ্জিত করিয়াছেন তাহা কাব্যের যোগ্য। শিব অবতীর্ণ হইবেন বলিয়া কাৰ্ত্তিক কুমারিল স্বামী, ইন্দ্র স্বধম্বানামে নৃপতি, বিষ্ণু সংকষর্ণ, অনন্ত নাগ পতঞ্জলি এবং ব্রহ্মা মগুনমিশ্র ও সরস্বতী সরসবাণী রূপে অবতীর্ণ হইলেন । কেরলখ্য প্রদেশে পূর্ণানদীতীরে বৃষাদ্রি নামক স্থলে বিদ্যানিবাস বলিয়। একজন অশেষশাস্ত্রকুশল পণ্ডিত ছিলেন । বিদ্যানিবাসের শিবগুরু নামে এক পুত্র জন্মে। শিবগুরু নানা বিদ্যাপারদর্শী হইলেন এবং ব্রহ্মচর্য্য অবলম্বন পূর্বক সমস্ত জীবন যাপন করিবেন স্থির করিলেন । কিন্তু স্বকীয় পিতা ও মাতার মনস্তুষ্ট্রি সম্পাদনের নিমিত্ত অবশেষে বিবাহ করিতে বাধ্য হইলেন। কন্যা ও কন্যাযাত্রিরা বরের বাটীতে আগমন করিল এবং নির্বিঘ্নে উদ্ধাহক্রিয়া নিম্পন্ন হইয় গেল । এইরূপ নূতন প্রকার বিবাহ অধুনা কদাচিৎ দৃষ্ট হয়। শঙ্করাচার্য্য এই বিবাহের ফল । শিবগুরু অনেক যত্বেও সন্ন্যাসী হইতে পারিলেন না কিন্তু শঙ্করাচার্য্য সহজেই সন্ন্যাসী হইয়াছিলেন । মাধবাচার্য বাল্মীকির অনুকরণ করিয়া দেবগণের অবতার-বৃত্তান্ত লিখিলেন এবং গ্রন্থের কাব্য নাম সার্থক করিলেন । আনন্দগিরি শঙ্করাচার্য্যের শিষ্য, মাধবাচার্য্য অন্ততঃ ৫০০ বৎসর পরকালীন । সুতরাং মাধবাচার্য্য অপেক্ষা আনন্দগিরির কথা আমাদিগের অধিক শ্রদ্ধেয় । আমরা আর একটি প্রস্তাবে দুই গ্রন্থের আর দুই একটি বৈষম্য প্রদর্শন এবং শঙ্করাচার্যোর চরিত্র সমালোচনা করিব l ক্রমশঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४०कब्र : १ छां★ ধৰ্ম্মপুর ব্রাহ্মসমাজ সপ্তম সাম্বৎসরিক উৎসব। ২র ভাদ্র রবিবার ১২৮৬ সাল। ঐযুক্ত পণ্ডিত কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্বের বক্তৃত। আহ৷ আজি আমাদের কি আনন্দের দিন,আমরা এক বৎসর কাল যে দিন প্রাপ্তির আশা করিতেছিলাম অদ্য সেই শুভদিন সমাগত। আজ আমরা যে দিকে যে পদার্থে দৃষ্টিপাত করি, তাহতেই যেন মঙ্গলময় পরম পিতা পরমেশ্বরের মঙ্গলভাব সকল সুস্পষ্ট দেখিতে পাই । এই প্রভাতিক সুশীতল সমীরণ মন্দ মন্দ প্রবাহিত হইয়া সেই মহিমার্ণব মহেশ্বরের অপার মহিম। প্রকাশ করিতেছে, দিবাকর স্বকীয় কিরণজাল বিস্তার পুর্বর্বক বিশ্বনিয়ন্তার আজ্ঞা পালন করিয়া তাহার অনন্ত শক্তির পরিচয় প্রদান করিতেছে, মেঘমালা বারিবর্ষণ পুরঃসর ওষধি ও তরু লতাদির পুষ্টি সাধন পূর্বক আমাদিগের জীবন ধারণের প্রধান অবলম্বন শস্য ও ফল মূলাদি উৎপাদন করিয়া করুণাময়ের অপার করুণার প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রদশন করিতেছে ; এই উদ্যানস্থ মনোহর পুষ্পরাজি বিকসিত হইয়া জগৎপাতা জগদীশ্বরের পরম মনোজ্ঞ ভাব ব্যক্ত করিতেছে ; সূর্যরশ্মি শিশিরবিন্দুতে ও নব পল্লবে পতিত হইয়া তাহারই শোভার প্রতিবিম্ব প্রকাশ করিতেছে ; বিহঙ্গমগণ কলরব করিয়া সেই মহিমসাগরের অপার মহিমা কীৰ্ত্তন করিতেছে ; এই সমাগত ব্যক্তি মাত্রেরই মুখমণ্ডলে আনন্দম্বরূপের আনন্দভাব লক্ষিত হইতেছে, এই প্রকার নিজৰ সজীব যে কোন পদার্থের প্রতি নেত্রপাত করি, তাহাঁতেই যেন তাহার সত্তা স্পষ্ট উপলব্ধি হয় । তিনি সৰ্ব্বকালে