পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R'ృు _ ইহাদিগকে দস্তা, রাক্ষস, অস্থর, পিশাচ প্রভৃতি নামে উল্লেখ করিয়াছেন। ঋগ্বেদে ইহাদিগের অশ্রাদ্ধ, তষজ্ঞ, অযজ, অকৰ্ম্ম, অব্রত, অন্যত্রত, কৃষ্ণমোনি, আমাদ, দাস প্রভৃতি কতকগুলি বিশেষণ দৃষ্ট হয়। সায়ণাচাৰ্য্য দস্থ্য শব্দের আর্য্যদিগের শক্র,যজ্ঞের বিঘ্নকারক এবং আর্য্যদিগের প্রতি উপদ্রবকীর্ণ অর্থ করিয়াছেন । নিরুক্তকার মস্কি বলেন যে দস্থ্যগণ যজ্ঞসাধন সোমলতা প্রভৃতি নষ্ট করিত এবং যজ্ঞানুষ্ঠান প্রভৃতি সংকৰ্ম্মের ব্যাঘাত করিত বলিয়া দহ নামে । ছিল এবং আর্যাদিগের উপর নানা প্রকার অভিহিত হইয়াছে । তার্য্যদিগের প্রতি ইহাদের কোন শ্রদ্ধা ছিল না। ইহুর কোন সাগ যজ্ঞ ব্রত বা সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিত না ! ইহারা কৃষ্ণবর্ণ ছিল এবং আম মাংস ভক্ষণ করিত। এই সকল কারণে ইহাদিগের পর্কেীক্ত বিশেষণে নির্দেশ করা হইয়াছে। ইহারা আর্য্যদিগের ইন্দ্রাদি দেবগণকে মানিত । ন। বলিয়া বৈদিক ঋষির ইহাদিগকে অদেব, অনিন্দ প্রভৃতি শব্দে নির্দেশ করিয়াছেন । ! ইহারা ভারতবর্ষের আদিম নিবাসী অনার্য্য জাতি ছিল বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু বেদের কৃত্ৰিাপি ইহাদিগকে অনার্স্য জাতি কিম্ব অদিম নিবাসী বলিয়। উল্লেখ করা হয় নাই। ইহাদের বাসস্থান নগর গ্রাম এবং অস্ত্ৰ শস্ত্রাদির উল্লেখ দেখিয়া ইহাদিগকে সমৃদ্ধ আদিম নিবাসী বলিযা অনুমান করা যায়। কেহ কেহ বলেন যে “ ইহারা দেবযোনি, ভূতযোনি প্রভূতি হইতে পারে। ষদি ইউরোপের অধুনাতন সভ্যসন্মাজে এত আধুনিক সময়ে স্পিরিটের বাদ্যাদি বদন এবং অন্যান্য কার্য্য সম্পাদন করিতে পারে, তবে কি প্রাচীন বৈদিক আৰ্য্যসমাজে রাক্ষস পিশাচাদি দেবযোনি এবং ভূতযোনি আর্য্যদিগের অনুষ্ঠান-ব্যাঘাত করিতে পারিত না ? ইহা আমরা বলিতে পারি না যে আর্য্যগণ দেব তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । . १• क्छ, • छत्र যোনি, ভূতযোনি প্রভৃত্তিতে বিশ্বাস করিতেন না ।” এবিষয়ে যখম কোন বিশেষ প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না, তখন আমরা নিশ্চিতরূপে কোন মীমাংসাই করিতে পারি না। তবে আমরা বলি যে ঋগ্বেদসংহিতা সমাহিত চিত্তে পাঠ করিলে ইহাই প্রতীতি হয় যে অনেক স্থলেই দস্থ্যগণ ভারতবর্ষের তৎকালের লোক । আমরা জানি না ইহাদের পূৰ্ব্বে কাহারা ভারতবর্ষে বাস করিত, সুতরাং ইহাদিগকে আদিম নিবাসী বলিয়াছি। এই দস্তাগণ আর্য্যদিগকে বাধা দিয়া অত্যাচার করিত। সুতরাং আর্য্যগণ ইহা দিগকে দমন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন এবং তজন্য বারম্বার ইন্দ্রদেবের এবং অগ্নিদেবের সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন । এই সমস্ত প্রার্থনাপূর্ণ স্তব দ্বারা ঋগ্বেদসংহিত পরিপ্তরিত । কি প্রকারে দস্যগণ নিবারিত হইবে, কিরূপে তাহাদের সর্বনাশ হইবে এবং কি উপায়ে তাহাদিগকে দূরীভূত করা যাইবে এই নিমিত্তই আৰ্য্যগণ ব্যাকুল, এ নিমিত্তই তাহীর অহরহ ইন্দ্রাদি দেবগণের স্তব ও আনুকূল্য প্রার্থনা করিয়াছেন ঋগ্বেদে দেখিতে পাই ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ, ব্ৰহ্মণস্পতি,বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগণ আর্য্যদিগের রক্ষার্থ ও স্থিতিসাধনার্থ সৰ্ব্বদা যতমান । ইন্দ্রাদি দেবগণ দস্থ্যদিগকে বিনাশ করিয়া অথবা তাড়াইয়া দিয়া আর্যাদিগকে আশ্রয় ও ভূমি দান করিয়াছিলেন । বৃত্ৰাস্থর, শম্বরাস্তুর প্রভূতি বহুসংখ্যক অসুরদিগকে ইন্দ্রদেব বধ করিয়াছিলেন । ইন্দ্রদেবের সাহায্যে আর্যগণ অসংখ্য রিপুদমন এবং বিপুল সুখ শান্তি লাভ করিয়াছিলেন। ইন্দ্রদেবের প্রসাদে তাহার কুশলে বাস করিতেন বলিয়া বৈদিক ঋষির ইজদেবকে নিবাল-কারণ বলিয়াছেন। ঋগ্বেদের এক