পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2.3 F. রাং ইহীদের ও তার্যাদিগের মধ্যে ঘোর বিপদ ঘটিয়াছিল । জেন্দ আবেস্তাতেও ইন্দ্রকে বেরেত্রর নামে স্থতি করা হইয়াছে। পারস্য ভাষায় দেবশদে ভূত, দৈত্য প্রভৃতি বুঝায় এবং অস্থর শব্দে অনুগ্রহকারী দেবতা বুঝায় । অতএব পারস্য ভাষায় বৃত্ৰাসুরকে দেব বলা যাইতে পারে । প্রত্নতত্ত্ব আলোচনা করিলে অসুর ও দেব শব্দের উপর একটি স্বতন্ত্র প্রস্তাব লিখিতে হয় এবং ইহা লইয়। অনেক কথা বলিলে বর্তমান প্রস্তাবে অসঙ্গত হইবে । আমরা এই পর্যন্ত বলিব সে অসুর ও দেব শব্দের আর্য-ব্যবহার ও পারসীক-ব্যবহার সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । আর্য্যগণ স্বাহ দিগকে অস্থর ও দেব বলিতেন তাহ। তার বিরত করিতে হইবে না। পারস্যভাযার রীতি ও ব্যাকরণ অনুসারে সংস্কৃত স স্থানে হ হইয়া থাকে ; যথা সপ্তাহ হস্তা, সপ্তসিন্ধু হগুহিন্দু, সোম হোম, সোতা হোতা, অস্তুর অহর। পারসীকের অনুগ্রাহক দেবতাকে অস্ত্রর আর্থা! প্রদান করেন । তাহাদিগের “অন্থর মস্ত” সৎস্বরূপ সৰ্ব্বপ্রধান দেবতা বিশেষ । অন্থর মস্ত (Allur Magd) সংস্কৃত হইলে ‘অস্থরোমহান তইত । উভয় জাতিই “প্রত্নেীকে” একত্র লাস করিতেন । সুতরাং পূর্বে উভয়েই কালুর শব্দ এক অর্থে প্রয়োগ করিতেন । বৈদিক ঋষিরা ভারতবর্ষে আসিয়াও পূৰ্ব্ব আভ্যাস একেবারে পরিহার করিতে পারেন মাষ্ট । অতএব আমরা ঋগ্বেদের অনেক স্থলে ইন্দ্র,বরুণ, বায়ু প্রভৃতি আৰ্য্যদেবগণের প্রতি অমুর শব্দ প্রযুক্ত দেখিতে পাই । আবার অসুর শব্দের অপর অর্থে প্রয়োগও ङ्गद्रि ङ्गद्रि नूझे झग्न । इखएकe षश्द्र बलिয়াছেন এবং ইন্দ্রকেও অস্থর বলিয়াছেন ই। ২ ঋগ্বেদসংহিতা ১ মণ্ডল ২৪ অক্তে ১৪ ঋকের টীপপনী । ত্রারমানাথ সরস্বতী সম্পাদিত ঋখেদসংহিত দেখ । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা זיtש 3 שיף 6 ב সায়ণাচাৰ্য্য এরূপ স্থলে কিছুই স্থির করিতে পারেন নাই। অস্ত্রর শব্দের অভিনব বুৎপত্তি এবং বৃত্ৰাসুরের বধের বৃত্তান্ত প্রথমতঃ ডাক্তার কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশিত করিয়াছেন । বৃত্ৰাসুরের প্রসঙ্গক্রমে আমরা অনেক দূর আসিয়া পড়িয়াছি । অস্থর, রাক্ষস প্রভূতির যাহাই হউক না কেন, আর্য্যগণ যে তাহদের হইতে যৎপরোনাস্তি উত্যক্ত ও ৎপীড়িত ইয়াছিলেন তদ্বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। ইন্দ্রাদি দেবগণ কি রূপে তীর্য্যদিগের সাহায্য করিতেন তাহ নির্ণয় করা সহজ নহে । অনেক স্থলে ইন্দ্রাদি দেবগণকে কবচ পরিধান করিতে দেখা যায়। এই বৈদিক দেবতত্ত্ব প্রস্তাবান্তরে আলোচনা করিবার বাসন রছিল । এইরূপে বহুদিন উপদ্রুত হইয়া আর্য্যগণ ক্রমশঃ স্বশত্রুদিগকে অভিভূত করিয়৷ তাড়াইয়া দিলেন এবং পঞ্চনদ প্রদেশে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন । যতদিন না শান্তি ংস্থাপন হইয়াছিল ততদিন তাহার। সর্বদ শঙ্কিত হইয়া থাকিতেন এবং কিরূপে সমাজের বন্ধন দৃঢ়তর করিবেন তাঁহাই চিন্তা করিতেন । র্তাহারা সমাজের উন্নতিসাধনে মনোনিবেশ করিলেন এবং কৃষিকৰ্ম্ম ও পশুপালম করিতে লাগিলেন। র্তাহারা অগ্নিসংযোগ দ্বারা অনেক অরণ্যানী ভস্মীভূত করিয়া আর্য্যসমাজের পরিসর বৃদ্ধি করিলেন । ঋগ্বেদে পঞ্চনদ প্রদেশের নদী সকলের ও তীরে আর্য্যদিগের অবদান সমূহের অনেকত্র উল্লেখ দৃষ্ট হয় । আৰ্য্যগণ আর্য্যধৰ্ম্মের বলে বলবান এবং ইন্দ্রের আগ্রয়ে ভীতিরহিত। যতই পঞ্চনদ প্রদেশ শান্তির ছায়াতে সুশীতল হইতে লাগিল ততই আ

  • Rev K. M. Banerjeas “Rigveda” and “Arian Witness ?"