পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ বুদ্ধি হতাশ হইয়। ফিরিয়া আসিবে। এবং যদি ও এপ্রকার জ্ঞানীলোকের দ্বারা পরমাক্সার জ্ঞান কখনও কিছু মাত্র লাভ করা যায়, তাহা হইলেও তাছা ক্ষণপ্রভার মুহুৰ্ত্তস্থায়ী জ্যোতির ন্যায় নিমেষ মধ্যে নির্বাপিত হয় । বিশেষ প্রণিধান করিয়া দেখিলে আরও দেখা যাইবে যে এপ্রকার জ্ঞান যে কেবল ক্ষণস্থায়ী তাহ! নহে, তাহা চিরদিন । স্থিরভাবে থাকিলে ও তদ্বারা সাধকের মন কখন তৃপ্তি লাভ করে না । সে প্রকার শুষ্ক নীরস ব্রহ্মজ্ঞান হৃদয় ও তাত্মাকে পরিতৃপ্ত করিতে সমর্থ হয় না । নে পর্যানন্দের কণা মাত্র আনন্দ উপভোগ করিয়! জীব সকল চরিতার্থ হয়, এরূপ শুষ্ক নীরস জ্ঞানের দ্বারা সেই পরমানন্দ প্রাপ্ত হওয়া যায় না । বিশেষতঃ প্রকৃত সাধক কেবল ঈশ্বরজ্ঞানের প্রার্থী নহেন, ভক্ত-হৃদয় পর মাত্মজ্ঞান লাভ অপেক্ষ। পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হুইবার জন্য বিশেষ লীলায়িত । কি স্ত্রী কি পুরুষ ভক্ত মাত্রেই অন্তরের সহিত এই কথা বলেন যে “যাহার দ্বারা আমি অমর ন! ছই তাহাতে আমি কি করিল।” তৰে কি রূপে তাহাকে লাভ করিতে পারি, কি উপায় দ্বারা পরম স্ত্রীকে প্রাপ্ত হওয়া যায় ? “আত্ম। গুহায়tং নিহিতোহস্য জন্তে?” তিনি প্রাণি গণের হৃদয়ে বাস করেন, অথচ আমরা এ প্রকার অন্ধ যে তাঁহাকে হৃদয়মধ্যে সৰ্ব্বদ। দেখিতে পাই না, তাহার সত্তা সকল সময়ে অনুভব করিতে সমর্থ হই না, তাহার কারণ কি ? তিনি অমাদিগের এত নিকটে থাকিতেও কি জন্যই বা তঁহাকে এত দূরের বস্তু বোধ হয় ? প্রকৃত উপায় অবলম্বন না করাই তাহার কারণ । “তমক্রতুং পশ্যক্তি বীতশোকে ধাতুঃ প্রসাদাম্মহিমানমীশং ” বিগতশোক ব্যক্তি সেই ভোগাভিলাষ, বজিত ঈশ্বরকে ও র্তাহার মহিষাকে উহারই so to * . * * ' * * or ! J. 、“。 .ே i I * h R. ةr اي د t • . i f f sو

  • ぴ t i l Ти i

f o * * i { s | * I * | * i ነ w श्ञ्च- ... ... छन् F 1 -- ਆਿ - - --

  • د ,ww . د ',

প্রসাদে দৃষ্টি করেন । ঈশ্বর-প্রসাদ পরম পিতা পরমেশ্বরের করুণাই উtছাকে জানিবার একমাত্র উপায়। ঈশ্বর-প্রীতি ব্যক্তি রেকে আমরা কখনই ভঁাহাকে পাইতে পারি ন । প্রীতি-শূন্য জ্ঞান-নেত্রের দৃষ্টি এবং ভক্তজনের প্রেমপূর্ণ-হৃদয়-বিষ্ফরিত-লোচনের দর্শন,এই দুয়ের মধ্যে অনেক প্রভেদ। একের সাহায্যে ঈশ্বরজ্যোতিঃ ও তাহার নিরূপম অনন্ত তেজোরাশির প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে গিয়া অনেক সময়ে তেজে দগ্ধ নয়নের দৃষ্টি ক্ষীণতা-জনিত-অন্ধতা-প্রাপ্তবং হতাশ হইয়। ফিরিয়া আসি ; কিন্তু অমোর সাহায্য অর্থাৎ পূর্ণ প্রীতি সহকারে ভক্তি-নেত্র উন্মীলন করত তাহার অপার করুণ এবং সৰ্ব্বমঙ্গল স্বরূপ সৰ্ব্বত্র বিরাজিত দেখিয়া এবং স্বীয় আত্মাতে তাহাকে ধারণ করিয়! জীবনের সার্থকতা লাভ করি; তাছার লেশমাত্র করুণ! দ্বার অনুগৃহীত হইয়া হৃদয় মন আত্মাকে ভক্তিরসে পরিপূর্ণ করি; এবং পাপতাপশূন্য শুদ্ধ শান্ত হৃদয়ে তাহারই প্রসাদে ভাস্থার মহিমাকে দৃষ্টি করিয়া বিগতশোক श्झे ! ব্রাহ্ম ভ্রাতৃগণ, যাহাতে আন্তরিক প্রকৃত ভক্তি দ্বার। পরমাত্মাকে আত্মস্থ করিয়৷ প্রত্যক্ষ করিতে পারেন ; যাহাতে প্রতি নেত্রে সেই পবিত্র প্রেমধারাকে নিজের পিতা, নিজের মাতা, নিজের সখ্য, নিজের সৰ্ব্বস্ব ধন বলিয়া সকল সময়ে সকল অবস্থাতে দেখিতে পারেন ; যাহাঁতে আপনাদিগের সমস্ত চিন্তায় এবং সমৃস্ত কাৰ্য্যে “আমার” শব্দ লুপ্ত হইয়া কেবল “র্তাহার” শবদ আবহমান দেদীপ্যমান থাকে তজ্জন্য সচেষ্ট হউন; এবং উৎসাহিত চিত্তে প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ে তাহারই প্রিয়-কাৰ্য্য-সাধনে চিরজীবন অমুক্ষণ রত থাকিয়া প্রকৃত ভক্তির পরীকৃষ্ঠা প্রদর্শন করুন । ভ্রাতৃগণ করুণা