পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a.2. নিবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গেই তাহার অব্যর্থ ফল স্বরূপ সুখ শান্তি আত্ম-প্রসাদ বিতরণ করিয়া মানব-প্লকে প্রতিনিয়তই উছার সুখাবহ সন্নিধানে আকর্ষণ করিতেছেন । । যে ব্যক্তি আলস্য-পরবশ হইয়া কৰ্ম্মশ্রম হইতে নিবৃত্ত থাকে, তাঁহার যেমন ক্ষুৎ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক | | j পিপাসার সবিশেষ উদ্রেক হয় না, এবং : যথেচ্ছ পান ভোজন করিলেও তাহার তৃপ্তি অনুভূত হওয়া দূরে থাকুক বরং তদ্বারাই যেমন সে রোগাক্রান্ত হয়, তেমনি যে সাধক আত্ম-উৎকর্ষ সাধনে বিরত হয়, তাহার । জ্ঞানের গৌরব, বুদ্ধির মহত্ত্ব কোথায় থাকে? جا سے ایس۔سی " সত্যজ্ঞান প্রেমামৃতে অনভিরুচি উপ স্থিত হইয়া থাকে এবং ঘটনা ক্রমে । সময়বিশেষে প্রচুর জ্ঞান প্রেম সত্য লাভ করিলেও সে তাহ পরিপাক ক द्गिङ *ींद्र न! হীনবল ও হীনবীৰ্ঘ্য হইয়া ক্রমে জীর্ণ শীর্ণ হইয় পড়ে । রাজ্যে ভৌতিক-জগতে একাধিপত্য করিতে । পারে, নে আপনার প্রকৃতি প্রবৃত্তির উপরে । কর্তৃত্ব করিতে সামর্থ্য লাভ করত এই অধো লোকে সুখ-ঐপর্য্য শান্তি মঙ্গল বিস্তার ! নার পরম কল্যাণ সম্পাদন হয়, তাহার প্রতি করিয়! প্রকৃত দেব-প্রকৃতি প্রাপ্ত হয়, সেই মনুষ্যই ভাবার ঈশ্বরের ইচ্ছা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতিকুলগামী হইলে পশুর পদানত জল বায়ুর অনুগত এবং প্রকৃতি প্রবৃত্তির নিতান্ত শরণাগত দাস হইয়। ভূমণ্ডলে দুঃখ দারিদ্র, অশাস্তি অকল্যাণ-স্তে প্রবাহিত করিয়া চির কষ্ট লেশে অব্যয় হুইয়া থাকে । সত্যের অনাদর ধৰ্ম্মের অবমাননা করিয়া প্রকৃত মনুষ্যত্ব হইতে পরিভ্রষ্ট হয় । সেই জন্যই মনুষ্যসমাজ সংরচিত হইবার সঙ্গে সঙ্গেই শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের পদ্ধতি ভূমণ্ডলে স্বতঃপ্রবর্তিত স্তুতরাং তাঁহার আত্মা । প্রকৃত ভোজ্য উপভোগ্য বিষয়ের অভাবে । ঈশ্বরের আদেশ উপ- : দেশের অনুগামী ইষ্টলে যে মন্তব্য পশু- : নাতে প্রাবৃত হইয়া, পশু-ভোগ্য বিষয়-সুখে ও কল্প ১ ভাগ হইয়াছে। যে দেশীয় মনুষ্য সকল যত্ন আগ্রহ সহকারে ঈশ্বরের আদেশ উপদেশ যে পরিমাণে প্রতিপালন করিতেছে, সেই খানেই তাহার প্রত্যক্ষ পুরস্কার স্বরূপ তদনুরূপ দুঃখের হ্রাস সুখের বৃদ্ধি, পাপের অল্পতা পুণ্যের প্রাবল্য দৃষ্ট হইয়া থাকে। অতএব সেই মঙ্গলময় পরমেশ্বরের জাগ্রত জীবন্ত পরিপালন-প্রণালী-সেই সুখাবহ কল্যাণগর্ভ পদ্ধতি প্রত্যক্ষ সন্দর্শন করিয়া ও যদি আমর। তাহা প্রতিপালন করিতে দৃঢ়ব্ৰত ন হই, তবে আর আমারদের - তবে আর মনুষ্য-নামের প্রকৃত পদ্ধা কৈ রক্ষিত হয় ? কেবল শারীরিক নিয়ম প্রতি পালন-জনিত বৈষয়িক সুখ ঐশ্বর্য্য পরিবৰ্দ্ধনেই মনুম্যের প্রকৃত মহত্ত্ব প্রকাশ পায় না, তাহার আত্মোন্নতি সংসাধনেই যথার্থ শ্রেষ্ঠত্ব দেবত্ব লাভ হইয়া থাকে। মনুষ্য এখানে মোহ-নীহারে আবৃত হইয়া, বৃথা জল্প ইন্দ্রিয়-সুখে তৃপ্ত হইয়া যাগ যজ্ঞে সময় অতিবাহিত করিয়া সঞ্চরণ করিতেছে । “নীহারেণ প্রাক্কতা জলপ্য চামৃতৃপ উকৃথশাসশ্চরস্তি ।” যহাতে আপনার পরমার্থ সাধন আপ অনেকেরই দৃষ্টি নাই ।. ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ চরিত্রশোধন, আপাততঃ সুখপ্রদ নহে বলিয়া কি তাছার প্রতি উপেক্ষা করা মনুষ্যের কার্য্য ? ধৰ্ম্মতত্ত্ব বিষয়-বিমুগ্ধ চিত্তের পক্ষে দুর্বোধ বলিয়া কি তাহা শিক্ষণীয় নহে ? ঈশ্বর সর্বজ্ঞ বলিয়া কি তাহার সত্ত সন্নিকৰ্ষ উজ্জ্বলতর রূপে আত্মাতে উপলদ্ধি করা নিম্প্রয়োজন ? ধৰ্ম্ম-নিয়ম সকল, অবৈধ বিষয়-সেবা ও ইন্দ্রিয়-সেবার বিরোধী বলিয়া কি তাহ পালনীয় নহে? আমরা কি অস্থতের প্রতি উদাসীন হইয়া বিষয়-গরল