পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

輸 لاهود t


سسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسم

পানেই মত্ত থাকিব ? নিত্য বস্তুর প্রতি উপেক্ষা করিয়া কেবল কি অনিত্য বস্তুর আহরণেই জীবন কাল অতিবাহিত করিব ? সত্যজ্ঞান প্রেমামৃতরূপ দেবভোগ্য বলপুcকর পদার্থ পরিত্যাগ করিয়া সামান্য পার্থিব পান ভোজনে নিযুক্ত থাকিয়৷ কি অনন্ত ধামের যাত্রী অমর আত্মাকে চলৎশক্তিরহিত করত এই সংসার-পাছনিবাদেই বদ্ধ করিয়া রাখিব ? দুর্লভ মানব-জন্ম কেবল কি বাল্যক্রীড়াতেই অতিবাহিত হুইবে ? যৌবনের শিক্ষা সাধন, বাদ্ধক্যের আত্ম-পরিণতি কি আমারদের প্রার্থনীয় নহে ? কেবল কি তৃণের ন্যায় মানব আত্মা এখানে দুঃখ শোকে ভয় তাপে আন্দোলিত হইতে থাকিবে ? কেবল কি প্রবৃত্তি-স্রো বর্ষশেষ ব্রাহ্মসমাজের বক্তৃত৷ তেই জীবাত্ম এখানে ভাসমান হইবে ? : বল-বুদ্ধি জ্ঞান-শক্তির অনন্ত উৎস, তাহার অন্তরে থাকিতে কেন সে এখানে দীন ভাবে মুছমান হইয়া রহিবে ? আত্মা একান্ত বিকৃত ন হইলে আর ঈশ্বর-উপাসনায় লোকের বিতৃষ্ণ উপস্থিত হয় না ? মনুষ্য নিতান্ত ৰিভ্ৰান্ত না হইলে আর তাহার মুখ হইতে “ঈশ্বর সর্বজ্ঞ সৰ্ব্বদশী, তাহার পূজর্চনা ধ্যানধারণা প্রার্থনার প্রয়োজন নাই” ইতাকার দুৰ্ব্বাক্য বিনির্গত হইবার সম্ভাবন৷ থাকে না। দুরারোগ্য আত্ম-বিকার উপস্থিত না হইলে আর কাহারও অমৃতে অনভিরুচি জন্মে না। ভোজ্য পানীয় নিকটে থাকিলেই কি কখন ক্ষুৎপিপাসা নিবারণ হয় ? গাভী-শরীরে দুগ্ধদার স্কৃত রহিয়াছে বলিয়াই কি তদ্বারা তাহার শরীর পুষ্ট হইয়৷ থাকে ? কাৰ্য্যযোগে তাহ নিঃসারণ করত সেবন করিলেই তাহার শরীর পুষ্ট হয় এবং उश ठेषधडूना कार्षकांद्रक श्रेग़ा थाएक তেমনি অমৃতস্বরূপ পরমেশ্বর সর্বভূতে, সকল আয়াতে প্রতিষ্ঠিত থাকিলেই ভদ্বার | | o 込N○ আয়ার পুষ্টি-সাধন হয় না। উপাসনারূপ কাৰ্য্যদ্বারা উহাকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়া ভঁtহার সহবাসজনিত সত্যজ্ঞাম প্রেমায়ুত সম্ভোগ করিতে পারিলেই তবে তারার ক্ষুধা তৃষ্ণার শান্তি হয়, আত্মার বলবীৰ্ঘ্য বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। “গবাং সপি: শরীরস্থং ন করোত্যঙ্গপোষণম্, নস্বতং কৰ্ম্মসংযুক্তং পুনস্তাসাং তদৌষধম । এবং সঙ্গি শরীরস্থঃ সপিবং পরমেশ্বরঃ বিনা চোপসনদেব ন করোতি হিতং নৃষু।” সেই আপ্তকাল সহযোগী নাজ্ঞবল্ক্য ঋষির এই সুধাময় অমৃতময় পরীক্ষা-সিদ্ধ উপদেশবাক্য স্মরণ করিয়া সকলে ব্রহ্মোপাসনায় প্রবৃত্ত হও,ঘে নিশ্চয়ই অমুঠ ফল লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইবে। নতুবা যাহারা জীবনে কখনও ধৰ্ম্মের মহাত্ম্য অনুভব করে নাই, অমৃতের তাস্বাদ প্রাপ্ত হয় নাই, অনন্ত কাল অনন্ত লেস্ট্রের ছায়া ও যাহারদের তান্তরে কখন নিপতিত হয় নাই, জড় উদভিদ পশুপ্রকৃতির অতীত দেদীপ্যমান বিজ্ঞানময় অবিনশ্বর আত্মার সভা যাহার উপলব্ধি করিতে পারে নাই ; সেই সকল দীন দরিদ্র কুতার্কিক কৃপাপাত্রদিগের অসৎ দৃষ্টান্তে অসৎ উপদেশে আসতে সোপান পরিত্যাগ করিও না। উপাসনাই পরমার্থসাধনের অদ্বিতীয় উপায়, উপাসনাই সংসারের পাপ তাপ, মোহ প্রলোভন হইতে স্বরক্ষিত হইবার একমাত্র সাধন । উপসনাই আধ্যাত্মিক বলবীৰ্য্য লাভের এবং নবতর কল৷ণতর সত্য জ্ঞান প্রেমানন্দ প্রাপ্তির একমাত্র কারণ । ’ যাহার উপাসনার প্রকৃত অর্থ তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া কেবল তদবিষয়ক প্রবৃত্তিমূলক উপদেশ প্রাপ্ত হইয়। কতকগুলি শব্দ উচ্চারণকেই উপাসনা জানিয়া তাহারই আবৃত্তি পুনরাবৃত্তিতেই নিযুক্ত থাকেন, তাহারাও উপাসনার প্রকৃত