পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دهد ت: হার বরণীয় জ্ঞান শক্তি ধ্যানে নিযুক্ত হয়, পরকাল R (Y হে করুণানিধান ! সম্বৎসর কাল আt এবং স্বতই তাহার স্তুতিগানে প্রবর্তিত হইয়া गत কতশত পাপীচরণ করিয়াছি, কত থাকে, যদ্বারা মানব-আত্মা অসৎ বিষয় চিন্তা হইতে, অজ্ঞান-অন্ধকার হইতে, হৃদয় গ্রন্থি ও মৃত্যুপাশ হইতে মুক্তি ইচ্ছ হইয়া উঠে f W | এবং ঈশ্বরকেই পরম গতি, পরম সম্পদ, পরম লোক, পরমানন্দ জানিয়া সেই মহোচ্চ আদর্শের অনুকরণ ও অনুসরণে প্রবৃত্ত হয় ; তাহাই ζήί δίS জীবন্ত উপাসন। তাদৃশ i | | | উপাসনা দ্বারাই সাধক সত্যজ্ঞান প্রেমামৃত লাভ করিয়া থাকে। সেই সকল অর্থপূর্ণ ভাব- જૂન অমৃত-গর্ভ মন্ত্র-বাক্যই উপা সনার আশ্রয়-উপাদান । আমরা তাহা । অবলম্বন করিয়া কতদূর ব্রহ্মরূপ লক্ষ্যভেদে সমর্থ হইয়াছি, আমারদের আত্মা কি পরিমাণে লক্ষ্য বিদ্ধ করিয়া ভয় তাপ শোক মোহ হইতে নিস্কতি লাভ করিয় নির্ভয় ও নিষ্পাপ হইয়াছে, আজ তাহ সকলে একবার আলোচনা কর । বর্যশেষের সঙ্গে সঙ্গে আজ আমীরদের পরমায়ু এক বৎসর কাল নিঃশেষিত হইল। আমারদের এখানকার শিক্ষা সাধন অবসর চলিয়া গেল। এই উৎসব-রজনীর সঙ্গে সঙ্গে আমরা মৃত্যু, না হয় অমৃতের সোপানে অগ্রসর হইলাম । দুর্ভাগ্যক্রমে যদি যথাথই মৃত্যুর অভিমুখীন হইয়া থাকি, আইস সকলে বিনীত ভাবে মৃত্যুপাশ হইতে মুক্ত হইবার জন্য সেই অমৃত স্বরূপের শরণাপন্ন হই । যদি অমৃত সোপানে অগ্রসর হইয়া থাকি, তাছা হইলে আইস সকলে ধর্মের জয়, সত্যের জয়, ঈশ্বরের জয় ঘোষণা করিয়া র্তাহার নিকটে ভবিষ্যৎ বিঘ্নবিপত্তি বিনাশের জন্য ধৰ্ম্মবল ও শুভবুদ্ধি প্রার্থনা করি এবং উার প্রদত্ত পুণ্য পবিত্রতা, আত্মপ্রসাদ ও ব্ৰহ্মানন্দ সম্ভোগজনিত যকৃতজ্ঞচিত্তে প্ৰণত প্রকার কৰ্ত্তব্য সাধনে বিমুখ হইয়া তোমার প্রসন্নতা লাভে বঞ্চিত হইয়াছি, তজ্জন্য অল্প তাপ-অনলে হৃদয় দগ্ধ হইয়া যাইতেছে । হে অমৃতের অনন্ত উৎস ! একবিন্দু অমৃত বর্ষণ করিয়া আমারদের আত্মীকে শীতল কর, পাপমলা প্রক্ষালিত করিয়৷ আমারদের অtত্মাকে শুদ্ধসত্ত পবিত্র করিয়া তোমার অধিষ্ঠানের যোগ্য করিয়া লও। তোমার সদা ব্রত-দ্বার সর্বত্র চিরমুক্ত থাকিলেও আমরা নিজ-দোষে যে সকল সত্যরত্ন স্পর্শ করিতে পারি নাই, তুমি তাহ আমারদিগকে উপভোগ করিবার শক্তি সামর্থ্য প্রদান কর । তুমি আত্মীর নিভৃত নিলয়ে বিরাজমান থাকিলেও আমরা অজ্ঞানীন্ধ হইয়া তোমীর যে সত্য সুন্দর অমৃতস্বরূপ দেখিতে পাই নাই, তুমি কৃপা করিয়া আমারদিগের সন্নিধানে তাহ প্রকাশ কর, যে আমরা কৃতাৰ্থ হই । তোমার অভয় মঙ্গল রূপ একবার প্রদর্শন কর, যে আমরা নির্ভয় হই । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । পরকাল । (৪২৯ সংখ্যক পত্রিকার ১০ পৃষ্ঠার পর । ) ঈশ্বরের সমুদায় বিভূতি এই এক পূর্ণ শব্দ দ্বারাই প্রকাশিত হয়। র্তাহার পূর্ণত্ব নির্বিরোধে প্রমাণিত হইলে তাহার সম্বন্ধে সকলই প্রমাণ করা হইল। কিন্তু পূর্ণত্বে ংশয় সমারোপিত করিতে পারিলে ঈশ্বরের ঈশ্বরত্বই থাকে না এই জন্য একদল সংশয়বাদী ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ অস্বীকার করিতে না পারিয়া তাহার পূর্ণত্বের বিরোধী श्झाएझ । তাহদের, যুক্তির স্থল তাৎপৰ্য্য এই যে, পূর্ণ মঙ্গল ঈশ্বর সৰ্ব্বশক্তিমান মস্তকে তাছাকে বার বার প্রণিপাত করি হইলে জগতে অমঙ্গলের গন্ধ মাত্র রাখি