পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bछj♚ १४०२ ঘোষিত করিয়া দর্শক জনগণের সম্মুখে পুনবর্বার লিঙ্গাগ্রে অন্তধান করিলেন । এভদশনে সকলে বিস্ময়াপন্ন হইয়া শঙ্করাচার্যোর উপদেশ গ্রহণ পূর্বক শুদ্ধাদ্বৈত মত অব. লম্বন করিল। ক্রমে ক্রমে তদেশস্থিত সৰ্ব্ব ব্রহ্মণদিগকে অদ্বৈত মত গ্রহণ করাইয়া শিষ্যসমেত শঙ্করাচার্য্য সেতুবন্ধরামেশ্বরে গমন করিলেন । প্রসিদ্ধ সেতুবন্ধরামেশ্বরে রামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত এক শিবমূৰ্ত্তি আছেন । ইহার নাম রামেশ্বর ; কামেশ্বরী দেবী ইহার বামপার্শ্ব শঙ্করাচার্য্যের জীবনবৃত্তান্ত ভূষিত করিতেন । শঙ্করাচাৰ্য্য বিবিধ বিধানে । পামেশ্বরের পূজা করিয়া সেই স্থানে দুই মাস কাল অবস্থিতি করিলেন । তখন অদ্বৈত-মতবিরোধী শৈব, রৌদ্র, উগ্র, ভট্ট, জঙ্গম, পাশু । পত প্রভৃতি দ্বৈতমতাবলম্বিগণ র্তাহার নিকটে আগমন করিল । শৈবগণ ভূজদ্ধয়ে লিঙ্গচিহ্ন ধারণ করিত ; রৌদ্রগণ রুদ্রের উপাসক ছিল এবং ফালে ( বস্ত্রে ) ত্রিশূল-চিছু ধারণ করিত, উগ্রগণ শিবের উগ্ৰমূৰ্ত্তির উপাসক এবং ভুজযুগলে ডমরু-চিন্তুধারী ; ভট্টগণ ফালে লিঙ্গচিহ্ন ধারণ করিত ; জঙ্গমগণ ত্রিশূলচিছু এবং মস্তকে পাষাণলিঙ্গ ধারণ করিত, এবং পশুপতের ললাটে, হস্তে, হৃদয়ে এবং নাভিতে লিঙ্গচিহ্ল ধারণ করিত । এই ষড়বিধ সম্প্রদায় শিবচিছুধারণ পূৰ্ব্বক শঙ্করাচার্য্যের সকাশে আগমন করিয়া উtহাকে জিজ্ঞাসা করিল “হ সন্ন্যাসিন! অশেষদোষ-নাশক শিবতত্ত্ব তোমার অরুচিকর কেন ? জগৎকারণ শিবের অষ্টমূর্তি অষ্ট লিঙ্গ। যিনি এই শিবাঙ্গ ধারণ করিয়া শিবের আরাধনা করেন তিনি শিবময় হইয়া মুক্ত হয়েন, যেহেতু শিব জ্ঞানময় সত্যময় পরব্ৰহ্ম শ্রুতিতে দৃষ্ট হয় ; স্থালোক শিবের মস্তক, আকাশ নাভি, চন্দ্র ও সূৰ্য্য দুই চক্ষু, দিকসমূহ শ্রবণেন্দ্রিয় এবং বেদাদিশাস্ত্র No) S) বাত্মাত্রে বিস্তত। অথৰ্ব্বশিখার জগৎ কারণালুচিন্তন প্রকরণে শিবকে জগৎকারণ বলিয়। প্রতিপন্ন করা হইয়াছে। অথৰ্ব্বশিরস্, মহোপনিষদ, শিবরহস্য, রুদ্রমামল প্রভৃতি গ্রন্থে শিবের বিশ্বরূপতা, জগৎকারণত, পরব্রহ্মত্ব, শুদ্ধবদ্ধমক্তস্বরূপতা প্রভৃতি প্রতিপাদিত হইয়াছে। ঈশ্বর-সদ্ভাবে যখন সহস্ৰ সহস্র প্রমাণ রহিয়াছে এবং মথন তিনি বাক্য এবং মলের অগোচর, তখন ঈশ্বরেচ্ছসন্ত ত, মকর প্রধান, স গুণ রুদ্রের উপাসনা ও তল্লিঙ্গ دسمه তাহাঁদের প্রশ্ন শেষ চক্টলে শঙ্করাচার্য্য উত্তর ধারণ অবশ্য কর্তব্য । ” করিলেন “হে দ্বৈতলাদিগণ । দলিলে তাঁহা সীতা । তোমার। যাহ। লে মর। যে সকল শ্রীতির কথা বলিলে ত সমস্তই শুদ্ধ তা দ্বৈতরূপ অনাদি ত্রহ্মের প্রশংসা করিতেছে । এবিষয়ে আমার ; তোমীদিগের এক মত। কি স্ব তোমরা য়ে পলি লে “রুদের লিঙ্গ ধরণ অবশ্য কৰ্ত্তলা” তাই শস্ত্র বিরুদ্ধ এবং অপ্রমাণ । “তপ্তলিঙ্গ দি ক্ষণ ধারায়তব্যং” এরূপ উপদেশ কুত্ৰাপি নাই, ইহা অমূলক । বেদোক্ত-সদৃধৰ্ম্ম-সংস্কৃত শরীরের বৃথা তপ্তত কি প্রকারে শ্রেয়ঃ-পরম্পরার জনয়িত্রী হইবে । ব্রহ্মঘামলে এবং শ্রুতিতে উক্ত আস্থে যে বেদবেদাঙ্গপারগ ব্রাহ্মণের দেহে সকল দেবতা বাস করেন । অতএব জীবদ্দশাতে ব্রাহ্মণ লিঙ্গ ধারণ জন্য শরীর পরিতপ্ত করিলে দেবগণ তথা হইতে পলা, য়ন করেন এবং তাহাকে অভিশাপ প্রদান করেন। এইরূপ অনেক প্রমাণ আছে। মনুষ্য সদগুরুর উপদেশ দ্বারাই ব্ৰহ্মলক্ষণ জ্ঞাত হইয়া, সকল শুভকৰ্ম্ম জ্ঞানাগ্নি দ্বারা ভস্মীকৃত করিয়া, সংসার-সাগর পর হইয়। এবং সকল অবস্থাতে আত্মাকে ধ্যান করিয়া মুক্ত হইতে পারে । সুতরাং শরীরের বহির্ভাগে লিঙ্গধারণের কোন ফল নাই, কেবল চৰ্ম্ম