পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাষাঢ় ১৮০১ বেহাল ব্রাহ্মসমাজ । ১লা বৈশাখ রবিবার। যে ব্যক্তি উন্নতির প্রার্থী, নববর্ষ তাঁহারই পক্ষে আদরণীয়। বিষয়-ক্ষেত্রেও র্যাহারা বিষয়ের শ্ৰীবৃদ্ধি আকাঙক্ষ করেন, বিষয়-বিস্তারের অভিলাষ করিয়া থাকেন, নববর্ষের সমাদর তাহারাও বিশেষরূপে অবগত আছেন । র্তাহারা সম্বৎসর কাল এই শুভ দিনেরই গণনা করেন, যে কবে নববর্ষ সমাগত হইবে যে দিনে তাহার ভঁাহাদের আয়বৃদ্ধি সন্দর্শন করিয়া হর্ষোৎ- ! ফুল্ল হৃদয়ে আবার মবতর লাভজনক ব্যাপারে প্রবৃত্ত হইয়া বিষয়-বিস্তারে সমর্থ হইবেন । যাহারদের শিক্ষার প্রতি-শরীর মনের বলবৰ্দ্ধনের প্রতি বিশেষ ষত্ব অনুরাগ আছে, তাহারা সম্পৃহ নেত্রে এই শুভ দিনেরই প্রতি দৃষ্টি করেন, যে কবে বর্ষচক্ৰ ঘূর্ণিত হইয়া আমারদিগকে নবতর ক্ষেত্রে লইয়া যাইবে, যে কাল যে অবসর প্রাপ্ত হইয়া শরীর যৌৱনত্রী ধারণ করিবে, মন উচ্চতর भिकांलांउ कब्रिग्रां दछ्दि१५ वभूला ख्ळांन-' রত্ন আহরণে সমর্থ হইবে। প্রাণহীন মৃৎ পাষাণ সকল আর নববর্ষের মর্য্যাদা কি অনুভব করিবে ? যাহাতে প্রাণ অাছে, মন আছে, আত্মা আছে , উন্নতিই তাঁহায় দের ঐ সৌন্দৰ্য্য, উন্নতিই তাহারদের লক্ষ্য। অৰস্থাভেদে শ্রেণীভেদে তাহারা নববর্ষের প্রকৃত গৌরব ব্যক্ত করিতে সমর্থ হউক বা না হউক, তাহার উন্নতির নবতর ক্ষেত্র প্রাপ্ত হইয়া স্বাভাবিক নিয়মেই শোভা সৌন্দৰ্য্য, ঘূর্তি छैनाम शांद्र१ कब्रिग्ना थाहरु । कलाॉ4তর জলাবণ্যে শোভিত হইয়া অব্যক্ত মধুর নিনাদে যেন নববর্ষের অভ্যর্থনা করিতে থাকে । এই নবপল্লবশোভিত তরুরাজি এই নবমুকুলক্ষলধানী বৃক্ষলতা সকলই বেহাল ব্রাহ্মসমাজ | | 8S) তাহার সাক্ষ্যস্থল। কলকণ্ঠ বিহঙ্গদলের মনোহর মধুর সঙ্গীত-আলাপই তাহার প্রত্যক্ষ নিদর্শন। প্রাণি জঙ্গমের উন্নতিপ্রণালীই তাহার জাজ্বল্যতর প্রমাণ। উন্নতিশীল আত্মাবিশিষ্ট মনুষ্য-সমাজের প্রতি একবার দৃষ্টিপাত কর—ধৰ্ম্মপ্রধান আৰ্য্যভূমির আচার ব্যবহার একবার আলোচনা করিয়া দেখ, যে নববর্ষের অভু্যদয়ে মর্ত্যলোকে কি এক আনন্দ উৎসবদ্বার প্রমুক্ত হইয়াছে। অাজ ভারতের কৰ্ম্মক্ষেত্র বাণিজ্যশালা তীর্থভূমি দেবগৃহ সকলই পবিত্র ধৰ্ম্মক্ষেত্রের ভাব ধারণ করিয়াছে। গৃহপরিবারের মধ্যে আজি নবতর কল্যাণতর ব্ৰতকৰ্ম্ম দীনধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান আরম্ভ হইয়া করিতেছে । h l f | | ংসার-আশ্রমের প্রকৃত গৌরব বৰ্দ্ধিত আজি সাধকদল দেবালয়ে উপাসনাক্ষেত্রে ঈশ্বরের ধ্যান ধারণা পূজার্চনার অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইয়া মর্ত্যের মহত্ত্ব সাধন করিতেছেন । ধৰ্ম্মই যাহারদের জীবন, উন্নতিই যাহারদের লক্ষ্য, সেই উদ্যম উৎসাহশীল অমৃতধামের যাত্রী সাধু সদাশয় মহাপুরুষগণই নববর্ষের প্রকৃত মৰ্যাদা যথার্থ মাহাত্ম্য অবগত হইতেছেন। অনিত্য ধনরত্বের ক্ষতি বৃদ্ধি যাহারা কেবলই গণনা করেন, সেই সকল বিষয়ী অপেক্ষ নিত্যধনআকাঙক্ষী, উন্নতিপ্রার্থী ধৰ্ম্মপরায়ণ সুধীর সজ্জনদিগের হর্ষ আনন্দমাত্রা আজ যে কত উদার ভাব ধারণ করিয়াছে তাহা বাক্যেতে বুঝাইবার উপায় নাই। যে স্বদেশপ্রেমী মহাপুরুষ স্বীয় জন্মভূমির শল্যউদ্ধারে প্রবৃত্ত হইয়া কারাগৃহে অবস্থান করত কারামুক্ত হইবার দিন গণনা করিতেছেন, তাহাকে যাইয়া জিজ্ঞাসা কর, যে ज्रांछकांद्र लिन ॐांशंद्र Piहन्य cरुगन णांमन्मকর। যে বিদ্যার্থী যুব, পরিমিত কালের জন্য স্বদেশ পরিত্যাগ পূর্বক দেশ দেশান্তরে