পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ჯ) করিয়া দিয়াছ । তুমি জ্ঞান দাও, প্রীতি দাও, ধৈর্য্য বীর্য্য তিতিক্ষ সন্তোষ দাও, বিবেক বৈরাগ্য দাও ; আমায় আশ্রয় প্রদান কর, যে তোমার বলে বলীয়ান হইয়া তোমার মহিমা মহীয়ান করি । তোমার যশ ঘোষণা করি । তোমাকে প্রীতি ও তোমার প্রিয় কার্য্য সাধন করি, এই অামারদের কামনা ; নাথ ! কেবল এই অামারদের অন্তরতম প্রার্থনা ৷ ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । = ববর্ষের ব্রাহ্মসমাজ । ১লা বৈশাখ ব্ৰাহ্ম সম্বৎ ৫• কি পবিত্র কি রমণীয় সময় ! নববর্ষের এই প্রথম মুহুর্তের শোভা কি হৃদয়প্রফুল্লকর । চতুর্দিকে কি প্রশান্ত কি মধুময় ভাব ! আকাশের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখি, আকাশ নির্মল । যেন তথা হইতে অমৃতবারি বর্ষণ হইতেছে। স্নিগ্ধকর বায়ু-হিল্লোলে শরীর পুলকিত হইতেছে । সুরভি কুস্কমের গন্ধে চারি দিক আমোদিত। ঐ দেখ বিহঙ্গম সকল জাগ্রত হইয়া মধুর স্বরে গান করিতেছে । এমন পবিত্র সময়ে ব্রাহ্মগণ সেই অমৃত-সাগরে নিমগ্ন হও । “গেল । বিভাবরী আইল শুভ্ৰবসন৷ উষা, মগ্ন হওরে অমৃত সাগরে । তার সমান কেহ চক্ষে দেখে নাই শুনে নাই শ্রবণে । ” আজ যেমন উৎসাহ সহকারে বলিতেছি “গেল বিভাবরী জাইল শুভ্ৰবসন৷ উষা, মগ্ন হওরে অমৃত সাগরে * অীবার কবে সে শুভ দিনের উদয় হইবে যখন পুনৰ্ব্বার বলিতে পারিব, “গেল বিভাবরী আইল শুভ্ৰৰসনা উষা, মগ্ন হওরে অমৃত সাগরে” সে দিন এখানকার শেষ দিন । তখন এই অন্ধকারময় সংসার জন্মের মত আমাদের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা _ _ MMM AMM MeAAA AAAA SAMMMMMAAASAAAA AAAATMSATS १० कछ; * ॐांन STSTLLLLSSSSSAAAASA SAAAAA AAAAT TTSTSTT AA eAeS সম্মুখ হইতে অবস্থত হইবে এবং জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্ৰহ্ম-ধামের অমৃত-জ্যোতি আত্মার সম্মখে প্রকটিত হইবে। এই আশা র্যাহার অবলম্বন, তিনি কি পরম সুখী । পবিত্র যাহার জীবন তিনিই কেবল এই অাশার সুশীতল ছায়া লাভ করিতে পারেন। অদ্য হইতে-এই পবিত্র মুহূর্ত হইতেই কি আ- , মর পবিত্র জীবন ধারণ করিবার প্রতিজ্ঞ করিব না ? ঈশ্বরবিহীন জীবন কি মৃত্যুসমান নহে ? কে সে ভারবহু জীবন বহিতে চায় ? সেই অমৃতস্বরূপকে ইহ জীবনেই হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। তিনি বিনা যে হৃদয় সে শ্মশানসমান । তাঁহাকে চক্ষে চক্ষে বক্ষে বক্ষে রাখিতেই হইবে । যিনি র্তাহাকে চক্ষে চক্ষে বক্ষে বক্ষে রাখিতে পারেন তিনি ইহ লোকে থাকিয়াই পরলোকের অমৃত-জ্যোতির আভাস প্রাপ্ত হন । যে আনন্দময়ের আনন্দ-কিরণে স্বৰ্গধাম জ্যোতিৰ্ম্ময়, সেই নিমল জ্যোতিই তাহার হৃদয়ে বিরাজমান । যিনি তদগতপ্ৰাণ, যিনি তাহাকে ভুলিয়া থাকিতে পারেন না, র্তাহার হৃদয়ে ঈশ্বরের জ্যোতি নবতর আশচর্য্যতর শোভা বিস্তার করে । যিনি র্তাহাকে দেখিবার জন্য ব্যাকুল—যিনি তার জন্য পিপাসু, ঈশ্বর যে কি অমৃতবারি দিয়া তাহার পিপাসা শাস্তি করেন, কি আশ্চর্য্য কৌশলে যে তিনি তাহার নিকটে প্রকাশিত হন, কেমন করিয়া আমি তাহা ব্যক্ত করিব ? তাহার ভক্ত তাহাকে সৰ্ব্বত্র দর্শন করেন । নির্মল গঙ্গার জলে--পদ্মের নিরুপয় রূপলাবণ্যে—বালক বালিকার মধুর হাস্যে—পতিব্ৰতার প্রেমে—ধৰ্ম্মাত্মার অনুরাগ-রঞ্জিত আননে তিনি তাঁহাকে উপলব্ধি করেন । তাহার গৃহ-প্রাঙ্গণে যখন ক্রীড়াশীল বালক বালিকাগণ আনন্দে নৃত্য করিতে থাকে, তখন তার মধ্যে তিনি সেই