পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

נ8שג שtstא ঈশ্বরেরই করুণাকে শতধা বিভক্ত হইয়া বিরাজ করিতে দেখেন । ঈশ্বরপরায়ণ যেমন সৰ্ব্বদাই তাঁহাকে চক্ষে চক্ষে রাখিতে ভাল বাসেন, ঈশ্বরও তেমনি তাহার সেবককে তাহার চক্ষে চক্ষে রাখিতে ইচ্ছা করেন। ঈশ্বর তাহার প্রিয় পুত্রের বক্ষের ভিতরে ও চক্ষের সম্মখে সততই বিরাজমান থাকেন । ঘোর বিপদের সময়েও তিনি তাহার হৃদয়ের ভিতর থাকিয় তাহাকে বৈরাগ্যের উপদেশ দিয়া শান্তি দান করেন । তাহার করুণার তুলনা কোথায় ; আমরা তাহার নিকটে তাহাকে প্রার্থনা করিলেই তাহাকে পাইতে পারি। সকল প্রার্থনার মধ্যে আমরা তাহার নিকটে তাহাকে প্রার্থনা করিতেই ভাল বাসি। এবং তিনিও সকল প্রার্থনীর মধ্যে ঐ প্রার্থনা শ্রবণ করিতে ভাল বাসেন । ইহা আমরা পরীক্ষা দ্বারা জানিতে পারিয়াছি। তবে কেন না আমরা র্তাহাকে লাভ করিবার জন্য র্তাহার নিকট প্রার্থনা করিব ? আন্তরিক প্রার্থনা কখন fনস্ফল হয় না । তিনি আমাদের হৃদয়ের .প্রার্থনা শ্রবণ করিবেন । তিনি আমাদের অন্ধকার হৃদয়ের আলো হইয়া, বিপদ-অন্ধকার মোহ-অন্ধকার দূর করবেন। আত্মাকে পবিত্র করিবেন। সেই পবিত্রতার বলেই ংসার-রজনী যখন প্রভাত হইবে, মৃত্যু যখন উপস্থিত হইবে, তখন বলিতে পারিব, *গেল বিভাবরী আইল শুভ্ৰবসন৷ উষা, মগ্ন হওরে অমৃতসাগরে ৷” হে অমৃতস্বরূপ । আমরা তোমার শরণাপন্ন হইতে আসিয়াছি । আমাদিগকে তোমার অভয় পদে স্থান দাও । পাপতাপ—মৃত্যুজ্বালা ও মৃত্যুপীড়া হইতে আমাদিগকে রক্ষা কর। চির জীবন তুমি चांथांब्र शमदग्नद्र यांप्लांक ७ कc*ब्र शंद्र হইয়:থাক। পরিশেষে যাহাতে মৃত্যুরূপ আমিষ ভক্ষণ 8% দ্বার দিয়া আনন্দ মনে তোমার অমৃত নিকেতনে উপস্থিত হইতে পারি তুমি তাহার উপায় বিধান কর । “অপনা প্রতি নিরখি না দেখি নিস্তার । এক মাত্র ভরসা হে করুণা তোমার ॥ ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং আমিষ ভক্ষণ। (Cat왕) ধৰ্ম্ম তিন ভাগে বিভক্ত করা যাইত্তে পারে ; শারীরিক ধৰ্ম্ম, মানসিক ধৰ্ম্ম ও আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম । এই ধৰ্ম্মত্রয় সাধন করাই প্রকৃত ধৰ্ম্মসাধন । শরীরের স্বাস্থ্যরক্ষা ও প্রকৃষ্ট উপায় সকল দ্বারা তাহাকে দৃঢ়িষ্ঠ ও বলিষ্ঠ করা শারীরিক ধৰ্ম্ম, মনের বৃত্তি সকলের নিয়মিত চালনা ও তাহাদিগের উন্নতি সাধন করা মানসিক ধৰ্ম্ম, এবং আত্মার গুণ সকলের পরিচালনা ও তাঁহাদিগের উৎকর্ষ সম্পাদন করা আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম বলা যায়। শরীর মন ও আত্মার সহিত পরস্পর এরূপ নিকট ও নিগৃঢ় সম্বন্ধ বর্তমান রহিয়াছে যে শারীরিক ধৰ্ম্ম সাধনের প্রতি কিছুমাত্র অবহেলা করিলে আমরা মানসিক ও আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম সম্পূর্ণরূপে পালন করিতে পারি না, মানসিক ধৰ্ম্ম সাধনের প্রতি কিছুমাত্র অবহেলা করিলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম সম্পূর্ণরূপে পালন করিতে পারি না, এবং আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম সাধনের প্রতি কিছুমাত্র অবহেলা করিলে আমরা শারীরিক ও মানসিক ধৰ্ম্ম সম্পূর্ণরূপে সাধন করিতে পারি না। অতএব প্রকৃত রূপে ধাৰ্ম্মিক হইতে গেলে আমরা শারীৱিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিন প্রকার ধৰ্ম্মই সমানরূপে পালন করিব। অনেকে শারীরিক ধৰ্ম্ম সাধনের প্রতি অতিশয় বিমুখ ।