পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाँवॅी छ १v०* সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ও তত্ত্বকৌমুদী ২৭ হিন্দু জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্র, এক সময়ে এই পবিত্র ভারতবর্ষে ধৰ্ম্মসংক্রান্ত সত্য সকল আবিস্কার করিবার জন্য একটা স্বতন্ত্র শ্রেণী নির্দিষ্ট হয়। এই শ্রেণী ব্রাহ্মণ । ইহার বহুকাল যাবৎ মুক্ত ভাবে চিস্ত করিয়াছেন । এই অগাধ ও অনন্ত জ্ঞান-সমুদ্র ¢दल ८दलांख ऊँांश८लब्रहे कि छांद्र झल ! উাহারা ঈশ্বরকে করতলন্যস্ত আমলকবৎ প্রতীতি করিতেন । এই জন্য বেদ বেদান্তে যেরূপ ঈশ্বরের স্বরূপ নির্দিষ্ট আছে তাঁহা সকল দেশের সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্র অপেক্ষ উদার । খৃষ্ট ও মহম্মদ প্রভৃতি ধৰ্ম্মপ্রবর্তকের ন্যায় ঈশ্বর-প্রেরিত বলিয়া র্তাহাদের কোন নিগূঢ় স্বাৰ্থ চরিতার্থ করিবার উদ্দেশ্য ছিল না, এই জন্য র্তাহীদের চিন্ত৷ অসঙ্কুচিত, যে চিন্তা অসঙ্কুচিত তাহার ফল অবশ্যই বিশ্বজনীন, আমরা বংশ-পরম্পরায় সেই বিশ্বজনীন রত্নভাণ্ডার অধিকার করিয়া আসিতেছি, তবে আমাদের দরিদ্রতা কিসের ? কোন ইউরোপীয় বিচক্ষণ পণ্ডিত কহি য়াছেন যে, যে দেশে বেদ বেদান্তের ন্যায় ধৰ্ম্মশাস্ত্র আছে সে দেশে খ্রিষ্টান ধৰ্ম্মের প্রচার-প্রয়াস বিড়ম্বন মাত্র। হিন্দুজাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে সত্যের যে কিছুমাত্র অভাব নাই তিনি বস্তুত তাহাই বুঝিতে পারিয়া ছিলেন। ফলত হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রে ধৰ্ম্ম ও নীতি যেমন উচ্চ ও উদারভাবে পাওয়া যায় এরূপ আর কুত্রাপি


همسایههای معm==

|t অভাব নিবন্ধন নহে,এখনকার স্বদেশ-বিদ্বেষী যুবকদিগের শ্রমকাতরতাই তাহার মুখ্য কারণ । ভক্তিভাজন প্রধান আচার্য্য মহাশয় অনন্যকৰ্ম্ম হইয়া বহুদিনে হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে বর্তমান ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থ উদ্ধার করিয়াছেন । বয়েtধৰ্ম্মে এখন তাহার শরীর ও মন ক্রমে অব সন্ন হইয়া পড়িতেছে, ব্রাহ্মেরা কোন শ্রমসাধ্য কৰ্ম্ম তাহার নিকট আর প্রত্যtশা করিতে পারেন না। এক্ষণে যদি কোন উৎসাহশীল যুবক উহার ন্যায় হিন্দুশাস্ত্র হইতে অনাবিস্কৃত সত্য সকল সংগ্ৰহ করিয়া প্রকাশ করেন তাঁহা হইলে ব্রাহ্মসমাজের একটি চিরস্মরণীয় উপকার সাধন করা হয় এবং সংগ্রহের অধিক্যে সত্যের অভাব নিবন্ধন হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রের অপকলঙ্ক ও ক্ষালিত হইতে পারে। তত্ত্বকৌমুদী বলেন “সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে এমন অনেকগুলি লোক আছেন যাহারা বিবাহ রেজিষ্টরি কর ভাল বাসেন না, এ বিষয়ে সাধারণ সমাজের সভাগণের সম্পূর্ণ স্বাধীনত৷ ৷ ” যখন সাধারণ ব্রাহ্মদিগের বিবাহ প্রচলিত অপৌত্তলিক হিন্দু রীতিক্রমে নিৰ্বাহ হয় না, তখন তাহা অসিদ্ধ । সম্প্রদান পাণিগ্রহণ ও সপ্তপদীগমন হিন্দু প্রণালীতে বিবাহের এই তিনটি প্রধান অঙ্গ । এই সমস্ত অঙ্গ রক্ষা করিয়া অপৌত্তলিক বৈদিক মন্ত্রেচারণ পূৰ্ব্বক কাৰ্য্য নির্বাহ করা হিন্দুরীতি। সাধারণ সমাজ এই পাওয়া যায় না। তবে কথা এই যে বাইবল প্রভৃতির ন্যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধৰ্ম্মগ্রন্থে এক স্থানে হয়ত কতকগুলি সত্য সহজেই আসিয়া চক্ষেপড়ে, কিন্তু হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্র অগাধ ও জনপ্ত; অনেক পরিশ্রম ও অনেক অনুসন্ধান ‘করিতে হয় তবে তাহা হইতে রত্নোদ্ধার ইইতে পারে। হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে সত্যের অভাব *াছে এই ঘুে কলঙ্ক ইহা বাস্তব সত্যের হিন্দুরীতি রক্ষা করিতে অনিচ্ছুক, সুতরাং এতদেশীয় নিয়মানুসারে তাহদের বিবাহ অসিদ্ধ। অসিদ্ধ বিবাহের সিদ্ধি এবং সন্তান সন্ততির দয়াধিকারে অব্যাঘাত এই জন্যই আইনের স্বষ্টি । তত্ত্বকৌমুদী যাহাই বলুন না,কিন্তু কোন ব্রাহ্ম সাধারণ সমাজের নূতন উদ্ভাবিত পদ্ধতিক্রমে বিবাহ করিয়া এবং ঐ অসিদ্ধ বিবাহ রেজেষ্টরি না করাইয়া সন্তান