পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चांबाँ; *v** সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ও তত্ত্বকৌমুদী מלא) মৰ্ম্মই বুঝিতে পারেন नां । হিন্দু-বিবাহে | কোন কালেই ব্রহ্মকে ত্যাগ করিয়া অর্থা সম্প্রদানাদি কার্য্যের ন্যায় প্রণালী-পরিশুদ্ধ ও অঙ্গপূর্ণ করিবার জন্য বাধ্য হইয় তাহীকে এই রেজেষ্টরি করিতে হইবে। এক্ষণে যখন রেজেষ্টরিটি বিবাহের মুখ্য অঙ্গ ও ভূস্ত্যজা হইয়া উঠিল তখন রেজেষ্টরি আইনের ব্যাখ্যানুসারে সাধারণ সমাজের বিবাহ চুক্তি বিবাহ ব্যতীত আর কিছুই নয়। এই চুক্তি বিবাহের একটা বিশেষ দোষ তাছে। এখন ইহাতে গৌণ কল্পে ঈশ্বরোপাসনা রছিয়াছে, ভবিষ্যতে উপাসনা না থাকিবারই সম্পূর্ণ সম্ভাবনা, কারণ এইট মুখ্য অঙ্গ নয়, যেটি মুখ্য অঙ্গ নয় তাহার অাদর চিরকাল থাকে না । সুতরাং নিরীশ্বর বিবাহের নে সমস্ত দোষ সমাজমধ্যে সেইগুলি দলবল সহিত একে একে দেখা দিতে থাকিবে । তখন হইবে এই, আজ একটী যুব কোন রমণীর রূপলাবণ্যে মোহিত হইয়া তাহার পাণিগ্রহণ করিলেন, কিছু দিন পরে তার একটা অপেক্ষাকৃত রূপবতী তাহার অদৃষ্টে জুটিয়া গেল। যুবা ধৰ্ম্মনিয়মে নহে মুখ্যত রাজনিয়মে বদ্ধ, সে নিয়ম-ভঙ্গে পারলৌকিক ভয় আর কি আসিবে ? তিনি স্বচ্ছন্দে ছলে বলে পূৰ্ব্বপরিণীত রমণীকে ত্যাগ করিলেন এবং হিন্দুসমাজ চোঁদপুরুষে যাহা কখন দেখে নাই সেই সকল লীলা দেখাইতে লাগিলেন । সুতরাং ধৰ্ম্মপ্রাণ হিন্দুসমাজে এই রূপ জঘন্য বিবাহ যে বহু অনর্থের মূল হইয় উঠবে সে বিষয়ে কিছু মাত্র সংশয় থাকিতেছে না। এক্ষণে রেজেষ্টরির পক্ষপাতীদিগকে সানুনয়ে বলি তাহারা এই নীচ প্রথাটি পরিত্যাগ করুন, যদি না করেন,যদি মুখ্য অঙ্গ রেজেষ্টরি স্বারাই বিবাহ সম্পন্ন হইয়া যায় তবে ঈশ্বরকে মাঝখানে জানিয়া বধ করিবার আর প্রয়োজন কি । তত্ত্বকৌমুদী বলিতে পারেন যে ব্রাহ্ম হইয়া উপাসনা না করিয়া বিবাহ করিতে পারেন না। আমরা বলি সাধারণ সমাজের বিবাহপ্রণালী আদৌ ব্রাহ্ম-প্রণালীই নয়,কারণ এখন হইতেই দেখিতেছি উছাতে নাস্তিকেরাও যোগ দিতেছে । যে প্রণালীতে নাস্তিকের স্বচ্ছন্দে যোগ দিতে পারে তাহা ব্রাহ্ম-বিবাহপ্রণালী বলিয়া কিরূপে গ্রহণ করিব । তত্ত্বকৌমুদী হৃদয়ের বিবাহ উল্লেখ করিয়া কহিয়াছেন যে দশ জনের সমক্ষে বিবাহ ন হইলে সমাজ তাহা বিবাহ বলিয়া স্বীকার করেন না । হৃদয়ের বিবাহ যে কি এতদ্দেশে তাহ প্রচলিত নাই । সুতরাং এস্থলে তাহ লইয়া একটা বিচার চলিতে পরে না, তবে তাহার মোট কথ। এই যে দশ জন সামাজিক লোক না থাকিলে আদৌ বিবাহ নিদ্ধ হয় না, সুতরা, যখন বিবাহে দশ জনের সক্ষিতা আবশ্যক হইল তখন রেজিস্টরকে সাক্ষী করায় এত আপত্তি কেন । প্রত্যুত্তরে তামরা এই বলিতে পারি যে এতদেশে দশ জন না থাকিলে ও স্থলবিশেষে বিবাহ সিদ্ধ হয় এবং সমাজ তাহ বিবাহ বলিয়। স্বীকার করে । এমন অনেক স্থল আছে যে বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষ উভয়পক্ষই অসমর্থ, দশজনকে আনিয়া সম্মান রক্ষা করিতে পারেন তাহদের এরূপ সমাবেশ নাই; অথবা এমনও হইতে পারে যে দলাদলি সুত্রে কেহ কাহারও সহিত ভোজ্যান্নত রক্ষা করিতে চান না, সেস্থলে কেবল বর কন্যা ও পরোহিত ব্যতীত সমাজের দশ জন বিবাহস্থলে উপস্থিত হন না । কিন্তু সমাজ সেরূপ ধিবহকে অস্বীকারও করেন না । আর বিবেচনা করিতে গেলে সমাজিক দশ জনের সাক্ষিত এক স্বতন্ত্র কথা এবং রেজিষ্টারের সাক্ষিত এক স্বতন্ত্র কথা। সামাজিক দশ জনের সীক্ষিতা বিবাহ