পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S:)8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১• কল্প; ১ ভাগ DT TDSDDDSAS SSAS SSAS SSAS SSAS অস্তরেই বর্তমান রহিয়াছেন ইহা যখন স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিতে পারি তখনই শোক তাপ বিঘ্ন বিপত্তি পাপ মোহ হইতে বিমুক্ত হইয়া নির্ভয় হই । তিনি আমাতে, আমি তাহাতে সংস্থিত রহিয়াছি, ইহা যখন জাজ্বল্যতর রূপে সাধক প্রতীতি করিতে পারেন, তখন গুরুবিপত্তিও তাঁহাকে বিচলিত করিতে পারে না ! যন্মিংস্থিতো ন দু:খেন গুরুণাপি বিচাল্যতে । আত্মাই ঈশ্বরের নিভৃত-নিকেতন । এই শরীরই তাহার মন্দির, এই হৃদয়ই তাহার আসন । শরীর মন্দিরে হৃদয়াসনে ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া তাহার সঙ্গে অ’ । ধ্যায়-যোগে আবদ্ধ হইয়া সংসারের হর্ষ । শোক হইতে মুক্ত হওয়াই সাধকের প্রধান কার্য্য । বাহ্য জগং তাহার জ্ঞান-প্রেমলাভের উপায়, সাধুসঙ্গ ও সস্থাপদেশাদি ব্ৰহ্মজ্ঞান-উদ্দীপনের উপলক্ষ মাত্র, কিন্তু ব্রহ্মই আত্মার লক্ষ্য । সেই পরম লক্ষ্য i ভেদ করিয়—তাহার মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া— । ছেন । তিনি জীবাত্মার দ্বার। উপকৃত ব! তাহার দ্বারা সম্পূর্ণ রূপে আবৃত হওয়াই শিক্ষা সাধন ও তপস্যাদির চরম ফল । ‘তদেতৎ সত্যং তদস্থতং তং বেদ্ধব্যং সৌম্য বিদ্ধি' তিনিই সত্য, তিনিই অমৃত, তিনি আত্মার দ্বারা বেধনীয় । অতএব হে প্রিয় শিষ্য ! তোমার আত্মার দ্বারা তাহাকে বিদ্ধ কর, ব্রহ্মবাদী অাপ্তকাম ঋষিদিগের এই উপদেশ । একাগ্রচিন্তু দ্বারা সেই পরমাত্মাকে বিদ্ধ কর এবং জ্ঞানচক্ষু উল্মীলিত করিয়া তাহাকে আয়াতে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ করিয়া পরমানন্দ উপভোগ কর । ঈশ্বরের কেবল জ্ঞানশক্তি মহিমার পরিচয় পাইলে – কেবল চার অস্তিত্ব মান্ত্রে বিশ্বাস করিলেই ধৰ্ম্মশিক্ষার শেষ হয় না । তাছাকে আত্মস্থ করিয়৷ জানিতে পারিলেই জীবন সার্থক হয়। বস্তু যাহার যত প্রয়োজন, সেই পদার্থকে তিনি তাহার তত নিকটেই স্থাপিত করিয়া রাখিয়ছেন । অন্ন জল বিনা মমুষ্যের প্রাণ রক্ষা হয় না, করুণাপূর্ণ পুরুষ সেই জন্যই তাহার চতুর্দিকে তাহা অজস্ররূপে স্থাপন করিয়াছেন । ঔষধ বিনা রোগমুক্ত হইবার উপায়ান্তর নাই, সেই নিমিত্ত যে দেশে যে রোগের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব, সেই দেশে তিনি, সেই ঔষধই প্রচুর পরিমাণে প্রেরণ করিয়াছেন । আলোক বায়ু ব্যতীত উদ্ভিদ রাজ্য ও জীব জন্তু জগৎ মুহুর্তের জন্য ও জীবিত থাকিতে পারে না, সেই কারণেই মঙ্গলস্বরূপ পরমেশ্বর তাহা সকলেরই পক্ষে অনায়াসলভ্য করিয়া দিয়াছেন। সেই ভূমা ঈশ্বর ব্যতিরেকে আত্মার প্রাণ রক্ষা হয় না, আত্মার ক্ষুং-পিপাসা নিবারণ হয় ন—তাছার বদ্ধন পোষণ, সুখোন্নতি সংসাধন এবং গতি মুক্তি লাভের কোন সম্ভাবনাই থাকে না, সেই জন্যই সেই ভূমা পরমেশ্বর আত্মার সবুজ। সখী হইয়! আত্মার মধ্যেই অবস্থান করিতে পোর্মিত হইবেন এ প্রত্যাশাতে যে তাত্মার মধ্যে বিদ্যমান রহিয়াছেন তাহা নয় । তিনি স্রষ্ট পাতা হইয়। স্বীয় স্বস্ট ও আশ্রিত আত্মাকে পালন ও পোষণ করিবার নিমিত্ত, নেতা ও নিয়ন্ত হইয়া আত্মাকে শোধিত ও শিক্ষিত করিয়া কল্যাণ-পথ প্রদর্শনের জন্য, রক্ষক হইয় তাহাকে পাপ তাপ শোক মোহ হইতে উদ্ধার করিবার উদ্দেশে, মুক্তিদাতা হইয়া মুক্তি-ইচ্ছু আত্মার হৃদয়-গ্রন্থি ও সংসারবন্ধন হইতে মুক্তিবিধান করিदांद्र छमाहे ठिनि ठांङ्कांग्न भाथा क्लिTयांन } রহিয়াছেন ৷ জননী যে জন্য মেছের . ধন শিশু-সন্তানকে আপনার ক্রোড়ে যত্নের সহিত রক্ষা করেন, সেই পরম মাতা পরম ঈশ্বরের স্বষ্টির প্রণালীই এই যে, যে পিতা পরমেশ্বর তাহ অপেক্ষ অনন্ত গুণ