পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ده باد }} }tیخ হিত-কল্যাণ সাধনের নিমিত্ত—ঐহিকপারত্রিক মঙ্গল-কামনায় সেই অনুপম স্নেহের পুত্তলিকা জীবাত্মাকে দিন-যামিনী আপনার সুদৃঢ় প্রেমালিঙ্গনের মধ্যে রক্ষা করিতেছেন । পদচালনা শিক্ষার সময় মাতা যেমন সন্তানকে ছাড়িয়া দেন, এবং ভয়-প্রাপ্ত হইয়া শিশু রৌদন করিলে যেমন দূর হইতে বলেন যে “ভয় নাই, এই যে আমি এখানে রহিয়াছি ? ঈশ্বর তাছার সন্তান স্বাধীন-জীবাত্মাকে তেমনি এই সংসারক্ষেত্রে শিক্ষার জন্য ছাড়িয়া দিয়া তিনি তাহার সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, যখনই সে সংসারের বিল্প বিপত্তি সনদর্শন করিয়৷ ভীত হয়, ঈশ্বর তখনই আত্মার অভ্যন্তর হইতে সম্লেছে বলিতে থাকেন “বংস ! ভয় নাই, “অহং ব্রহ্মাম্মীতি” এই যে আমি তোমার পিতা-মাত অভয়দাত ব্রহ্ম তোমারই সঙ্গে, তোমারই আত্মাতে রহিয়াছি। ভবানীপুর সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ! | t* সেই তামু ত-গনিকে অল্পীর-আভ্যন্ত so.--— .בל að ۔ سی و نه খিতে পাই—নগন ত{হ ে এখন পরম মাতার ক্রেীড়শায়ী হইয়া । যদি আত্মা, সেই জননীকে দেখিতে না পায়, তার জ্ঞান-প্রেম অমৃত রসে পরিপুন্ট হইয়াও যদি সে তাছার অকপট স্নেহ উপলব্ধি করিতে না পারে, যদি আত্ম! তাহার নিকটে থাকিয়াও ভয়-তাপ-দুঃখ বিপদে সেই অভয় মঙ্গল স্বরূপকে সনদর্শন করত অটল থাকিতে সমর্থ না হয়, তবে আর তাহার নির্ভরের স্থান, উদ্ধারের উপায়, শান্তি ও আরামস্থল কোথায় ? মাতাকে নিকটে দেখিতে না পাইলে শিশু যেমন ভীত হয়, রোদন করে, ঈশ্বরকে তেমনই আত্মাতে দেখিতে না পাইলেই আত্মা, শোকতাপে भू शयांन श्ध्न । यथन ¢न शैग्न श्रांज्रांहउ সেই “ সৰ্ব্বসেব্য ঈশ্বরকে ও র্তাহার মহিমাকে দেখিতে পায়, তখন তাহার আর শোক থাকে না । ”

  • সমানে ৰূক্ষে পুরুষোনিমজোছনীশয়া শোচতি

৩৫ মৃহ্যমান: জুন্টং যদা পশ্যত্যনামীশমস্য মহিমানমিতি বীতশোকঃ কেবল ঈশ্বরকে বিশ্বের স্রষ্ট পীত৷ বিধাতা বলিয়া জানিলে কি হইবে, তাছাকে প্রাপ্ত হওয়া—তাহাকে প্রত্যক্ষ সন্দর্শন কর চাই । সমুদ্রের অমুক স্থানে মুক্তার শি নিমগ্ন রহিয়াছে, অমুক আকরে রজত কাঞ্চন ও উজ্জ্বল হীরকখণ্ড সকল নিহিত রছিয়াছে, ইচ। বিশদ রূপে কেবল জানিতে পারিলে আমার কি দারিদ্র দুঃখ বিদূরিত Ի يتيه _ צל হয় ? মগন সেই সকল বস্তু আমীর হস্তগত হয়,—অামি প্রাপ্ত হই, তখনই আমার তেমনি দুঃখ দূর হস, আমি ধনবান হুই । কেবল ঈশ্বরকে দর-দরস্থিত করিয়া জানিলে আত্মার গভীর অভল আন্তরিত হয় কে “ক রতলম স্ত অমলকবং” প্রাপ্ত হই, তখন সকল ভান্ড দুর হয়, সকল দুঃখ চলিয়া যাব । তখন তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া ব্রহ্মবান হুই। তখন জ্ঞান তৃপ্ত হয়, প্রেম চরিতার্থ হয়, তাশা পূর্ণ তখনই প্রত্যক্ষ জানিতে পারি যে, র্তাহাকে যে ধীরেরা স্বীয় আত্মাতে সাক্ষাৎ मूठेि করেন, তাহারদেরই নিত্য শান্তি হয়, অপর ব্যক্তিদিগের তাহা কদাপি হয় ন! । ङ् . Éť “ ত মাত্মস্থং যেই ছুপশান্তি ধীরস্তেষাং শান্তিঃ শাশ্বতী নেতরেষাম । ” ঈশ্বর আত্মার এমনই প্রিয়-ধন, যে র্তাহাকে দেখিতে পাইলে—তাহাকে সম্যক্‌ রূপে লাভ করিতে সমর্থ হইলে, ধন-সম্পদ প্রভৃতি অন্য-লাভ, লাভের মধ্যেই গণ্য হয় না। তিনি এমন দুর্লভ রত্ন ন হইলে স্বষ্টি কাল হইতে মনুষ্য-জাতি কেন তাহার खना এত লালায়িত হইবে ? সেই অমৃত ধনের নিমিত্ত কেন সাধু সজ্জন-সকল অকাতরে সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিতে অগ্রসর হইবে ?