পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د ۶۰لا به ع ব্রাহ্মসমাজের উন্নতিপথের কণ্টক ११ দুষ্প্রাপ্য নহে। পঞ্চম অধ্যায়ের এক স্থানে উক্ত হইয়াছে “জন্মের পর মনুষ্যের পক্ষে পবিত্রতাই পরমোৎকৃষ্ট বস্তু ৷ ” “পবিত্র ব্যক্তি সৎকাৰ্য্য, সদালাপ ও সৎচিন্ত দ্বারা আপনাকে পবিত্র রাখেন। ” পারসীকের পুণ্যের পুরস্কার ও পাপের শাস্তি এবং স্বর্গ ও নরক আছে ইহা বিশ্বাস করিয়া থাকে। এই অধ্যায়ের এক স্থলে আছে “যাহারা পবিত্র নহে তাহার। মৃত্যুর পর স্বর্গে গমন করিবার অধিকারী হইবে না, তাহার। সেই চিরান্ধকারময় স্থানে গমন করিবে যথায় পাপীরা বাস করে* ” ক্রমশঃ কণ্টক । অন্তদৃষ্টি ধৰ্ম্মের প্রাণ। বিক্ষেপ শক্তি আমাদিগকে নানাত্বে লইয়া নায় কিন্তু সাংকোচ শক্তি আমাদিগকে একত্বে সংস্থাপন করে । অন্তদৃষ্টি কি আমরা তাহা বুঝিতে পারি না । বিক্ষেপের বিষয় বাহাবস্তু, সংকোচের বিষয় আমাদের আত্মা | পূর্বে এই ভারতবর্ষে যখন মায়াবাদ প্রচলিত ছিল তখনকার বিশ্বাস আত্মাই নিত্য ও সত্য পদার্থ। সে অবস্থায় বাস্থ জ্ঞানের অলীকতায় লোকের অন্তদৃষ্টিই প্রবল হয়। কিন্তু ঐ মায়াবাদ দোষশূন্য নহে ; আমি এই ধনধান্যপূর্ণ পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করিতেছি কিন্তু আমাকে বিশ্বাস করিতে হইবে ইহার অস্তিত্ব নাই । এই বিশ্বাস অমূলক, আমরা বস্তুতই এই পৃথিবীর, বাহ বিষয় আমাদেরই জন্য, কিন্তু আকাশে যেমন পক্ষীর পদচিহ্ন পড়ে না, জলে যেমন মৎস্যের গতিরেখা দৃষ্ট হয় না, আমাদেরও বিষয়ক্ষেত্রে বিচরণ সেই রূপ হওয়া আবশ্যক। আমরা বাহ ব্যাপারে থাকিব কিন্তু তাহাতে লিপ্ত হইব না । কাৰ্য্য করিব কিন্তু স্বয়ং কর্তৃত্ব-বুদ্ধি-শূন্য হইয়া থাকিব। এই রূপে বিষয়ের মধ্যগত इहेग्नी फ़िाउग्न eउTांशंद्र यङलून यांय"jक

  • ७ई बाँकी श्रांट्रुखांब्र श्रtनक हॉप्न cनथि८७

ו חוף ודtteי এই সঙ্কোচ শক্তি আয়ন্ত ন হইলে । | করিব তবেই আমাদের অন্তদৃষ্টি বৰ্দ্ধিত হইবে এবং ধৰ্ম্ম ও রক্ষা পাইবে । এই সঙ্কোচ বা আত্মদৃষ্টি বিক্ষেপ বা বহি দৃষ্টির উপর সমস্ত ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম নির্ভর করিতেছে। অদ্য আমরা এই মূল সূত্র ধরিয়া ব্রাহ্মসমাজকে পরীক্ষা করিতে এই প্রস্তাবের অবতারণ করলাম। ইতি পূর্বে জনসমাজ উপধৰ্ম্মে উপছত হইয়া বিচেষ্টমান হইতেছিল । সেই উপধৰ্ম্মের শৃঙ্গল ছেদন এবং জনসমাজকে বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মে অবস্থাপন এই দুইটি লক্ষ্য করিয়া ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ব্রাহ্মের উচিত মে তাহার এই লক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়৷ কাৰ্য্য করেন । কিন্তু আমরা দেখিতেছি তাহা হইতেছে না । ইহার কারণ ব্রাহ্মসমাজের নিয়ম ও ব্যবহারগত দেন। তামের এই নিয়ম ও ব্যবহারের দোষ প্রতিপাদন করিবার জন্য অা - পাতত দ্য ই একটা বিষয় উল্লেখ করিতেছি । প্রথম ত রসূ সমাজের ধৰ্ম্মপ্রচার আলেচন কর। জলেশ্যক । আমরা নিজে নে সত্যটি পাইয়াছি সৰ্ব্ব সাধারণের সহিত তাহা নির্বিশেষে ভোগ করিবার জন্য আমাদের একটি প্রবল আবেগ উপস্থিত হয়, সেই জন্যই ধৰ্ম্মপ্রচার । আমরা জমসমাজের পক্ষে তাহা শ্রেয়স্কর মনে করি । কিন্তু বর্তমানে যেরূপে ধৰ্ম্মপ্রচার আরম্ভ হইয়াছে সেটি নির্দোষ নহে। মনুষ্য ধৰ্ম্ম ও বিদ্যা বুদ্ধিতে যতই কেন উন্নত হউন না আমরা দেখিতেছি তিনি প্রশংসানুরাগ সহজে এড়াইতে পারেন না। অন্য কোন পার্থিব ব্যাপারে হয় ত ইহা দ্বারা কোন সুফল ফলিতে পারে কিন্তু ধৰ্ম্মরাজ্যে ইহা একটী অনর্থের কারণ হয় । এই প্রবল প্রশংসামুরাগে মনুষ্যের শেষে নিজের দেবত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা দাড়ায় এবং তিনি ক্রমে ঈশ্বরের পবিত্র সিংহাসন স্বয়ং অধিকার করিয়া বসেন। মনুষ্যের অতীত ইতিবৃত্ত তাহার সাক্ষ্যস্থল ৷ আমরা দেখিতেছি ব্রাহ্মসমাজে এই প্রশংসামুরাগ প্রবেশলাভ করিতেছে । শ্ৰীলাবণ্য-শোভিত পূপে বিকট কীট প্রবেশ করিতেছে। ইহার প্রমাণ এই সমস্ত সম্প্রদায়ের সম্বাদ পত্র। আমরা প্রায়ই দেখিতে পাই এই সমস্ত