পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ケペ গেলে, আপনাকে জ্ঞান বিজ্ঞানে তাহারদের সমান উন্নত করিতে না পারিলে কোন প্রকারেই তাহ সুস্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম করা যায় না । পরমার্থ-বিদ্যা বিষয়ে সেই নিয়মের লাভিচার করিলে যে তাহার বিপরীত তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয়, তাহা মুক্ত । কণ্ঠে সকলকেই স্বীকার করিতে, হুইবে । । পদার্থ-বিদা-ঘটিত কোন তত্ত্ব সপ্রমাণ করিতে গেলে যেমন ভৌতিক জগৎ হইতেই

  • ० कब्र; * छांश

শাস্ত্রে মুক্তির প্রকৃত অর্থ একরূপ হইলেও অনেকানেক আচাৰ্য্য ও টীকাকারগণ আপ: নাপন রুচি ও প্রবৃত্তি অনুসারে তাছার নানা ব্যাখ্যা ও তাৎপৰ্য্য প্রকাশ করাতে তাহ নানা লোক দ্বারা নানা অর্থে গৃহীত হইয়া থাকে। কেহব জীবন্মুক্ত পুরুষের ধ্যানধারণা প্রয়োজন নাই ; কেহ বা ব্ৰহ্মযোজিত-চিত্ত সাধুর পক্ষে মার ঈশ্বর-প্রীতি এবং তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন আবশ্যক তাহার প্রমাণ আহরণ করিতে হয়, তেমনি । আধ্যাত্মিক তত্ত্ব সম্বন্ধে কোন সত্য উপলব্ধি করিতে হইলে আত্ম দিয়াই তাহা বুঝিতে হয় । যাহারদের অন্তদৃষ্টি ক্ষীণ এবং র্যাহা । বদের আত্ম পাপ-বিকারে বিকৃত, যাহারর্যাহারদের স্বাভাবিক সরল-জ্ঞান-জ্যোতি কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছাদিত, তাহার কদাচ অপরের আত্মোন্নতির অধ্যাত্মিক ভাবের প্রকৃত তাৎ のリ বুদ্ধি বিদ্রেম-ভাবে দূষিত, পথ বোধে সমর্থ হইতে পারেন না। এই কারণেই শুদ্ধ ভারতবর্ষে কেন, সমুদায় পুথিবীর ধৰ্ম্ম-শাস্ত্র ও ধৰ্ম্ম-মত সকল নানা দোষ ভ্ৰমে দৃতি ও বিভ্রান্ত হইয়া পড়িয়:ছ ! একজন তত্বান্নত তেজীয়ান মহা পুরুষ সাধন ও তপস্যা-প্রভাবে কোন উজ্জ্বল দত লাভ করিয়া জগতের কল্যাণ-কাম- ! স্ব ভস্থ। ব্যক্ত করিলেন, তাহার পশ্চালা কোন শিষ্যানুশিষ্য হয় তো আপনার গৌরব-কামনায় অথবা তাহার প্রকৃত তাৎপয়া-বোধে তাসমর্থ হইয় তাহার ভিন্ন ত থ প্রচার করত প্রকৃত সত্যের অনাদর এ রং গুরুর অবমাননা করিয়া ফেলিলেন । কিন্তু শিষ্যগণ বুদ্ধি বা ধুতি-শক্তির দোষে তাঙ্গার বিপরীত অর্থ তাৎপর্য্য গ্রহণ করিয়া সন্ত' করে বিরুত তাকবি প্রদান করিলেন । মনুমোর স্বভাব-সুলভ এই রূপ ভ্রম প্রমাদ সলেরই দৃষ্ট হইয় থাকে । আৰ্য্য-ধৰ্ম্ম লকে ভ্রান্তি-চক্রে নিক্ষেপ করেন । নাই , কেহ বা লক্ষা-বিদ্ধ শরের ন্যায় জীব ব্রহ্মের একত্ব স্বীকার করিয়া ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম পাপ পুণ্যের প্রভেদ নাই, ইত্যাকার নানা সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়া মুক্ত আত্মার অনন্ত উন্নতি-পথে কণ্টক অপর্ণ করিয়া থাকেন এবং ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাস্থ সাধু সদাশয় লোক সক उन्বিরুদ্ধে শত শত শাস্ত্রীয় প্রমাণ বর্তমান থাকিলেও তাহ অবলম্বন পূর্বক উল্লিখিত মতামত খণ্ডনে প্রবৃত্ত না হইয়া প্রাগুক্ত চতুৰ্ব্বিধ মুক্তির নামানুরূপ সহজ অর্থ তাৎপৰ্য্য প্রকাশে প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে । অজ্ঞান ও মোহ-জাল, পাপাসক্তি ও ংসার-বিমুগ্ধতা প্রভৃতিই আত্মার বন্ধন । সাধন উপাসনা দ্বারা এই সকল হৃদয়-গ্রস্থি ছেদ করিয়া, এই সকল বন্ধন হইতে বিমুক্ত হইয়া ব্রহ্মের সত্তা সামৗপ্য উপলদ্ধি করিবার নামই মুক্তি। সামান্যতঃ যেমন একটী মাত্র মহা সমুদ্র ভূমণ্ডলকে বলয়াকারে বেষ্টন করিয়াছে কিন্তু দেশভেদে প্রকৃতি-ভেদে যেমন তাহা পঞ্চ নামে অভিহিত হইয়া থাকে ; পৃথিবীমধ্যে যেমন একটা মাত্র পৰ্ব্বত-শ্রেণী বিদ্যমান থাকিলেও স্থানভেদে নানা নামে আখ্যাত হয়, তেমনি মুক্তি, সাধারণতঃ এক হইলেও সাধকের আত্মোন্নতির অবস্থা-ভেদে তাহ চতুৰ্ব্বিধ বলিয়। পরিকীর্তিত হইয়া থাকে। পৰ্ব্বতের মধ্যে