পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

נeשל ששי AAAAAA AAAASTTTTYAeeiLLLS STSTM MAAAA -- পৃথ্বীমণ্ডলে যেমন তেমনি মুক্তির মধ্যে এই অধোলোকে নিবর্বাণ মুক্তিই আত্মোন্নতির চরম-সীমা । ১ ম সালোক্য-মুক্তি । মানব-আত্মা অজ্ঞান-অন্ধকার ও পাপ-মোহ-জাল হইতে বিমুক্ত হইলেই পিঞ্জয়যুক্ত বিহঙ্গের মুক্তাকাশ প্রাপ্তির ন্যায়, সত্যজ্ঞান অনন্ত স্বরূপ ঈশ্বরের সন্ত সৰ্ব্ব প্রথমে বহির্জগতে উপলব্ধি করে। তখন সে আলোক অন্ধ কারের, অমুত গরলের প্রভেদ সুন্দর রূপে বুঝিতে পারে। তখন পাপের মলিনতা, পুণ্যের জ্যোতি তাহার অন্তশ্চক্ষুতে প্রতিভাত হয়। বালকের যেমন পুষ্পের শোভা, চন্দ্রের কান্তির প্রতি সৰ্ব্বাগ্রে দৃষ্টি নিপতিত হয়, তেমনি সেই নবোম্মুক্ত আত্ম। সকল কালে সকল দেশে, ভূলোক দু্যলোকে সেই একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের সত্ত সৌন্দর্ঘ্য উপলব্ধি করিয়া প্রেমোৎফুল্ল eSeSeSe eS MDAeTAMM MAAAA হিমালয়ই সৰ্ব্বোচ্চ, | কখনও মোহ-মেঘ উখিত হইয়া সেই জ্ঞান হৃদয়ে বলিতে থাকে “সর্বদিশউর্দ্ধমধশ্চ | তিৰ্য্যক প্রকাশয়ন ভ্রাজতে যদনড়ান। ” “দুৰ্য্য যেমন উদ্ধ অধঃ তিৰ্য্যক সমুদায় দিক্‌ ৷ প্রকাশ করিয়| প্রকাশ পান, অদ্বিতীয় ঐশ্বৰ্য্যবান বিশ্বপ্রকাশক জগৎ-কারণ বরণীয় পরমেশ্বর সেই রূপ প্রকাশ পাইতেছেন । ” “মস্যৈষ মহিমা ভূবি দিব্যে” ভূলোকে স্থালোকে তাহারই এই মহিমা । এই রূপে বহিলোকে ঈশ্বরকে সন্দর্শন করাই মুক্তির প্রথম অবস্থা । মুক্ত আত্মার এই অবস্থাকেই সালোক্য মুক্তি কহে । ২য় সাযুজ্য মুক্তি। ঈশ্বরকে বহির্জগতে সন্দর্শন করিয়া মানব আত্মা পরিতৃপ্ত হয় না । আত্মার সঙ্গে ঈশ্বরের যে প্রকার নিকটতর নিগুঢ়তর সম্বন্ধ, তাহাতে সেই অন্তরতম প্রিয়তম পুরুষকে দূরে দেখিয়৷ शांञ्चिांद्र शांखि लांख् ज्ञांज्ञांश लांङ झग्न ब ।। বহির্জগতে কখনও তাহাকে দেখা যায়, ゲN○ সূৰ্য্য, প্রেম-চন্দ্রকে আর দেখিতে দেয় না । যখন র্তাহাকে সন্দর্শন করা যায়, তখন হৃদয়-সরোবর প্রেমানন্দে উচ্ছসিত হয়, আবার তাহার আদর্শনে পরক্ষণেই বিচ্ছেদযন্ত্রণায় আত্ম দগ্ধ হইতে থাকে । সুতরাং “মুক্ত-আত্ম সাধু ক্ষণিক সুখ, ক্ষণিক দুঃখ, ক্ষণিক আনন্দ, ক্ষণিক রিসাদে উৎফুল্ল ও বিষঃ ছষ্টগ্রা থাকিতে পারেন না । সেই জন্য সাধক সেই আনন্দ স্বরূপ অমৃত স্বরূপ পরব্রহ্মের সহিত সৰ্ব্বক্ষণ যোজিত-আত্মা झङ्केश অবাধে যোগানন্দ, প্রেমীনন্দ, ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিবার নিমিত্ত লালায়িত হইয়। র্তাহাকে আত্মতে দেখিতে ইচ্ছুক হয় । দেব-প্রসাদে, আত্ম-প্রভাবে ষ্ট্ৰাহীকে হৃদয়কনদরে প্রাপ্ত হওত বলিতে থাকেন "যশচয়াং পুরুসে। যশচারদিতো স একঃ ” যিনি এই আত্মাতে, তিনি এই আদিতো, তিনিই এক, তাহার সহিত সৰ্ব্ব কল যোগ-যুক্ত হইয়া পরমানন্দে কালতিপাত করেন । এই তলেস্থাই মুক্তির দ্বিতীয় অবস্থ । ইহাকেই সা যুজ্য মুক্ত বলে । ৩ য় সারূপ্য মুক্তি । মনুষ্য যেরূপ সংসর্গে অবস্থান করে, তাহার সেই প্রকার প্রকৃতি লাভ হয় । বিদ্বনি লোকের সহবাসে, জ্ঞান-স্পৃহা উদ্দীপ্ত হয়, সাধু-সঙ্গে সাধু ভাবই বৰ্দ্ধিত হয়, ধাৰ্ম্মিকের নিকট অবস্থান করিলে ভগবৎ-প্রেম উজ্জল হইয় উঠে—সৎকাৰ্য্য, ধৰ্ম্মকাৰ্য্য সাধনে ইচ্ছা হয় । মনুষ্য, যেরূপ আদর্শের নিকটে থাকে, তাহার স্বভাব প্রকৃতি স্বভাবতই সেই রূপে সংরচিত হইয়া থাকে। ব্রহ্মযোজিত-আত্মা যে সত্য-সুন্দর মঙ্গল-স্বরূপ পরমেশ্বরকে হৃদয়-কন্দরে অনিমেষ-জ্ঞাননয়নে সৰ্ব্বদা নিরীক্ষণ করে, অহনিশি র্যা হার পবিত্র সহবাসে অবস্থান করে, প্রকৃতির