পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*շ8 &= নহে ; ঋখেদ-ব্রহ্মণে অগ্নির অবমত্ব দৃষ্ট হয়, যথা “অগ্নিবৈ দেবানামবমঃ বিষ্ণুঃ পরম স্তদন্তরেণ সৰ্ব্ব দেবতাঃ।” আর অগ্নি কৰ্ম্মের দেবতা, জ্ঞানের দেবতা নহে। অগ্নি ব্রহ্মের অংশভূত হুতরাং অগ্নির উপাসনা দ্বারা মুক্তি অসম্ভব । অতএব অগ্নির উপাসনা হইতে ব্রহ্মোপাসনা অবলম্বন করিয়া শুদ্ধ অদ্বৈত বৃত্তির আশ্রয় কর এবং অগ্নির চিহ্নধারণ পরিত্যাগ কর। এইরূপ করিলে মোক্ষলাভ করিতে সক্ষম হইবে। এতদ্রুপে উপদিষ্ট হইয়া স্থছোত্র প্রভৃতি অগ্ন পাসকগণ স্বমত ত্যাগ পূর্বক আচার্য্যমত গ্রহণ করিল। অগ্নিমত নিবছণানন্তর রক্তবর্ণকুহুম-ধারী সূৰ্য্যভক্ত দিবাক্ষর প্রভৃতি ব্রাহ্মণের আচার্য্যকে নমস্কার পূর্বক বলিল “হে স্বামিন । সূৰ্য্যই জগতের কারণ, সূৰ্য্যই পরমাত্মা, সূৰ্য্যই ব্রহ্ম, সূর্ঘ্যের উপাসনা দ্বারাই মোক্ষ সিদ্ধি হইবে । অতএব আমরা সূৰ্য্যভক্ত, সূর্ঘ্যের উপাসনা দ্বারা মেক্ষপথের পথিক । “রণিঃ সূৰ্য্য আদিত্যং” এই মন্ত্র আমাদিগের উপাসনীয়। রক্ত-চন্দন-পুণ্ডমালাধারী ঘড়ি,ধ সূৰ্যোপাসক আছে। কেহ উদয়মগুলকে ব্রহ্মাত্মক বলিয়া স্বষ্টিকারণরূপে ভজনা করে । কেহ আকাশমধ্যস্থিত সুর্য্যকে ঈশ্বর রূপে সকল জগতের লয়-কারণ বলিয়া উপাসনা করে । কেহ অস্তময় কালবিশ্বকে বিষ্ণুক্সিক বলিয়া সৰ্ব্বজগতের পরিপালন-কারণরূপে পূজা করে। কেহ সূর্য্যের ত্রিকালমণ্ডলই সেবা করে এবং সূৰ্য্যমণ্ডল-মধ্যবর্তি পরমাত্মাকে ভজনা করে । কেহ সূৰ্য্যমণ্ডল কেবলমাত্র নিরীক্ষণ করিয়া ষোড়শোপচারে পূজা সমপর্ণ পূর্বক কৰ্ম্মফল ভগবান সূৰ্য্যদেবকে অপর্ণ করিয়া বাস করে এবং সূর্য্যদেবকে দর্শন না করিয়৷ আহার করে না। আবার কেহ বা তপ্ত লোহ দ্বারা ফাল, ভুজ এবং বক্ষঃস্থলে মণ্ডল-চিহ্ল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা পঞ্চপূজাপরায়ণ ३० कब्र, > छाँ* ধারণ করিয়া মানসে সূৰ্য্যদেবকে অনুক্ষণ ধ্যান করে । এই ঘড়িধ উপাসকেরই পূ ৰ্ব্বোক্ত একমন্ত্র উপাসনীয়। সূর্য্যের উপাসনাই মোক্ষলাভের একমাত্র কারণ। সুতরাং আপনি সূর্যোর উপাসনা শিক্ষা করুন, অদ্বৈতমতে কি ফললাভ হইবে ? " দিবাকর প্রভৃতি সূর্য্যোপাসকগণ এই কথা বলিলে পর আচার্য্য উত্তর করিলেন “হে মূঢ় বিপ্রগণ ! তোমরা যাহা বলিলে তাহা অসমঞ্জস । শ্রীতি রহিয়াছে “ চন্দ্রমা মনসো জাতশ্চক্ষো: স্বর্য্য অজায়ত ৷ ” “ভাষান্মাদ্ধাতঃ পবতে ভীষোদেতি সুর্গাঃ। ” অতএব সূৰ্য্য ব্রহ্মপরতন্ত্র, “ব্রহ্মভাস ভাসিতঃ,” বিয়চ্চর, পরাত্মা নহে । সুতরাং সূর্যোর উপাসনা দ্বারা মুক্তিলাভ হইতে পারে না । এই নিমিত্ত তোমরা সৌর চিহ্ল পরিহার পূর্বক শুদ্ধ অদ্বৈত মত অবলম্বন কর।” এইরূপে আদিষ্ট দিবাকরাদি সৌরগণ আচাৰ্য্যকে নমস্কার পূর্বক তন্মত গ্রহণ করিল। হিরণ্যগৰ্ভ, অগ্নি ও সূর্য্যের উপাসকদিগকে স্বমতে আনয়ন করিয়া শঙ্করাচাৰ্য্য বায়ুকোণে গমন করিলেন । এই সময় তিনি ত্রিসহস্র শিষ্যে পরিবৃত ৷ তদীয় শিষ্যগণ শঙ্খ, ঘণ্টা, করতাল প্রভৃতি বাদ্যধ্বনি দ্বারা দিক্‌মণ্ডল পরিপূর্ণ করিয়া চামরপিচ্ছ প্রভূতি দ্বারা আচাৰ্য্যকে ব্যজন করিতে করিডে ক্রমাগত বায়ু কোণে যাত্রা করিতে লাগিল । এইরূপে তত্তদেশবাসি বিপ্রদিগকে স্বমতে আনয়ন পূর্বক তাহারা গণবর পুরে আগমন করিল এবং তত্ৰত কৌমুদী নদীতে স্নান করিয়া ততীরে প্রতিষ্ঠিত গণেশ দেবের মন্দিরে এক মাস বিশ্রাম করিল। এই সময়েই পদ্মপাদ, হস্তীমলক, সমিৎপাণি, চিদ্বিলাস, জ্ঞানকন্দ, বিষ্ণুগুপ্ত, শুদ্ধকীৰ্ত্তি, শুদ্ধানন্ত, আনন্দগিরি প্রভৃতি ত্রয়োদশ জন শিষ্য দিগগজ বলিয়া