পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*సెby “য: সংহারভৈরবঃ প্রভুরীশ্বর: স এবাগত্য সন্ন্যাসিপ্রভূতীন ভক্ষয় সত্বরং !" তিনবার এইবাক উচ্চারণ করিলে পর ংহারভৈরব আবিভূত হইলেন। তাছার হস্তে খড়গ, কপাল, ঘণ্ট এবং শূল, পরিধান দিগম্বর এবং জটাসমূহে আকাশ আচ্ছাদিত । তখন শঙ্করাচার্য। র্তাহাকে বলিলেন যে আপনার ভক্ত বেদশাস্ত্রোক্ত কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া দৃষ্ট যুক্তি অবলম্বন করিয়াছে বলিয়া আমি উহাকে তাড়না করিয়াছি। ইহা শুনিয়া সংস্থারভৈরব বলি লেন, “শঙ্করস্তং সদা পূজ্য: সৰ্ববেদপদার্থতাক । ভবৎকৃতং হি যং কৰ্ম্ম মল্লাপি চ কৃতং 「表す&、い তেষাং কাপালিকানাস্তু ব্রাহ্মণ চিরতা করু !” ংহারভৈরব এই বলিয়া অন্তহিত ङ्कँলেন। কাপালিকগণ সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া ভীত হইয়া শঙ্করাচার্যের আশ্রয় গ্রহণ পূর্বক অদ্বৈতমতাবলম্বী হইল । এতদনন্তর শুদ্রজাতীয় উন্মত্তভৈরব নামে জনৈক কাপালিক চিতাভস্ম দ্বারা কলেবর পৃষরিত করিয়া নরকপাল-মালা দ্বার গলদেশ অরত করিয়া, ললাট দেশে কজল রেখা রচনা করিয়া, সকল কেশ দ্বারা জটাবন্ধন করিয়া, ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম দ্বার। কেপীন নিৰ্ম্মাণ করিয়া, বাম করে কপাল ধারণ করিয়া এবং দক্ষিণ করে ঘণ্টাধ্বনি করিতে করিতে তাচৰ্য্য সমীপে ত্যাগমন করিল এবং আচার্য কে বলিল "স্বমিন্‌ কিং কাপালিকমতে ন্যানতাস্তি তদন্তব্র কিং ফলমস্তি ?” উন্মত্তভৈরব এই বলিয়া বিচার প্রার্থনা করিলে আচার্য্য বলিলেন “বে কাপালিক ! তুই দূর হইয়া যা ; তোরে আমার প্রয়োজন নাই। দুষ্ট ব্রাহ্মণদমনই আমার উদ্দেশ্য” এই বলিয়া তিনি স্বশিষ্যদিগকে উহাকে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। t | | | | ७० कछ $ ॐt% তাড়াইয়া দিতে আদেশ করিলেন। শিষ্যগণ আদেশমাত্র উন্মত্তভৈরবকে কশাঘাত পূর্বক দূর করিয়া দিল। এস্থলে আচাৰ্য্যোক্ত সংস্কৃত বাক্যগুলি উদ্ধৃত করা আবশ্যক, যেহেতু তন্মধ্যে আচার্য্যের দিগ্বিজয়ের উদ্দেশ্য স্পষ্টাক্ষরে বিবৃত রহিয়াছে। সেই বাক্য এই গচ্ছ কাপালিক যথাস্থখং বিহর ব্রাহ্মণনেব ছষ্টমতাবলম্বিনে দ গুয়িতুমন্মদাগমনং তদিতরেষাং অপি অগ্রজপাদসেবনাদিরত্তিঃ তদাচারানুসরণঞ্চ প্রশস্তমপি ভ্রষ্টস্য তব কিং মানং ' আচার্ব্যের দিগ্বিজয়ের উদ্দেশ্য সমালোচনাস্থলে আমরা ইহার যথাযথ ব্যবহার করিব । অতঃপর চাৰ্ব্বাক আসিয়| আচার্মাকে জিজ্ঞাসা করিল “যদি আপনি পরমাৰ্থ বুঝিয়। থাকেন তবে মুক্তি-লক্ষণ কি বলুন।” এই বলিয়! চাৰ্ব্বাক নিজমত ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করিল “শরীরের লয়ই মোক্ষ, মৃত্যুই মুক্তি, ভস্মীভূত দেহের পুনরাগমন অসম্ভব, স্বৰ্গনরক পৃথিবীর সুখ এবং দুঃখ ভিন্ন আর কিছুই নহে, মৃত ব্যক্তিদিগের উদ্দেশে tঙ্গাদি ক্রিয়া নিস্ফল, অতএব জীবিত কালে কেবল আনন্দেই রত থাকিবে । ” ইহার উত্তরে শঙ্করাচার্য্য চাৰ্ব্বাককে বুঝাইয়া দিলেন যে জীব দেহেন্দ্রিয় হইতে ভিন্ন । জীব জ্ঞান দ্বারা লিঙ্গ শরীর-গ্রন্থি ছিন্ন করিয়া মুক্তিলাভ করে । যেমন তৃণজলেীক এক তৃণ হইতে অপর তৃণে গমন করে, তদ্রুপ জীব এক দেহ হইতে দেহান্তরে গমন করে, পরলোকে গমন করে। আর শ্রদ্ধাদি ক্রিয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য। এইরূপে আচাৰ্য্য কর্তৃক উপদিষ্ট হইয়৷ চাৰ্ব্বাক স্বমত বর্জন করিয়া অদ্বৈতমত অবলম্বন করিল এবং আচার্য্যের পুস্তকাদির বাহক হইল ।