পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ ১৮১০

অত্যুক্তি। এই পৰ্য্যন্তই বল। যাইতে পারে যে, কৃষকের কৃষি-বিদ্যা অতীব স্থল রকমের বিজ্ঞান, উদ্ভিদবেভার কৃষি-বিজ্ঞান অতীব সূক্ষ রকমের বিজ্ঞান, কিন্তু দুইই বিজ্ঞান তাহাতে আর সন্দেহ নাই—কেননা প্রণালী-পদ্ধতি দুয়েরই * সমান । পণ্ডিতেরা ও যে প্রণালীতে উদ্ভিদ বিদ্যায় পারদর্শী হইয়াছেন—লম কের ও সেই প্রণালীতে তুমি বিদ্যায় । পারদর্শী হইয়াছে ; সে প্রণালী কি ? না ভূয়োদর্শন এবং বহুদৰ্শন । কমৃটির অৰ্দ্ধ সত্য নয় ষোলো অনা বৈজ্ঞানিক, কৃষকের সিকি সত্য নয় আট আনা বৈজ্ঞানিক— কিন্তু তাহাতে কি ? অৰ্দ্ধ হউক ---সিকি হউক—বৈজ্ঞানিক তো বটে ! উপকণরিতা দুয়েরই সমান—বর কৃষকের কৃষি বিদ্যা জন-সমাজের পেশা উপকারী ; মূল বহু-দশন । বিদ্যার তবে কিসে এত মাহাত্ম্য ? ইহার উত্তর এই মে, বিদ্যার মাহাত্ম্য তাহার পদ্ধতি-নিবন্ধন ও নছে— উপকারিতা-নিবন্ধন ও নছে ; বাহিরের নি প। ওয়া—ইহাই বিজ্ঞানের চমৎকারিত ; আর, মনের ভাবকে বাহিরে মৃত্তিমান যাহাই হউক্—কৃষকেরাও কতক পরিমাণে বাহিরের নিয়ম সকলকে মনোমধ্যে আয়ত্ত টামুটি বিজ্ঞান-শব্দের বাচ্য । উপরে দেখানো হইল যে, সত্য দুই শ্রেণীতে বিভক্ত—(১) বাস্তবিক (যথা পৃথিবী নিয়ত ঘূর্ণমান), (২) প্রতিভাসিক (যথা পৃথিবী অটল) ; এখন বক্তব্য এই যে, প্রাতিভাসিক সত্য এবং বাস্তবিক সত্য কাণ্টের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শন য়াছে। করে—এ জন্য কৃষকের কৃষি-বিদ্যা ও মো সকল কায্যের প্রবর্তক । কি পণ্ডিত, সকল মনুষ্যই (অন্ততঃ কা . . $8న) দুই অবান্তর শ্রেণীতে বিভক্ত হইতে পারে। “পৃথিবী অটল” এই প্রাতিভাসিক সত্যের ভিতরেও বাস্তবিক সত্য অাছে, আর, “পৃথিবী নিয়ত ঘূর্ণমান” এই বাস্তবিক সত্যের মধ্যে ও প্রাতিভাসিক সত্য আছে । মনুষ্যের ইন্দ্রিয়-সমক্ষে যেমন পৃথিবী প্রকাশমান পশুদিগের ও সেইরূপ ; কিন্তু “পৃথিবী সচল কি অচল” এ ভাবনার দায়ে কোন : শরই একদিনের জন্য ও নিদ্রার ব্যাঘাত হয় না। পশুদিগের ইদিয়ে রূপরসাদ প্রকাশ পায়—এই মাত্ৰ ; কিন্তু তাহদের বুদ্ধিতে সত্য প্রকাশ পায় না । পশুরা ভামণ মৃত্তি দেখিলে দূরে পলায়ন করে, ভক্ষ্য দ্রব্য দেখিলে নিকটে অগ্রসর হয়, এইরূপ অনেক কাৰ্য্য জ্ঞাত সারে করে বটে ; কিন্তু কোন কিছুকেই সত্য বলিয়। অবধারণ ও করে না এবং মনে৷ পদ্ধতি ও দুয়েরই সমান—-ভূয়োদর্শন এবং । মধ্যে যত্ন পূর্বক পোমণ ও করে না । পশু-দিগের ইন্দ্রিয়-সমক্ষে পৃথিব্যাদি যেরূপ প্রতিভাসিত হয়, প্রতিভাসিক সত্য । কিন্তু “পৃথিবী অটল” এ যে প্রতিভাসিক সত্য, ইহার মধ্যে য়ম সকলকে মনের ভাবের ন্যায় অন্তরে । তাহাই আমিশ্র বাস্তনিক সত্য রহিয়াছে ; “পৃথিবী অটল” ইহা বলিবা মাত্রই প্রতিপন্ন হয় যে, পৃথিবী বস্তু-বিশেম। অতএব, “পৃথিবী অটল” এই করা ইহাই শিল্প বিদ্যার চমৎকারিত | | প্রাতি ভাসিক সত্যের মূলে, “পৃথিবী বস্তু i বিশেম” এই বা স্তবিক সত্যটি প্রচ্ছন্ন রহি পশুর সত্যাসত্যের কোন ধরেই ধারে না—মানসিক সংস্কারই তাহাদের কিন্তু কি কৃষক, র্য্যের সুবিধার জন্য) সত্য নিরূপণ করিতে বাধ্য হয় । কৃষকের এই যে একটি কথা যে, পৃথিবী বস্তু-বিশেষ, এটি তো বাস্তবিক সত্য ? তবেই হইতেছে যে, “পৃথিবী উভয়ই মিশ্র এবং অমিশ্র (বা বিশুদ্ধ) এই ! আচল” বলিতে যে অংশে বুঝায় যে, পৃ|