পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بر ۹خ o E- Ια α "μα এই অবিদ্যানাশ অথবা প্রকৃতির বন্ধনচ্ছেদ। যতদিন অবিদ্যার অধীনতা তাবৎ তাত্ম। পরিস্ফুট হয় না। আত্মাকে পরিস্ফুট করাই প্রকৃত স্বাধীনতা । ইন্দ্রিয় ইহার ব্যাঘাতক । ইন্দ্রিয়ই প্রকৃতির অতীত প্রদেশে মনুষ্যকে যাইতে দেয় না। এই জন্যই দেহে আমাদের আত্মবুদ্ধি । ইহাই প্রকৃত অধীনতা বা বদ্ধভাব । ইহার প্রতিস্রোতে চল, ইন্দ্রিয়নি গ্ৰহ করিয়া দেহবন্ধন বা প্রকৃতির বন্ধন হইতে আপনাকে মুক্ত কর তোমার আত্ম পরিস্ফুট হইবে। ফলতঃ অবিদ্যার আবরণ হইতে মুক্ত হও. য়াই স্বাধীনতা । ইহার প্রথম কাৰ্য্য ইন্দ্রিয়নি গ্রহ । রতি ও মতি হয় না । নি গ্রহ অতি কঠিন কার্য্য । এই জন্য বেদাদি শাস্ত্রে গৃহস্থের ব্রহ্মনিষ্ঠ হইবার বিধি থাকিলে ও বাহা পূজায় সহজে তৃপ্তি পায় বলিয়া সে তাহাতে প্রাণমন সমপণ করে। কিন্তু প্রত্যেকের এই বেদবাক্যটীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা কর্তব্য নহ্যকুতঃ কৃতেন, কুত যে বাহু পৃজ৷ তদ্বারা অকুত ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। প্লাবাহোতে অদৃঢ় যজ্ঞরূপা । এই যে যাগযজ্ঞরূপ ভেলা তাহ নিতান্ত তাদৃঢ়। ফলত যাবৎ তুমি অবিদ্যা বা প্রকৃতির বন্ধন হইতে আপনাকে মুক্ত না করিবে তাবৎ তোমার রজতন্দ্রমে শুক্তিসংগ্রহই সার । তুমি প্রকৃত ধৰ্ম্ম হইতে বহুদূর । কিন্তু নিরাশ হইবার কথা নয়। ঋষির গৃহস্থের ব্রাহ্মী মতি হইবার জন্য উপায়ও করিয়াছেন। তন্মধ্যে প্রধান ব্রহ্মচৰ্য্য । এই সম্বন্ধে ছান্দোগে পিনিযন্তাষ্যের একস্থলে এইরূপ আছে অনেক জন্ম বিষায়াভ্যাস জনিতা বিষয়বিষয়া তৃষ্ণা ন সহসা নিবৰ্ত্তরিতুং শক্যতে ইত্যতো ব্রহ্মচর্য্যাদি সাধনবিশেষোবিধাতব্যঃ । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कछ, २ रूर्णि যে বিষয়বাসনা আমাদের মনপ্রাণ সমস্ত অধিকার করিয়া আছে তাহ সহস দূর করা সহজ নয় এ জন্য ব্রহ্মচৰ্য্য অনুষ্ঠানের আবশ্যকতা । ফলত ব্রহ্মচৰ্য্য একটী কঠোর ও কষ্টসাধ্য কাৰ্য্য। সকল শাস্ত্রই কহিতেছে এতদ্ব্যতীত কেহ ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মধ্যানে অধিকারী হইতে পারে না । মনুষ্য যৌবনে প্রমার্থী ইন্দ্রিয়ের প্ররোচনায় ঘোর বিষয়ী হইয়া পড়ে। বিময়ীর আত্মজ্ঞান ও তদভাবে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না। এই জন্য পূৰ্ব্বতন নিয়মে বাল্য হইতে অর্থাৎ শিক্ষাকাল হইতে ব্রহ্মচৰ্য্য । ব্রতের অনুষ্ঠান করিতে হইত। এখনও এইট না হইলে ব্রহ্মে । কিন্তু এই ইন্দ্রিয়- | প্রতি গৃহস্তের তাহাই করা কর্তব্য। কিন্তু সকল নিয়মেরই দেশকালভেদে একটু পরিবর্তন আবশ্যক হইয়া থাকে। সুতরাং পূর্বে মে প্রণালীতে ইহা অনুষ্ঠিত হইত বর্তমানে তা হ৷ একরূপ তাসম্ভব, তথাচ তাহার মূল বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাগিয়া চল অবশ্যই ফল পাইবে । ব্রহ্মচর্য্যে শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই ত্ৰিবিধ শিক্ষা অনুসৃ্যত । পূর্বকালে ভিক্ষাটন, গুরুর কাষ্ঠভার আহরণ, শিলাতলে একাকী শয়ন প্রভৃতি শারীরিক শিক্ষার অন্তর্নিবিষ্ট ছিল । এখন সেই অতীতের কথায় কেহ কর্ণপাত করিবে না কিন্তু ঋমিরা কহিতেন, তৈলপাত্রমিবাত্মানং দিধারয়িষেৎ, তৈল পাত্রকে যেমন যত্নে রক্ষা কর সেইরূপ যত্নে দেহকে রক্ষা কর । সুতরাং বাল্যাবধি ব্যায়ামাদি দ্বারা শরীর সবল করা ত্যাবশ্যক। মানসিক শিক্ষার সম্বন্ধে এই পৰ্য্যন্ত বলা যাইতে পারে কি দেশীয় কি বিদেশীয় যাহা সৎ শাস্ত্র যাহা শ্রেষ্ঠ বিদ্যা তাহার অনুশীলন কর। আর যেরূপ শক্তি তদনুসারে অল্পে অল্পে অধ্যাত্মিক শিক্ষালাভে যত্নবান হও । এতদ্ব্যতীত মধুমাংস