পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• دvد )sts 6 বেহাল ব্রাহ্মসমাজ · Sold এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকর কুৎসিত নৃত্যগীতাদি হইতে আপনাকে দূরে রাখ। স্ত্রীলোকের প্রতি মাতৃভাবে দৃষ্টিপাত কর । সকল প্রকার লোভ সম্বরণ ও মিতাহার অভ্যাস কর। বেশভূষায় দীনভাব ও বিনয় রক্ষায় যত্নবান হও । ইহাই ব্রহ্মচর্য্য । বাল্যাবধি এই মহাব্ৰত পালনে দৃঢ়তা থাকিলে তুমি যখন সংসারে প্রবেশ করিবে, যখন সংসারের নানারূপ বাসনা তোমাকে প্রলোভিত করিতে থাকিবে তখন এই ব্রহ্মচর্য্যের উচ্চ শিক্ষাই তোমার এক মাত্র রক্ষক । . বিষয় অবশ্যই আসিবে কিন্তু এই শিক্ষার বলে অনাসক্তি তাছার দাসত্ব হইতে তোমায় মুক্ত রাখিবে। এই অনাসক্তের বিষয়ভোগই ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মলাভের পূর্ব সোপান, এই প্রসঙ্গে ধৰ্ম্মপদ নামে এক খানি বৌদ্ধ গ্রন্থ বড় সুন্দর উপদেশ দিয়াছে । অল্পমাদো মতপদং পমাদো মঙ্গনে পদং। অল্পমন্ত ন মীযন্তি যে পমত্তা যথা মতা। ংসারাবর্তে পড়িয়া ইন্দ্রিয়ের ক্রীড়া মৃগ হইয় থাকাই প্রমাদ। ইহা মৃত্যুর । পদ।। ফলত প্রমার্দী যেরূপ মৃত্যুর পাশে । বদ্ধ হয় অপ্রমাদী সেরূপ হয় না। তুমি যদি প্রকৃতি বা অবিদ্যার বশীভূত হইয়া আত্মাকে পরিস্ফুট করিতে না পার তবে ইহাই তোমার অধ্যাত্মিক মৃত্যু ৷ ব্ৰহ্ম এই মহা মৃত্যু হইতে আমাদিগকে রক্ষা করুন | এই তো শিক্ষাকালের ব্রহ্মচর্য্য । ইহা গার্হস্থে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভে সম্পূর্ণ উপযোগী। ইহা ব্যতীত গৃহস্থের যাহা বিধান আছে তাছাও বর্তমানে অপরিহার্য্য, প্রত্যেক মনুষ্য পাচটা ঋণ লইয়া জন্ম গ্রহণ করে। দেবঋণ পিতৃঋণ ঋষিঋণ মনুষ্যঋণ ও ভূতঋণ। আশৈশব যে শিক্ষা চলিতে ছিল তংপ্রভাবে শরীর গার্হস্থ ধৰ্ম্ম প্রতিপালনের উপযোগী বল লাভ করিয়াছে । জ্ঞানাগ্নি দ্বারা মন বুদ্ধির শুদ্ধি সম্পাদিত হইয়াছে এবং আত্মা স্বাধীন। পূর্ব শিক্ষা গার্হস্থ বিধান রক্ষায় তোমায় সক্ষম করিয়াছে। এখন তুমি ঐ পাঁচটা ঋণ হইতে মুক্ত হও । তোমার উপাস্য সৰ্ব্বব্যাপা সৰ্ব্বজ্ঞ ব্রহ্ম। দিন দিন এই পাচটি ঋণ হইতে অ, নাকে মুক্ত করিতে চেষ্টা করিলে, তুমি তাহাকেই পাইবে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনে সৰ্ব্বদা রত থাক ইহা জ্ঞানযোগে আত্মপ্রসারণ ৷ পূৰ্ব্ব পিতামহগণ যে সকল সদাচার ও সুনিয়ম প্রতিষ্ঠিত . করিয়া গিয়াছেন বংশপরম্পরায় তাহ প্রচারিত কর ইহা শ্রদ্ধাযোগে লোকান্তরে আত্মপ্রসারণ । যে সকল লোক নিরন্ন জাতি ও বর্ণনির্বিশেসে তাহাদিগকে তাশ্রয় দে ও ইহ। মৈত্রীলোগে আত্ম প্রসারণ। যে সকল পশু পক্ষী তোমার দয়ার একান্ত প্রতীক্ষা করিয়া থাকে তাহদিগকে আহার দে ও ইহা প্রীতিযোগে আত্মপ্রসারণ । আর যে দেবত সমস্ত ' জগতে ব্যাপ্ত র্তাহাকে আত্মায় দেখিয়৷ জগতের সহিত আপনার যোগ নিবদ্ধ কর ইহা ধানযোগে আত্মপ্রসারণ। উপাস্তের ধৰ্ম্ম প্রাপ্তির চেষ্টাতেই প্রীতির পরাকাষ্ঠী। এই পাচ ঋণমুক্তি তাহাই সাধন করিয়া দেয়। যাহ। অবশ্য দেয় তাহাই ঋণ, তুমি জন্মহগ্ৰণ করিয়া এই পাচ ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব স্বীকার করিয়াছ । এক মাত্র ব্রহ্মকে ইহার অধিষ্ঠাতা জানিয়া এবং ইহাতে আপনাকে প্রতিবিম্বিত না দেখিয়া প্রতিদিন শ্রদ্ধার সহিত ইহার অনুষ্ঠান কর ক্রমশ তোমার ব্ৰহ্মলাভের পথ পরিস্কার হইয়া আসিবে । কে বলে গার্হস্থে ব্রহ্মজ্ঞানে অধিকার নাই। ইহা