পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৪ ৷ ভাবন হইতে চলিয়া যাইবে তখন আর ত৷হ থাকিলে না ? তাহা যদি হয়, তবে আর ভূমি,রস্তু-সপ্তাঙ্কে" নিত্য বলিতে পার না; তবে তোমার বলা উচিত যে, শব্দ যেমন শুনিলেই আছে—না শুনিলেই নাই, তাছার মূল-স্থিত বস্তু সত্তাও তেমনি ভাবিলেই আছে না ডাপিলেই নাই --দুষ্টই এই আছে এই নাই – দুইই অনিত্য । কিন্তু বস্থ-দন্ত অনিত্য এ কথা একেবারেই জ্ঞানবিরুদ্ধ; মূল বস্তু-সত্ত। নিত্য-ইহা না মান্নিলেই নয় । অতএব, এ কথা কোন কাজের কথা নহে যে, বস্তু-সত্তা আমাদের ভাবনাতে প্রকাশ পাইতেছে, তাই আছে ; কেননা তাই। হইলে তাহার নিত্যত কিছুতেই পাইতে পারে না ; তবে কি ? ন বস্তু-সত্ত। নিত্য জ্ঞানে প্রণশিত— তাই তাহ নিত্য স{" বল যে, নিত্য বস্তু-সত্তা কাহারে জ্ঞানে বিদ্যমান নাই--অথচ তাহ আছে, তবে সে কথা বলা ও য|--আর এ কথ বলাও ত; যে, শব্দ কাহারো কর্ণে প্রবেশ করিতেছে ন; অথচ তাছা আছে; দুই কথাই অথ-শূন্য শব্দ-মাত্র। “আছে” শব্দের অর্থই এই মে, আমার ও নে না হউক তার কাহারে জ্ঞানে —প্রত্যক্ষে না হউস্থ স্মরণে-স্মরণে না হক্টক্‌ মৃক্তিতে- প্রকাশ পাইতেছে ; অতলস্পর্শ সমুদ্রের তল, চন্দ্রের ও-পৃষ্ঠ, আমাদের প্রতাক্ষে প্রকাশ না পাইলেও তাহ আমাদের झे রিদম নি । যুক্তিতে প্রকাশ পায়, তাই জমির বলি । “তাছা আছে”। ইন্দ্রিয় গ্রাহা গুণ-সকলের আপার-বস্ত্র-আমাদের ইন্দ্রিয়-সমক্ষে নচে-- শুদ্ধ কেবল বিশুদ্ধ যুক্তিতে-অতীন্দ্রিয় ভাবনাতে-নিত্য বলিয়া প্রকাশ পায়; কিন্তু আমাদের পূৰ্ব্বে জাহ যদি আর কোন জ্ঞানে প্রকাশ পাইয়া না থাকে—তবে | আমাদের পূৰ্ব্বে তাহ ছিল এ কথর d SA A ASMMMTMeSTSTTSAAAAAAASAAAAS AAAAATS আদবেই কোন অর্থ থাকে ४९ कन्न, ४ देि१ण না । কেননা ছিল যদি—তবে কোথায় ছিল ? আকাশে ? না ; ইন্দ্রিয়-গ্রাহা গুণ-সকলই কেবল জা কাশে বিস্তত-রূপে প্রকাশ পাইতে পারে। কালে ? না ; শব্দাদির ন্যায়—ক্ষুধাতৃষ্ণার ন্যায়—যাহার উৎপত্তি-বিনাশ আছে, তাহাই কালে প্রকাশ পাইতে পারে। তবে কি তাহা ইতিপূৰ্ব্বে আদবেই ছিল না ? না; তাহা পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনো আছে, পরেও থাকিবে,—যেহেতু তাঙ্ক নিতা । তাহ! ঘটি-বাটীর ন্যায় দেশাভ্যন্তরে ছিল না, ক্ষুধাতৃষ্ণার ন্যায় কালাভ্যস্তরে ছিল না, দেশ কালের ন্যায় পাচারে জ্ঞানাভাস্করে ছিল ম,-তলে “তাহু আদলেই ছিল না" এ কথা না বলিয়া “তাছা ছিল" এ কথা বলিবার অর্থ কি ? তবেই হইতেছে যে, “তাহা পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনও আছে, এবং চিরকালই । থাকবে” এ কথার অর্থই এই যে, পূৰ্ব্বেও তাছা জ্ঞানে বিদ্যমান ছিল, এখনো তাঙ্গ ! জ্ঞানে বিদ্যমান আছে, এবং চিরকালই তাহা জ্ঞানে বিদ্যমান থাকিবে,--তাছ। নিঙ্গ লৈ নিত্য বিদ্যমান। ধান কেবল জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছে ;– । કરું गाद्यं বলিয়াই ক্ষাস্তু যে, জগতে সকলই পর তন্ত্র – সকলই সীমাবদ্ধ, সকলই সাবলম্ব, সুতরাং তাহার মূলে স্বতন্ত্র, অপরিসীম, নিরবলম্ব, একটা-ন-একটা কিছু আছেই আছে ; কিন্তু তহি। যে, কি, ধ্যান সে বিষয়ে স্থির কিছুই বলিতে না পারিয়া জগতের মুল প্রদেশ নিতান্তই শূন্য রাখিয়া দেয়। ধান যেস্থানটিতে এইরূপ অন্ধকার দেখে, সমাধি সেই স্থানটি জ্ঞানালোকে পরিপূর্ণ দেখিতে পায়ঃ-ধ্যান যেখানে জগতের অপূর্ণ সত্তাজগতের নেতি নেতি-অবলোকন করে, সমাধি সেইখানে পরমাত্মার পরিপূর্ণ সচেতন সভা অবলোকন করে। ধ্যানের প্রবাহ ཁ་ཀྱཱརྱ་-བ་༔ ፵ሶማ! একমুখী—তাহ শুদ্ধ কেবল জগতের অপু