পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ebr' ধ্যাত্ম রামায়ণের মধ্যে রামগীত শ্রেষ্ঠ রামগীতাতে কেবল ব্রহ্মযোগের কথা । শ্ৰীমদ্ভাগবতের মধ্যে দশম স্কন্ধ শ্রেষ্ঠ । দশম স্বন্ধে কেবল ব্রহ্মঠৈ frগর কথা । তন্ত্রের মধ্যে মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র শ্রেষ্ঠ। মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে প্রধানতঃ ব্রহ্মোপাসনার কথা । এই সমস্ত বিবেচনা করিলে প্রতীতি হইবে ঋগ্বেদের সময় হইতে আধুনিক মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র পৰ্য্যন্ত সমুদায় হিন্দুশাস্ত্রের মূখ্যভাব ব্রহ্মোপাসনা । ব্রহ্ম জ্ঞানকাণ্ডের যেমন প্রধান দেবতা তেমনি কৰ্ম্মকাণ্ডের ও প্রধান দেবত । কৰ্ম্মর “ব্রহ্মাপণমস্তু" বলিয় কৰ্ম্মের ফলাফল সেই ব্রহ্মেতে অৰ্পণ করেন। ভগবদগীতাতে উক্ত আছে, "ব্রহ্মাপণং এক্ষ হুবিব্রহ্মাগ্নেী ব্রহ্মণা হুতং । এশব তেন প্রাপ্তব্যং ব্রহ্মকৰ্ম্মসমাধিন ।” ব্রহ্মই সমস্ত হিন্দুধৰ্ম্মের মধ্যবিন্দু। কেহ কেহ বলেন ব্রহ্মোপাসনা হিন্দুধৰ্ম্মরূপ সমুদ্রের একটি মাএ তরঙ্গ । তাছাদিগের ভ্রমের আর সীম। মই । বরং ইষ্ঠা বলা যাইতে পারে যে, হিন্দুধৰ্ম্মের নানা প্রকার আকার সেই ব্ৰহ্মরূপ সমুদ্রের এক একটি তরঙ্গ মাত্র । ব্রহ্ম যেমন সমস্ত পৃথিবীর দেবতা তেমনি তিনি আমারদিগের জাতীয় দেবতা, আমাদিগের পৈতৃক দেবতা । প্রাচীনতম ঋষিগণ সেই ব্রহ্মকে উদেশ করিয়া সরস্বতী তীরে সামগান করিয়াছিলেন, মধ্য-কালীন ঋষির সেই ব্রহ্মের গুণ কীৰ্ত্তন করিয়া পরম শান্তির অস্পদ ও রণ্যস্থ আশ্রম সকল পবিত্র করিয়াছিলেন, এখনও র্যাহারা সংসারত্যাগী হইয়া সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করেন তাহার সেই ব্রহ্মেরই উদ্দেশে সৰ্ব্বত্যাগী হয়েন । পুরাকালে রামচন্দ্র, জনক প্রভৃতি রাজর্ষিগণ ব্রহ্মেরই উপাসনা করিয়া তাপমার ও রাজ্যের কল্যাণ সাধন করিয়াছিলেন। ব্ৰহ্মই প্রাচীন ভারতের গরি তত্ত্ববোধনী পত্রিকা । i 事關 的密們 মার মূল। যদি বর্তমান দুর্ভাগ্য-গ্ৰস্ত ভারত তাহার দুর্দশা হইতে কখন উত্থিত হয় তাহা হইলে সেই ব্রহ্ম নাম-প্রভাবে উত্থিত হইবে। যদি কখন শীক, মহারাট্টা, বাঙ্গালী প্রভৃতি সমস্ত হিন্দুজাতির মধ্যে গাঢ় ঐক্য সম্পাদিত হয় তাহা হইলে এই ব্ৰহ্মনাম লইয়। তাহ সম্পাদিত হইবে । ব্রহ্মই আমাদিগের চিরন্তন ধন; ব্রহ্মই আমাদিগের এক মাত্র আশ্রয়। ব্রহ্মই আমাদিগের পরিত্রিক মঙ্গল ও ঐহিক স্থখ-সৌভাগ্যের এক মাত্র কারণ । গ্রহ-ভমণ বিষয়ে মত-ভেদ। গ্রহ-ভ্রমণ বিষয়ে ভারতবর্ষে দুই মত প্রসিদ্ধ আছে, প্রথম মতে পৃথিবী সকলের মধ্যবৰ্ত্তিনী ও সূর্য্যাদি গ্রহোপগ্ৰহগণও তাহীর চতুঃপাশ্বে স্ব স্ব কক্ষাতে ভ্ৰাম্যমান । দ্বিতীয় মতে সূৰ্য্য কেন্দ্রস্থানীয় এবং পৃথি ব্যাদি গ্রহেপগ্রহ সকল তাঁহাকে পরিবেষ্টন করিয়া আপন আপন কক্ষাবৃন্তে ভ্রমণ করে । সূৰ্য্যসিদ্ধান্ত প্রভৃতি অতি প্রাচীন গ্রন্থ সকল অাদ্য মত প্রধান। পরবর্তী ব্রহ্মগুপ্ত প্রভৃতি জ্যোতিৰ্ব্বিদগণ এই মত অবলম্বন করিয়াই স্ব স্ব গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন। দ্বিতীয় মত, সর্বপ্রথমে বিখ্যাতনাম আর্য্যভট্টের বুদ্ধির পথবক্তা হয় এবং তদনুসারে তিনি স্বীয় “আৰ্য্যসিদ্ধান্ত” গ্রন্থে সেই মত সাধারণ্যে প্রকাশ করেন । নব্য ইতিহাস-প্রমাণে জানা যায় প্রাচীন মতবিরোধি এই নূতন মত প্রকাশ করাতে আর্যভট্ট সামাজিকগণের নিকটে নিন্দিত ও ভৎসিত হইয়া ছিলেন। সে যাহা হউক পৃথিবীর সূৰ্য্য-কেন্দ্রক পরিভ্রমণ চক্ষুষ প্রত্যক্ষ হয় না বলিয়াই জ্যোভির্বিদ ব্রহ্মগুপ্ত প্রভৃতি উহার গতি স্বীকার করেন নাই, কিন্তু যে কারণে গতিশীল ভূগোলের নিয়ত গতি স্থল দৃষ্টির আয়ত্নীভূত হয় না,