পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: 0 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা * कब ७ छात्र পদার্থই তৎপৃষ্ঠদেশে সংলগ্ন হইয়া থাকে। তার আবহ নামক ভুবায়ু ভূমণ্ডলের সহিত এরূপ লিপ্ত হইয়া আছে যে, তদুভয়কে এক বলিলেও হয়, সুতরাং ভূগোল যত বেগেই যুরুক না কেন ভূ-বায়ুও ইহার সহিত ঠিকৃ সমান বেগেই ঘুর্ণায়মান হইয়া থাকে। ভূ ও ভূ-বায়ুর তুল্য-গতি বিধায় কঠিন তরল কোন পদার্থই স্বভাবতঃ স্থানচু্যত হইতে পারে না । ইহার এক প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই যে, জলপূর্ণ ঘট দ্রুতবেগে ঘুরাইলে তত্রস্থ জল পড়িয়া যায় না । কারণ এই, ঘট অর জলের পেগ ঠিক সমান । পরিশেষে বিশেষ জ্ঞাতব্য এই যে, ব্রহ্মগুপ্ত ও লম্লাচার্য্য প্রভৃতি তাiদামতবাদী পণ্ডিতগণ যেরূপ সূৰ্য্যসিদ্ধান্ত প্রভৃতি মূল গ্রন্থ দুটেই স্ব স্ব গ্রন্থে গ্ৰহগণের পৃথিপী কেন্দ্রক পরিভ্রমণ বিযয়ক মত প্রকাশ করিয়াছেন, ভুবনবিখ্যাত অাৰ্য্যভট্ট ও সেই রূপ ধমিপ্রণীত মূল গ্রন্থ সকলের প্রতি হনুসন্ধানের চক্ষে বিশেষ দৃষ্টি করিয়াই দ্বিতীয় মতটি নূতন রূপে প্রতিপন্ন করিতে সমর্থ হইয়াছেন । ইহা অবশ্য স্বীকার্য্য যে, ঋষি প্রণীত মূল গ্রন্থে অদ্য মতেরই বহুল প্রচার দৃষ্ট হয়; কিন্তু বিশেষ অভিনিবেশ সহকারে অঙ্গুসন্ধান করিলে দ্বিতীয় মতের সৃক্ষমতর জ্যোতিও নিতান্ত অপ্রকাশিত থাকে ন : একুলে এরূপ জিজ্ঞাস্য হইতে পারে মে, এই উভয় মতের অবশ্যই একটা সভা এবং অপরটি মিথ্যা । ত্যুত্তরে এইমাত্র বল বইতে পারে যে, লিশেম বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে এই উভয় মতের প্রকৃত কলের কিছুই ইতর বিশেষ দৃষ্ট হয় না, তানৈক্য থাকিলে চন্দ্র সূৰ্য্য গ্ৰহণাদির প্রত্যক্ষ গণিত ফলের ও অবশ্যই অনৈক্য হইত। সাদ মতে রাশ-চক্রের প্রবহ বায়ু বশে সূৰ্য্যাদি গ্ৰহগণ সহ পশ্চিমাভিমুখে একমাত্র | আবর্তনের ষে ফল, দ্বিতীয় মতে কেবল পৃথিবীর একমাত্র আবর্তনেরও সেই ফল । পরস্তু, প্রথম মতে সূর্য্যের আপন কক্ষ-পথে পূর্বাভিমুখ গতি দ্বারা মেষাদি দ্বাদশ রাশী অতিক্রমণের যে ফল, দ্বিতীয় মতে পৃথিবীর পূর্বাভিমুখে পুনঃ পুনঃ আবৰ্ত্তিত হইয়া সম্পূর্ণ রূপে আপন কক্ষবৃত্ত ভ্রমণেরও সেই ফলই প্রাপ্ত হইয়া থাকে । উভয় মতেই এইরূপে দৈনিক ও বার্ষিক দুই প্রকার গতি স্বীকৃত হইয়াছে। পাত, ভগন ( রাশীচক্র ) গ্রহণ, যুতি, ক্রান্তাংশ এবং গ্রহগণের পরস্পর দূরতদি বিষয়ে উক্ত উভয় মতে কিছুমাত্র বিশেষ নাই। কেবল পৃথিবীর ও সূর্সোর মধ্য-কেন্দ্রস্তু লইয়াই মহান বিরোধ দৃষ্ট হয় এবং তন্নিমিত্ত গ্ৰহগণের রাশীচক্রে সংস্থিতি ও কক্ষবৃত্তের ব্যতিক্রম স্বীকার করিতে হয় । ফল কথা এই, মৃৎপিণ্ডাদি কোন গো লীকার অস্বচ্ছ পদার্থের সমস্তাং প্রজ্জ্বলিত ‘অগ্নি-শিখা ভ্ৰাম্যমান করিলে যেরূপ পঃ : ক্রমে সেই গোলাকার পদার্থের অৰ্দ্ধাংশ আলোকিত এবং অপর অৰ্দ্ধাংশ স্বীয় ছায়। দ্বারা মলিন হয়, কোন প্রজ্বলিত স্থির অগ্নি শিখার অভিমুখে সেই গোলাকার পদার্থকে অবৰ্ত্তিত করিলেও তাহার সেইরূপ অবস্থাই হইয় থাকে। কিন্তু এরূপ হইলেও বিশেস বিবেচনা করিয়া দেখিলে দ্বিতীয় মতটিই যে অপেক্ষাকৃত সহজ ও নির্দোষ তাহা বিলক্ষণ অনুভূত হইতে পারে। ■ জীবের স্থল সুহ্ম সম্বন্ধ, বন্ধন ও মোক্ষ বিষয়ক বেদান্ত মত। জীব এই পৃথিবীতে নষ্ট হইবার নিমিত্তে শরীর ধারণ করেন নাই । তাহার শরীর ধূলি হইবে, কিন্তু শরীরাভ্যন্তরে সেই জীব যে প্রতিপালিত হইতেছেন তাঁহার শেষ