পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* l 3. f と " * , է 4 to f ն किं **漏锦 i g * | t 1 J '

l * | I প্রেমও যেন তাহার প্রতি নিশ্চল থাকে। আয়ারদের কার্য্য ও লক্ষ্যও যেন দ্বিধা ও বিকল্পশুন্য হয় । প্রথমে যেমন ইচ্ছার সঞ্চার না হইলে কার্য্যে প্রবৃত্তি উপস্থিত হয় ন, তেমনি প্রথমে ঈশ্বর-প্রেম হৃদয়ে বদ্ধ-মূল ন হইলে তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনে আমারদের অপরাজিত উৎসাহ উপনীত হয় না । শিশু মাতাকে জানিতে না পারিলে, মাতৃস্নেহ মাহাত্ম্য প্রত্যক্ষরূপে প্রতীতি করিতে সমর্থ না হইলে, যেমন সে মাতার জন্য কোন কার্য্য করিতে পারে না, তেমনি আমরা যদি সেই পরম মাতা-পরম পিতা পরমেশ্বরের স্নেহ প্রেম সুস্পষ্ট অনুভব করিতে ন পারি, তবে তাহার প্রতি আমারদের আন্তরিক প্রীতি ভক্তি কেমন করিয়া উত্তেজত হইবে ? তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধনে আমারদের উদ্যম উৎসাহ, বল-বীৰ্য্য কোথা হুইতে আগমন করিবে ? শৈশবাবস্থা হইতে শিশু সন্তানকে যেমন পিত মাতা হইতে স্বতন্ত্র রাখিলে সে তাহীদের দেবভাব কিছুই বুঝিতে পারে না এবং আপনি পুত্রেচিত শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতি করিতে শিক্ষিত হয় না, অামারদের বঙ্গেরও সেই রূপ দুৰ্গতি । অামারদের জনসমাজেরও সেই প্রকার দুর্দশ উপস্থিত হইয়াছে। আমরা শৈশবাবস্থা হইতে এখন নাগৃহেতেই বিধিমত ঈশ্বর-প্রেমের পরিচয় পাইন বিদ্যা লয়ে—গুরু-গৃহেই তাহার জ্ঞান শক্তি মহিমা বিষয়ে উপদিষ্ট হইয়া তাহার পূজাচনা, ধ্যান ধারণা করিতেই শিক্ষিত হই, সুতরাং নগর গ্রামের বস্থ উন্নতি সাধম, জনসমাজের দৈহিক স্বচ্ছন্দতা সম্পাদনকেই তো আমারদের পরম পুরুষাৰ্থ বলিয়া বোধ ছইবেই। আত্মার প্রতি আমরা অন্ধ হইয়া を যাইতেছি ; অন্তরাত্মার প্রতি উদাসীন । হইয় পড়িতেছি। যাহা স্কুল তাহাই ভবানীপুর সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ।

'సె

আমরা দেখিতেছি । পুথিবীতেই আমারদের আশা-ভরসা, সুখ-উন্নতি সকলই আবদ্ধ করিতেছি। আত্মার প্রতি আমারদের দৃ নাই। আত্ম হইতেও অধিক—আত্মার স্রষ্টপাত মুক্তিদাতা সেই ভূয়া পরমাত্মার সহিত আমারদের যে নিত্য ও অনন্ত সম্বন্ধ তাহাও আমরা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হইতেছি না । তামারদের উপরে—সমুদায় জগতের উপরে তাহার অপ্রতিহত প্রভুত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতীতি না করিয়া, অমরদিগকে র্তাহার আজ্ঞাধীন ভূত্য ন জানিয়া, আমরা স্বেচ্ছাচারী বিদ্রোহী প্রজার ন্যায় আপন আপন আধিপত্যই বিস্তীর করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি । তাহার আদেশ উপদেশের প্রতি কর্ণপাত না করিয়া, মাহ। আপাতরম্য, ঘাঁহ! আশু সুখপ্রদ, যাহ। অামারদের ইচ্ছার আলুকুল তাহাই সংসিদ্ধ করিতে সত্নবান হইতেছি । সেখানে স্বাণ, সেই খানেই উন্নত মস্তকে আমারদের বল প্রতাপ প্রকাশ করি । যেখানে স্বর্থত্যাগ কবিয়া,অগ্নিস্থ সৌভাগে । জলাঞ্জলি দিয়া,জগতের কল্যাণ সাধন করিতে aহুইবেক, সেখানে নত শিরে ভীরু যোদ্ধার ন্যায় অগ্ৰেই প্রস্থান করিয়া থাকি4, যে কার্য্যে আপনার নামঘশ, সেই স্থলেট ময়: বদন্যতা প্রকাশ পায়, লে কার্ঘ্যে ৫ম সধারণের প্রভূত কল্যাণ হুইবে অথচ তস্থাতে খ্যাতি প্রতিপত্তি লাভের নামগন্ধ ও নাই, সেই সময়েই উৎসাহ অনুরাগ অস্তুৰ্হিত হয়! ঈশ্বরকে ছাড়িলে আমারদের এই প্রকার হীনপ্রকৃতি হইয়া পড়ে ! ঈশ্বর-প্রেমের অমুরোধে কাৰ্য্য না করিলে আমরা পশু-প্রকৃতি প্রাপ্ত হই । জ্ঞান অন্ধীভূত হইয় যায়, প্রেম সঙ্কীর্ণ ভাব ধারণ করে, বুদ্ধি কলুষিত হয়, পরলোক-দৃষ্টি ক্ষীণ হইয়া পড়ে, সংসারসুখই সৰ্ব্বস্ব হইয় উঠে । ঈশ্বরের অনুরক্ত ভক্ত হইয় তাহার