পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ e

  • onsors

প্রেমাঙ্গুরোধে যে কাৰ্য্য কৃত হয়, তাঁহাই তঁহার প্রিয় কার্য । তাহাতে জ্ঞান উজ্জ্বল হয়, প্রেম উদার ও প্রশান্ত ভাব ধারণ করে, বৃদ্ধি প্রখর হইযা উঠে,পার্থিব সুখ অকিঞ্চিং কর বলিয়া বোধ হয়, উন্নতির সরল সোপান প্রমুক্ত হইয়া যায়, মন নিভীক, তাত্মা অপ্রতিস্থত বল-বীৰ্য্য উৎসাহ লাভ করে, নিষ্কাম ভাবেরই আবির্ভাব শম, কুটিল স্বার্থপরতা পলায়ন করে । এই ব্রাহ্মসমাজ সেই দেবভান শিক্ষারই অালয়, এই সেই মনুষ্যত্ব সম্পাদনের নিরাপদ নিকেতন । এই খানেই “তষ্মিন প্রীতিস্তস্য প্রিয়কাৰ্য্যসাধনঞ্চ তদৃপাসনমেব” “র্তাহীকে প্রীতি করা এবং তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করাই যে তাহার উপাসন।” এই অমূল্য উপদেশ লাভ করিতে আগমন করি । এখানে সেই অাৰ্য্য-কুল-তিলক মহর্ষিদিগের আচরিত ব্ৰহ্ম-পূজার অনুষ্ঠানের জমাই সপ্তাহে সপ্তাহে মিলিত হই । সেই মহাতপ ঈশ্বর-সৰ্ব্বস্ব সিদ্ধ পুরুষদিগেরই প্রদর্শিত পুণ্য-পথে বিচরণ করিতে শিক্ষা করিবার জন্যই এখানে একত্রিত হইয় থাকি। আজ এই ধৰ্ম্ম-মন্দিরের -এই ব্রাহ্মপঞ্চবিংশ সম্বংসরিক মহোৎ সমাজের সব । ভারতের পূর্বতন কীৰ্ত্তি কলাপ কালের কটিল গতিতে বিলুপ্ত প্রায় হইয়াছে ; বহু আয়াস, বহু অনুসন্ধান, বহু তপস্যা-বলে সেই পূজ্যপাদ তপোধনগণ যে নিরাকার নিৰ্বিকার, একমেবাদ্বিতীয়ঃ পরমেশ্বরের বিশুদ্ধ পূজার আবিষ্কার করিয়৷ গিয়াছেন, তাহার প্রভা দিন দিন বিস্তার হইতেছে ; সেই বিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম-জ্যোতিতে যে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হইতেছে,এই আনন্দে আনন্দিত হইয়। সেই ধৰ্ম্ম-রাজকে আজ কতজ্ঞতা উপহার প্রদান করিতে সকলে সমবেত হইয়াছি । এই সুন্দর অবসর লাভ করিয়া, আইস সকলে প্রার্থনা করি— তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা " / " के छक. ७ शृंf* হে করুণা-নিধান । যাহাতে আত্মাকে শুদ্ধ সত্ত্ব পবিত্র করত তোমার প্রিয় সিংহাসন করিয়া তুলিতে পারি, তুমি কৃপা করিয়া এরূপ বল শক্তি বুদ্ধি বিধান কর। আজাদ উৎকর্ষ সাধনের প্রতি যাহাতে সকলের ষত্ব চেষ্টা বৰ্দ্ধিত হয় এ প্রকার ধৰ্ম্ম-বল ও শুভবুদ্ধি তুমি প্রেরণু কুর। যাহাতে তোমার ..প্রতি আত্মার সংযোগ দ্বারা অধ্যাত্ম-যোগে | তোমাকে প্রতিক্ষণ সন্দর্শন করিতে পারি, কায়মনোবাক্যে তোমার প্রীতি সাধন করিতে পারি এবং নিষ্কাম ও নিঃস্বাৰ্থ ভাবে তোমার প্রিয়কাৰ্য্য সম্পাদনে সমর্থ হই, তুমি এই প্রকার অtশীৰ্ব্বাদ কর । s ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । (...w^w- I ব্রাহ্মসমাজ ও ধৰ্ম্মসাধন । যতক্ষণ ধৰ্ম্ম মনুষ্যের হৃদয়ে বদ্ধ থাকে ততক্ষণ তাই এক প্রকার নিয়মের অধীন থাকে । কিন্তু সেই ধৰ্ম্ম থিম প্রচারিত হইতে আরম্ভ হয় তখন অন্য প্রকার নিয় মের অধীন হয় । নিজে ধৰ্ম্মের অধীন হওয়; এক কথা, আর মনুষ্য সাধারণকে তাহার অধীনে আনয়ন করা অন্য কথা । যখন অন্যকে ধৰ্ম্মের অধীনে আনিবার সঙ্কল্প হয় তখন লোকের মনের উপর কার্য্য করিবার অবশ্যক হইয়া উঠে এবং তাহা করিবার । জন্য যে যে উপায় অবলম্বন আবশ্বক সেই সকল উপায়াবলম্বনের প্রয়োজন হয় । যত ক্ষণ ধৰ্ম্ম নিজের হৃদয়ে বদ্ধ থাকে ততক্ষণ তাহা সামাজিক ব্যাপার থাকে না কিন্তু যখনই প্রচারিত হইতে আরম্ভ হইল তখন ইছা একটি সামাজিক ব্যাপার হইয় উঠে; অন্যান্য কাৰ্য্য যেমন সামাজিক নিয়মের অধীন, প্রচার-কাৰ্য্যও সেই প্রকার সামাজিক নিয়মের অধীন হইয় পড়ে। লোক