পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆt, Հ. স্বারেষু তাসাং চত্বার সংক্রমাঃ পরমায়তাঃ। হিয়ত্বে সংক্ৰমাস্তত্র পরসৈন!গতে সতি। যজ্রৈস্তৈরবকীর্যান্তে পরিখাস্ত্র সমস্তুতঃ । এক কম্পে বলবান সংক্রম: সুমহাদৃঢ়ঃ । কাঞ্চনৈবহুভি: স্তস্তুৈবেদিকান্ডিশ শোভিতঃ ॥ 兴 救 * [ ২, যুদ্ধকাণ্ড ] ছনুমান রামকে লঙ্কার দুর্গ, সৈন্য ও গুপ্তি-কৰ্ম্মাদির পরিচয় দিতেছেন। প্রভো | লঙ্কার দুর্গস্থ কবাট দৃঢ়বদ্ধ ও মহা অর্গলযুক্ত । এই দুর্গের প্রকাশু দ্বার চারিটি এবং বিপুল ও মহান। প্রত্যেক দ্বারে शलूछ উপল-যন্ত্র সকল স্থাপিত আছে । শত্রসৈন্য নিকটগত হইবামাত্রই তদ্বারা তাহার নিবারিত হয় । তথায় অনেক শত বীর রাক্ষসের নিৰ্ম্মিত অতি ভীষণ লৌহসারময় শতঘ্নী আছে। দ্বারভূমি হইতে চতুর্দিক-অবচ্ছেদে ভীমদৰ্শন দুরাক্রম স্থবৰ্ণময় প্রাচীর । তাহার চারি দিকে গভীর জলজন্তপুর্ণ শীতলজলযুক্ত পরিখা আছে। পরিখার উপর দিয়া চারিটি বিশাল সেতু আছে, ইহা প্রধান চারিটি দ্বারের সহিত সংলগ্ন । তাঁচার মধ্যে তিনটি সচল-সেতু । শত্রুসৈন্য আগমন করিলে সচল-সেতুগুলি খুলিয়। লয়। একটি যে নিশ্চল সেতু আছে, সেটি অতি দৃঢ় এবং অনেক শত সুবর্ণ স্তস্তে ও বেদিক দ্বারা পরিশোভিত । লক্ষণানুসারে লঙ্কাপতি রাবণের দুর্গটি প্রাকার-পারিখ্য দুর্গ হইতেছে। চতুষ্কোণ প্রাকার পরিগ্য দুর্গের যে চিত্রটি দেওয়া হইয়াছে, উহার প্রত্যেক অংশের নাম, প্রত্যেক অংশের কার্য্যকারিত এবং দুর্গ মধে। কি কি বস্তু রক্ষিত হইত, শত্রুর আক্র মণ কালে কি রূপ কাৰ্য্য করা হইত এসকল বিষয় ক্রমশঃ বিবৃত হুইবে । ক্রমশঃ f \ * , الم • * * A, க சர் s I r I ■ 4. . . . . . וא . " " , , . s זידאו לי היא h { l ! # * , قا الم | १ , , , " ' o . . . . o, ', 叙 i * , পরমেশ্বর কর্তা ও হর্ত হইয়াও নছেন । (কোন বেদান্তবিং ব্রাহ্ম-গ্রণীত । ) । আমরা ফলাসক্তি সহকারে যে কোন কৰ্ম্ম করি আমাদের চরিত্রে তাহার শুভাশুভ অবশ্যই সঞ্চিত হয় এবং তাঁহা আমাদিগকে ইহ লোক অথবা পরলোকে আবশ্বাই ভোগ করিতে হইবে । কিন্তু ফলাভিসন্ধি পরিত্যাগ পূর্বক যদি কোন কৰ্ম্ম করা যায় তবে তাদৃশ কৰ্ম্মের সিদ্ধিতে হর্ষ এবং অসিদ্ধিতে শোক এ দুইয়ের কিছুই কৰ্ত্তাকে স্পর্শ করে না । এই জন্য শাস্ত্রে নিয়ম করিয়াছেন যে, তাদৃশ নিষ্কাম কৰ্ম্ম কৰ্ম্মই নহে এবং সে কৰ্ত্তাও অকৰ্ত্ত । শাস্ত্রে পরমেশ্বরকে যে সকল কারণে অকৰ্ত্ত বলেন, এই রূপ যুক্তি ও তন্মধ্যে একটি কারণ । বেদে অাছে পরমেশ্বর “আক্রতুং” বিষয়ভোগসঙ্কল্পরহিতং । তিনি বিষয়-ভোগের বাসন রহিত হইয় এই ব্রহ্মাণ্ডের স্বষ্টি পালন ও সংহার করিয়া থাকেন । তিনি “প্রপঞ্চোপসমং’ সংসারধৰ্ম্মাতীতং-সংসার স্বষ্টি করিয়াও তাহার সুখ দুঃখরূপ ধৰ্ম্মে নিলিপ্ত । তিনি স্বকীয় ইষ্টসাধনতা জ্ঞান-জন্য প্রবৃত্তিবশতঃ এই জগতের স্বষ্টি পালনাদি করেন না। ব্রহ্মসূত্রে কহিয়াছেন "সম্ভোগপ্রাপ্তিরিতি চেন্নবৈশেষ্যাৎ’ (১ ৷ ২ ৷ ৮) জীবের ন্যায় পরমেশ্বরের কৰ্ম্মজন্য সম্ভোগের প্রাপ্তি নাই, কেননা তাহার চিৎশক্তি দেদীপ্যমান। “করণবচ্চেম ভোগাদিভ্যঃ” ভোগ্য ও ভোগোপকরণ বিষয় সকলু জীবের পক্ষে স্বতন্ত্র শক্তিবিশিষ্ট হওয়াতে এবং তাঁহার মন ও ইন্দ্রিয়াদি করণ সমূহ ঈশ্বর-প্রেরিত স্বভাবাধীন তন্নিষ্ঠ থাকাতে জীবের ভোগাদি উপ