পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sনত । হে নিরবদ্য নিরঞ্জন পবিত্র পরমেশ্বর ! তোমার উদার প্রসাদ যেমন এক্ষণে আমরা অনুভব করিতেছি, এই প্রকার যখন পৃথিবীর দিন অবসান হইবে; তখন আবার যেন আমরা প্রত্যেকে তোমার চরণের মঙ্গল ছায়া লাভ করিতে পাই । এই পরিবার মধ্যে, আমারদের দেশে, সমুদয় পৃথিবীতে, তোমার এ সাদ বিতরণ কর । তোমার জ্যোতি, তোমার সত্য, সকল স্থানেই প্রেরণ কর । তোমার রাজ্যের সকল স্থান হইতেই যেন সত্যের প্রস্রবণ প্রমুক্ত হয় এবং মঙ্গলভাবের উৎস উৎসারিত হইতে থাকে ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান । কলিকত। ব্রাহ্মসমাজ । t G 존 || আনন্দৰূপমমতং যদ্বিভাতি । ভুলোকে ছুলোকে, আকাশে অস্তরীক্ষে, উষাকালে সন্ধ্যাকালে, শ্রদ্ধাবান একনিষ্ঠ ষ্ট্ৰী.ররা সেই স্বপ্রকাশ অ নন্দ-স্বৰূপ না হত-স্বৰূপ পরমেশ্বরকে সৰ্ব্বত্র দৃষ্টি করেন । উষার উমীলনের সঙ্গে সঙ্গে স্থৰ্য্য উদিত হইয়া যখন অচেতন প্রাণিগণকে সচেতন করে ; ৰূপক্ষীন বস্ব-সকলকে ৰূপবান করে ; তখন সেই জ্যোতিষ্মান সুর্যের মধ্যে সেই প্রকাশবান বরণীয় পুরুষকে র্তাহারা দেখিতে পান। উষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আমা ে অন্তরকাশে উাহার আলোক প্রকাশ, য়। যিনি স্বৰ্য্যের অস্বরাত্মা, আমাদে মন্তরাত্মা, সকল ভুতের অস্তুরায়; তিমি, জগতের প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ত"ার প্রকাশ হয়। তরুণ স্থৰ্য্য {করণে সেই “ fাতির জ্যোতিকে দেখিতে পাই । উম সৌন্দর্যে সেই সৌন্দর্যের \ ؟ بر সৌন্দ - নদের নিকটে প্রকাশিত হন ... মীলিত নয়ন মুক্ত হইবা মাত্র এই বিমল চক্ষু আমাদের "উপরে স্থাপিত (র মহিম। সৰ্ব্বত্রই রছিয়াছে। অাহার জন্য ব্যাকুল হই; যদি সরল হৃদয়ে তা কে প্রার্থনা করি; যদি ঈশ্বর ভিন্ন 's Vóvጻ(ፌፋብህoማ ) *ባ ኮጨዋ ! আর কিছুতেই আমাদের ক্ষুধা ভূষ্ণ নিবারণ না হয় ; তবে অন্তরে বাহিরে, দুরে নিকটে, সকল স্থানেই তাহীর প্রকাশ দেখা ষায় । যদি অপবিত্র বিষয়েই নিমগ্ন থাকি, আত্মাকে অচেতন অসাড় করিয়া ফেলি, ঈশ্বরের জন্য মনোস্বার মুক্ত না রাখি ; তবে যেখানেই যাই, নিজন বনে ষ সজম নগরে, তীর্থ-স্থানে কি দেব-মন্দিরে, কোখাও র্তাহীর দর্শন পাই না । যখন আপনাকে পবিত্র করি, ঈশ্বরের নিকটে হৃদয়স্বার মুক্ত করি, সতৃষ্ণ হইয় তাহাকে অ ন্বেষণ করি; তখন গি=ি ’ন কানন, নিজন সজন সকল মাৰিভাব দেখি । সুর্য তfন কোথায় ? সুর্য্য · *** ८ु म । বনের নির্জন বৃক্ষকে জিজ্ঞাস কর, তিনি কোথায় ? তাহ হইতেও উত্তর পাই । ত খন দেখিতে পাই, “ সএবাধস্তাং সউ পরিষ্টাৎ সপশ্চাৎ সপুরস্তাৎ সদক্ষিণতঃ সউত্তরতঃ ” । ভুলোক ও ছুলোবে তাহার এই মহিমা ; তিনি আনন্দ-ৰূপে অমৃত-ৰূপে সৰ্ব্বত্র প্রকাশ পা হতেছেন ; আমাদের কঠিন হৃদয়ের কবtট বদ্ধ করিয়া রাখ বলিয়। সেই জ্যোতির জ্যোতিকে দেখিতে পাই না । সুৰ্য্যের অভু্যদয়ের মধ্যে র্তাহার আবির্ভাব--সুর্যের অস্তমিত মহিমার মধ্যেও র্তাহার আবির্ভাব । যেমন উষাতে সেই প্রকার সন্ধাতেও তাহার প্রসন্ন মুর্তি এ কাশিত রহিয়াছে । যখন রজনীর ছায়। বসুধাকে শাস্তি ও বিশ্রামে নিময় করে, যখন চন্দ্রমা অনেক সহস্র রশ্মিতে উধিক হইয়া জ্যোৎস্না-স্বধা বর্ষণ করে, যখন তা রকাগণ এই নিদ্রি ত জগতের প্রহরী ৰূপে বিরাজ করতে থাকে; তখন তাছার মধ্যেকাহার প্রকাশ দেখা ষায় ? “ যশ্চন্দ্রতারৰুে তিষ্ঠন চন্দ্রতারকাদন্তরে স্বং চন্দ্রতার কং নবেদ যস্ত চন্দ্রতারকং শরীরং যশ্চন্দ্রভারকমন্তরোযমযতি যিনি চন্দ্র তারকে থাকিয়---চন্দ্র ভারকের অন্তরে থাকিয় চন্দ্র তারককে নিরমে রাখিতেছেন, চন্দ্র ভারক যাহাবে জানে না, চন্দ্র তারকর্ষণহার শরীর; তাঞ্জারই প্রকাশ দেখা যায়"।