পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ృశ్చి তিনি দুনিবার দেশাচারকে অতিক্রম:করিয়াও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দিকে দণ্ডায়মান হইবেন ; লোকভয় তাঙ্গকে কিছুমাত্র ভয়ংদিতে পারবে না। যদি প্রত্যেকে এই ৰূপে:চেষ্টা করেন,তবে কি তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে কিছুমাত্র অগ্রসর করিয়া দিতে পারেন না ? অবশুই পারেন । বালক কি যুব, ধনী কি দরিদ্র,সকলেই ইহাতে কিছু কিছু সাহায্য প্রদান করিতে পারেন । অতি ক্রীন অবস্থার লোকেও এ ধৰ্ম্মের সহায় হইতে পারে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মহত্ত্বই এই । রাজ ভবনে যেমন ব্রাস্বধৰ্ম্মের অধিকার, দারদ্রের অন্ধকার কুটরেও সেই প্রকার | হে ব্রাহ্মগণ তোমরা সেই জগৎপিতারই অনুকরণ কর ; ভঁাহার নিকটে কেহই নাচ নক্ষে, কেহই ত্যাজ্য নহে । ঠাঙ্গার উপরেই নির্ভর করিয়া সকল স্থানে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বল প্রকাশ করিম্ভে থাক—সকল স্থানেই প্রীতি সুত্র বিস্তার কর—এক্য বন্ধন বদ্ধ কর। প্রথমে দেখ আমি যথার্থ ব্রাহ্ম হইতে কতদূর পারি য়াছি; পরে দেখ আমি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কতদূর প্রচার করতে পরিয়াছি । আপনাকে যথার্থ ৰূপে ব্রাহ্মধৰ্ম্মে নিধি’ট কর, অন্যকে তাহার আশ্রয়ে অনিয়ম কর । প্রতি ব্রাহ্মই যদি এই প্রকারে আচরণ করেন, তবে এখন যেমন তিন দল বিপক্ষ,এমন শত সহস্ৰ শত্র দল একত্র হইলেও কিছুই করিতে পরিবে না । কিন্তু আমরা যদি ইহার বিপরীত আচরণ করি, যদি আমরা সকলে বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকি, যদি লোক ভয়কে আমরা ঈশ্বর হইতে অধিক করিয়া মান ; যদি দেশাচারই আমাদের সর্বস্ব হয় ; যদি ধৰ্ম্মের জন্য একটুকুও ত্যাগ স্বীকার করিতে ন পারি : ধৰ্ম্ম রক্ষাব জন্য পারবারের কিঞ্চিৎ ক্ৰোধ দৃষ্টির সম্মুখে দণ্ডাযমান হইতে ভীত হই ; যদি ঈশ্বরের মগল স্বৰূপে এতটুকু বিশ্বাস না থাকে যে সকল বিপদের মধ্যে তিনি আমাদিগকে রক্ষা করিবেন, তবে ত্রাহ্মধৰ্ম্মকে রক্ষ করা কোন মতেই আমাদের সধ্য হইবে ন। । তাহা হইলে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম শঃ বৃক্ষে নয় কিছুদিন থাকবে, অপ বায়ুবেগেই বিনষ্ট ভরশ" । সেই সত্য তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। হইয়। যাইবে । তোমরা জান, ব্রাহ্মধর্মের সহায় কে ? স্বয়ং ঈশ্বর এ ধৰ্ম্মের সহায় । যেখানে তিনি আছেন, সমুদয় জগৎ সংসার একত্র হইলেও ইহার কিছুই করিতে পারিবে না । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সহায় যদি আর কেহই না থাকে,তথাপি তিনি ইহার মুলকে কদাপি উন্মলিত হইতে দিবেন না । অা ・ ム * মর। ইহা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি, যদিও এক্ষণে সকলেই আমাদের বিপক্ষ ; আমাদের ধন নাই, সহায় নাই, ঐক্য নাই ; তথাপি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এ সমৃদয় বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া কেমন অপে অপে উত্থিত হইতেছেন । অম্পে অপে, কেন ? : শাহ্মধৰ্ম্মে সার আছে । দীর্ঘ কাল স্থায়ী সারবান বৃক্ষ এক দিনেই উন্বত হইয় উঠিতে পারে না । পৃথিবীর ভাবই এই, এখানে যাহা শীঘ্র শীঘ্ৰ ফলবান ছয়, তাহ তেমনি শীঘ্র নষ্ট হইয়। যায়। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যে ত্রিংশত বৎস রের ঝঞ্চাবায়ু অতিক্রম করিয়া দেবদারু বৃক্ষের ন্যায় উন্নত হইয়া রহিয়াছে, ই এদেশের অত্যন্ত শুভ চিহ্ন ! ইহার অপশু উন্নতি ন দেখিতে পাইয়া বিপন্ন হইও মা ; মরুভূমি তুল্য এই যে বঙ্গভূমি, তাহাতে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অবতীর্ণ হওয়া যত আশ্চর্য্য , তাহার উন্নতি হওয়৷ ততোধিক অণশ র্য্য নহে ! এ দেশের স্তুরবস্থা মনে করি লে তামাদের আশ । আর কোন ক্রমেই বল পায় না । আমরা কোন ৰূপেই ইহা স্থির পাই না, ইহাতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অৰিভাবই কি প্রকারে হইল ? কোন কার্য্যকারণ স্থত্রেই আমরা ইহা নির্ণয় করিতে পারি ন! ; ইহাতে কেবল একমাত্র ঈশ্বরের প্রসাদ ও অনুগ্রহ প্রকাশ পাইতেছে । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নতি বিষয়েও ঈশ্বরের প্রতিই অামাদের সম্পূর্ণ নির্ভর । “সত্যমেব জয়তে নানুতং’ ইহার উপরেই আমাদের একান্ত পুরুষের সংকল্পই এই যে যাঙ্গ কিছু সত্য, পবিত্র ; তাহাই অবশেষে জয়ী হইবে । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যদি এক্ষণে এদেশে নির্বাণও হয়, যদি এখানকার একটী লোকেও তাহার আশ্রয় গ্রহণ ন৷ করে, তাহতেই বা কি ? তাছাতেই কি